somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

তারেক_মাহমুদ
আমি লেখক নই, মাঝে মাঝে নিজের মনের ভাবনাগুলো লিখতে ভাল লাগে। যা মনে আসে তাই লিখি,নিজের ভাললাগার জন্য লিখি। বর্তমানের এই ভাবনাগুলোর সাথে ভবিষ্যতের আমাকে মেলানোর জন্যই এই টুকটাক লেখালেখি।

সৈনিকের ভালবাসা ( শেষ পর্ব)

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৩৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



সৈনিকের ভালবাসা(১ম পর্ব)

দুইঃ

সেদিনের সকালটা আর দশটা সকালের মতই পাখিদের কলকাকলীতে মুখরিত ছিল পিলখানা বিডিআর ক্যাম্পের গাছগুলো। বিডিআর সদস্যদের জন্য একটি বিশেষ দিন। দিনটা ছিল বিডিআর সপ্তাহের প্রথম দিন। শুরু হল বিডিআর সপ্তাহের অনুষ্ঠান।মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বিডিআর সদস্যদের উদ্দেশ্যে দেশগঠনের মন্ত্র দিলেন এরপর মহাপরিচালক স্যারও বিডিআর সদস্যদের দেশপ্রেমের মন্ত্রে দীক্ষিত হতে বললেন। প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যের সময়ও আমি বুঝতে পারিনি আগামীকাল কি ঘটতে যাচ্ছে।পরেরদিন ২৫ শে ফেব্রুয়ারি ২০০৯ দরবার হলে অন্যদের সাথে আমিও উপস্থিত ছিলাম। বিডিআরের কিছু আভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে মহাপরিচালক স্যার এবং অন্যান্য সিনিয়র অফিসারেরা জোয়ানদের সাথে আলোচনা করছিলেন। কিছু বুঝে ওঠার আগেই দেখলাম অস্ত্রসহ প্রবেশ করলো একদল জোয়ান। ঘটনার আকস্মিকতায় আমি হকচকিয়ে গেলাম, নিজের চোখকে কিছুতেই বিশ্বাস করতে পারছিলাম না, সাধারণ সৈনিকেরা অফিসারদের বুকের উপর অস্ত্র তাক করে আছে।এমন জঘন্য পরিকল্পনা কখন হল আগে আচ করতে পারলাম না। আমার ধারণা আরও অনেকেই আমার মত অবস্থা।কেউ কেউ অন্যদের দেখাদেখি হাতে অস্ত্র তুলে নিল। অল্পসময়ের মধ্যেই পুরো পিলখানা মৃত্যুপুরিতে পরিনত হল।

অফিসারদের প্রতি জোয়ানদের কিসের এত ক্ষোভ আমি বুঝতে পারলাম না। কয়েকজনকে দেখলাম
অপারেশন ডালভাতের লাভের টাকা থেকে জোয়ানদের বঞ্চিত করা হয়েছে বলে জোরে জোরে চিৎকার করছে। আমার ব্যাচমেট অনেকের মুখেই দেখলাম লাল কাপড় বাধা, যদিও তারা আমার এতই পরিচিত যে লাল কাপড়েও আমার চিনতে অসুবিধা হল না। ট্রেনিংয়ের সময় আমাদেরকে হাজারবার বলা হয়েছে বিদ্রোহের শাস্তি কতটা ভয়াবহ, কিন্তু উন্মত্ত বিডিআর সদস্যদের মাথায় তখন খুন চড়ে আছে। অফিসারদের খুন না করা পর্যন্ত এদের থামানো যাবে না। এরই মধ্যে আমার এক ব্যাচমেটের হাতে দেখলাম দুটি অস্ত্র। একটা আমার দিকে বাড়িয়ে দিল অনিচ্ছা সত্ত্বেও অস্ত্রটি নিতে হল। ওই মুহুর্তে অস্ত্র ফেলে দিতেও পারছিনা। এরই মধ্যে মেজর নাজিম স্যারকে দেখলাম প্রাণ ভয়ে পালানোর চেষ্টা করছেন। নাজিম স্যারের আন্ডারে আমি অপরেশন ডালভাতে অংশ নিয়েছিলাম তাই স্যারের সাথে আমার সম্পর্ক ভাল, স্যার আমাকে যথেষ্ট স্নেহ করতেন। একজন সৈনিক তাকে গুলি করতে গেল, আমি তাকে বাধা দিলাম বললাম
' এভাবে মানুষ মারিস না তোর কি আল্লাহ খোদার ভয় নেই?
আমার কথায় সে থেমে গেল। নাজিম স্যার পালিয়ে যেতে সক্ষম হন। আমি অস্ত্র ফেলে দিয়ে অফিসার কোয়ার্টারের দিকে গিয়ে দেখলাম মৃত অফিসাদের পরিবারের সদস্যদেরও উন্মত্ত বিডিআর জোয়ানেরা বন্দী করে রেখেছে। একজন লেডি ডাক্তারের দিকে নল তাক করে রেখেছে আমারই এক বন্ধু, প্রাণ ভয়ে ডাক্তার ম্যাডাম চোখ বন্ধ করে আছেন। আমি তাকেও বাধা দিয়ে বললাম,
'উনি আমাদের চিকিৎসা করেন, আমাদের অনেক উপকার করেন উনাকে মারিস না ' আমার কথায় আমার ব্যাচমেট বন্ধু থেমে গেল এবং লেডি ডাক্তার ম্যাডামকে ছেড়ে দিলো।

ততক্ষণে বিডিআর ক্যাম্পের বাইরে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে সেটা বুঝতে আমার অসুবিধা হল না। দুই একজন অতিউৎসাহী বিডিআর সদস্য মুখে লাল কাপড় বেধে ওয়ালের ফাক দিয়ে মিডিয়ায় সাক্ষাৎকার দিচ্ছেন এবং নিজের মহাবীর হিসাবে জাহির করার চেষ্টা করছেন। কিন্তু ততক্ষণে পিনখানা লাশের স্তুপে পরিণত হয়েছে। কেউ কেউ মাটি খুড়ে লাশগুলো পুতে ফেলতে ব্যাস্ত। প্রথমদিনের নারকীয় তান্ডবলীলার পর বিডিআর ক্যাম্পের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। রাতের আঁধারে পিলখানা যেন অন্ধকার এক মৃত্যুপুরি। ইতিমধ্যেই হত্যাকান্ডে অংশগ্রহণকারী কেউ কেউ উপলব্ধি করতে শুরু করেছেন কাজটা মোটেই ভাল হয়নি, তাদের সামনে মহাবিপদ তাই সাধারণ পোশাকে তারা পালাতে ব্যস্ত ।কেউকেউ অস্ত্র নিয়ে ওয়ালের চারপাশে পাহারারত। আমি এর কোনটার মধ্যেই নেই আমি শুধু দেখেই যাচ্ছি।

পরেরদিন মৃত্যুপুরি পিলখানাতে সকাল নেমে এল। ক্ষুধা এবং পানির পিপাসা দুটোর কোনটাই আমাদের মধ্যে নেই। আমার ভাবনা একটাই কখন সেনাবাহিনী ট্রাংকদিয়ে ওয়াল ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করবে এবং গুলি করে আমাদের সবাইকেই মেরে ফেলবে। আমার ধারণা আজ আমাদের মৃত্যু নিশ্চিত। বাবা মায়ের কথা মনে পড়ে গেল। মা বাবার একমাত্র নাড়িছেঁড়া ধন আমি, তাদের বিয়ের বিশ বছর পর সৃষ্টিকর্তা আমাকে তাদের জন্য উপহার দিয়েছিলেন। বাবা মায়ের সেই নাড়িছেঁড়া ধন আজ দেশদ্রোহী অপবাদ নিয়ে মারা যাবে কিছুক্ষণের মধ্যেই। আর আমার ফাতেমা? সেও কি আমাকে দেশদ্রোহী ভাববে?নিশ্চয়ই তার অন্যকোথাও বিয়ে হয়ে যাবে আর মনে মনে আমাকে খুনি দেশদ্রোহী বলে গালি দেবে।

সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে শান্তিপূর্ণ সমাধানের চেষ্টা চলছে সে খবর আমাদের কানে আসতে লাগলো। একসময় ডিএডি তৌহিদ স্যারের নেতৃত্বে সরকারের সাথে সফল আলোচনা হল। সব বিডিআর সদস্যরা আত্মসমর্পণ করলো সঙ্গে আমিও। পুরো পিলখানার নিয়ন্ত্রণ সেনাবাহিনীর হাতে চলে গেল। আমাদের সবাইকে বন্দী করা হল।


তিনঃ

কারাগারে ভয়াবহ সময় পার করতে লাগলাম।প্রতি মুহুর্তে মৃত্যুর জন্য অপেক্ষা করা ছাড়া আর কোন কাজ নেই। ভয়াবহ শারিরীক ও মানসিক যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে কয়েক জন আত্মহত্যার পথও বেছে নিল। একেএকে সবার বিচার শুরু হল। কারো কারো ফাসি এবং বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড হতে লাগলো।

একদিন মা বাবা আমাকে দেখতে এলেন, আমার বুক ফেটে কান্না পাচ্ছিল কিন্তু কাদলাম না। শুধু মাকে বললাম
'মা তুমি অন্তত বিশ্বাস কর এই নারকীয় হত্যাকাণ্ডে আমি জড়িত নই, তুমি যদি বিশ্বাস না কর তবে আমি মরেও শান্তি পাবো'
মা বললেন
'পৃথিবীর আর কেউ বিশ্বাস করুক আর না করুক আমি বিশ্বাস করি আমার ছেলে এমন জঘন্য কাজ করতে পারেনা'

ফাতেমা কেমন আছে কথাটা মায়ের কাছে খুব জানতে ইচ্ছে করছিল কিন্তু জিজ্ঞেস করলাম না।
সামরিক আদালতে আমার বিচার শুরু হল। মেজর নাজিম স্যারকে দেখে ভেবেছিলাম স্যার হয়তো আমার পক্ষে সাক্ষ্য দেবেন,ন কিন্তু না তিনি আমার বিপক্ষেই সাক্ষ্য দিলেন (নাজিম স্যার সেদিন পিলখানার উচু ওয়াল টপকে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছিলে) তিনি বললেন
আমাকে হত্যাকাণ্ডে অংশগ্রহণ করতে না দেখলেও আমার হাতে অস্ত্র দেখেছেন।
আসলে স্যারের কোন দোষ নেই দুর থেকে উনার পক্ষে বোঝা সম্ভব ছিল না কে উনাকে মারতে চেয়েছিলেন আর কে উনাকে বাচিয়েছিল।

বিচারক তখন আমাকে বললেন
'এমন কি কেউ আছে যিনি তোমাকে নির্দোষ প্রমাণ করতে পারে?
এমন কারো নামই মনে পড়লো না।অধিকাংশ অফিসারকেই মেরে ফেলা হয়েছে আর সব সেপাইরাই আমার মতই আসামি তাই তারা সাক্ষ্য দিলেও সেটা গ্রহণযোগ্য হবে না।সেদিনের মত আদালত মুলতবি হল। রাতে শুয়ে শুয়ে মায়ের কথা বাবার কথা ছেলেবেলার নানা স্মৃতি মনে পড়তে লাগলো। অপরাধী না হয়েও আমাকে ফাসির দড়িতে ঝুলতে হবে, হে আল্লাহ তুমি আমাকে সাহায্য কর এমন কথা ভাবতে ভাবতে হঠাৎ করেই লেডি ডাক্তার ম্যাডামের কথা মনে পড়ে গেল, একমাত্র উনিই পারেন নিশ্চিত মৃত্যুর হাত থেকে আমাকে রক্ষা করতে।

লেডী ডাক্তার ম্যাডাম আমার পক্ষেই সাক্ষ্য দিলেন,আমি তার প্রাণ বাচিয়েছিলাম সেটা তিনি কৃতজ্ঞতার সাথেই স্বরণ করলেন। আমি ধড়ে কিছুটা প্রাণ ফিরে পেলাম।ডাক্তার ম্যাডামের সাক্ষ্যে ফাসি থেকে রক্ষা পেলেও সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হল না যে আমি আপরাধে জড়িত নই। বিচারে পাচ বছর মেয়াদে কারাদণ্ড হল আমার । যেহেতু বিচার প্রক্রিয়া শেষ হতেই তিন বছর পার হয়েছে আর দুই বছর পরই আমার মুক্তি।


চারঃ

জেলখানায় বসে প্রতিটি দিন গুনতে লাগলাম কবে সেই হবে সেই কাংখিত মুক্তি? এরইমধ্যে আমার মামা এসেছিলেন আমার সাথে দেখা করতে। উনার কাছ থেকে খবর পেলাম মা মারা গেছেন বাবার শরীরও খুব একটা ভাল নয়। এই খবরে আমি খুবই মুষড়ে পড়লাম, আমি এমনি এক অভাগা ছেলে যে তার মায়ের কবরে মাটি পর্যন্ত দিতে পারলো না।


জেল থেকে ছাড়া পেয়ে নিজ গ্রামে গেলাম। গ্রামে গিয়ে আরও একটি দুঃসংবাদ পেলাম। বাবাও আর পৃথিবীতে নেই। আমার শোকে আর বার্ধক্য জনিত কারণে দুই মাস আগে তিনিও মারা গেছেন। আমাদের অধিকাংশ জমিজমাই তিনি বিক্রি করে গেছেন । হয়তোবা এমনও হতে পারে গ্রামের মানুষ ওগুলো দখল করে নিয়েছে। শুরুমাত্র ভিটেবাড়িটাই জীর্ণ অবস্থায় পড়ে আছে।

আর ফাতেমা?
যা ভেবেছিলাম তেমনটাই ঘটেছে, ফাতেমার বিয়ে হয়ে গেছে আমাদের পাশের জেলা মাগুরার একজন স্কুল শিক্ষকের সাথে। ফাতেমা শ্বশুর বাড়িটা নড়াইল থেকে মাগুরা যাওয়ার রাস্তার পাশে। জায়গাটা আমার পরিচিত।

গ্রামে মাসখানেক কাটালাম। গ্রামটা দিন দিন অসহ্য মনে হতে লাগলো আমার। যে গ্রামে মা নেই বাবা নেই ফাতেমা নেই সেই গ্রামে থেকে কি হবে? অনেকটা পানির দামের মাত্র তিন লাখ টাকায় নিজের পূর্বপুরুষের ভিটেমাটি বিক্রি করে দিলাম। মাগুরা শহরে একরুমের একটা বাসা ভাড়া নিলাম। বাড়ি বিক্রির টাকায় একটা সেকেন্ড হ্যান্ড লেগুনা কিনে ফেললাম। সরকারি বেসরকারি কোন চাকুরী আমি কোনদিন আর পাবো না। মাগুরা শহরের তেমন কেউই আমাকে চেনে না তাই আমি যে সাজাপ্রাপ্ত একজন আসামি এই পরিচয়ও সবার অজানা।দাড়ি রেখেছি তাই পরিচিতরাও হঠাৎ আমাকে দেখে চিনতে পারেনা। আমি এখন মাগুরা নড়াইল সড়কের একজন লেগুনা ড্রাইভার। প্রতিদিন কত কত মানুষ আমার গাড়িতে উঠে। শুনেছি এই রাস্তার ধারেই ফাতেমার শ্বশুরবাড়ি হয়তো কোনএকদিন ফাতেমাও আমার গাড়ির যাত্রী হবে এই আশায় গাড়ির লুকিংগ্লাস দিয়ে গাড়িতে বসা যাত্রীদেরকে লক্ষ্য করি।


বিঃদ্রঃ ভালবাসা দিবসের আগেই গল্পটা শেষ করতে চেয়েছিলাম তাই আপতত এখানেই শেষ তবে পরে গল্পটা নিয়ে ভিন্নভাবে চিন্তা করার ইচ্ছে আছে। তথ্যগত ভুলক্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রইলো, কোন ভুল থাকলে পরে সংশোধন করা হবে।
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৮:২২
১১টি মন্তব্য ১১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমার প্রফেশনাল জীবনের ত্যাক্ত কথন :(

লিখেছেন সোহানী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ৯:৫৪



আমার প্রফেশনাল জীবন বরাবরেই ভয়াবহ চ্যালেন্জর ছিল। প্রায় প্রতিটা চাকরীতে আমি রীতিমত যুদ্ধ করে গেছি। আমার সেই প্রফেশনাল জীবন নিয়ে বেশ কিছু লিখাও লিখেছিলাম। অনেকদিন পর আবারো এমন কিছু নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন

একটি ছবি ব্লগ ও ছবির মতো সুন্দর চট্টগ্রাম।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৩৮


এটি উন্নত বিশ্বের কোন দেশ বা কোন বিদেশী মেয়ের ছবি নয় - ছবিতে চট্টগ্রামের কাপ্তাই সংলগ্ন রাঙামাটির পাহাড়ি প্রকৃতির একটি ছবি।

ব্লগার চাঁদগাজী আমাকে মাঝে মাঝে বলেন চট্টগ্রাম ও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×