somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

নিজস্ব ভাবনা--১ (বিচার বিভাগ)

২৪ শে নভেম্বর, ২০১০ সকাল ১০:৩৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বেশ কয়েক মাস যাবত বিচার বিভাগ নিয়ে বেশ হইচই হচ্ছে।তাই ভাবলাম তা নিয়া কিছু জানার চেষ্টা করি। আমার এক আত্মীয় আইঞ্জীবির সাথে কথা বলে বেশ মজার কিছু তথ্য পেলাম।

প্রথমটাই শেয়ার করে নেই। আপনাদের হয়ত অনেকের মনে আছে এরশাদের আমলে একবার হাইকোর্ট বিভক্ত করে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে দেয়া হয়েছিল। তখন আইঞ্জীবিরা তার বিরুদ্ধে আন্দোলন করে আর সুপ্রিম কোর্ট তা বাতিল করে দেয়। আমি আবার বেশি তথ্যকথা বুঝি না।আমার সহজ কথা যেটাতে আমার লাভ হয় আমি সেটাই চাই। আমার বাড়ী পঞ্চগড়। আমার নামে কোন মামলা হলে আমাকে সেই সুদুর ঢাকায় যেতে হবে। এটা খুবই অমানবিক।তার বদলে যদি প্রতি বিভাগে হাইকোর্ট থাকত তাহ্লে মানুষের কষ্ট অনেক কমে যেত। যাই হোক আমি এই ব্যাপারে তার মতামত জানতে চাইলে তিনি হেসে দিলেন। আর ভেতরের কথাটা বললেন। এই হাইকোর্ট বিভক্কতের বিষইয়ে সব আইঞ্জীবিদের একজোত হয়াকে তারা এক বিশাল বিজয় বলে মনে করেন। আসল ঘটনা কিন্তু অন্য। হাইকোর্ট যদি ভাগ হয়ে যায় তাহলে দেশের সব খান থেকে মানুষ ঢাকায় আসবে না। ফলে তাদের ইঙ্কাম কমে যাবে ১/৩। তাদের যেকোন এক জায়গায় বসতে হবে। এখানে এরশাদের বিরুদ্ধে যতটা না ছিল তারচেয়ে ছিল নিজের পকেট ভারির দিকে। দেশের হাইকোর্ট বিভক্ত করা কোন ব্যাপার না। যেহেতু এটা সংবিধানের মুল অংশ ।তাই এর পরিবর্তনের জন্য জঙ্গনের ভোট নিতে হবে। সেখানে হায়া জয়যুক্ত হলে হাইকোর্ট এমনিতেই ভাগ হয়ে যাবে। কিন্তু প্রতিটি দলে এইরকম পকেট ভারী আইঞ্জীবি থাকার কারনে কী এই উদ্দ্যোগ নেয়নি। মোট কথা হলো আমার মতো গরিব মানুষের কথা কী ভাববে না।এই ব্যাপারে তাদের মত হল-যে এই ক্ষেত্রে মামলার রায় ভিন্ন ভিন্ন হয়ে যাবে। এই কথাটা পুরাটাই ভুল। কারন যেকোন বিচারের রায় নির্ভর করে বিচারকের দৃষ্টির উপর। একই মামলায় এক বিচারক এক রায় দিয়েছে আবার অন্য বিচারক অন্য রায় দিয়েছে তার ভুরি ভুরিপ্রমান আছে। যদি পাকিস্থানের কথা ধরি—সেখানে একবার সুপ্রিম কোর্টের রায় ছিল—যে কোন ক্যু যদি সফল হয় তবে তা সঠিক থাকবে তার কোন বিচারের দরকার নাই। এই মতামত প্রায় দশ বছর বিদ্যমান ছিল। পরে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট অন্য ধরনের মতামত দেয়। যা এখন পর্যন্ত বল্বত আছে। হাইকোর্টে বিভিন্ন দেশের রায়ের উপরই রায় প্রদান করা হয়।তার মানে এই দারাল যে মামলার রায় বিচারকের দৃষ্টিভঙ্গির উপর নির্ভরশিল। তাই হাইকোর্ট ভাগ হয়ে গেলে বিচার ভিন্ন হবে –এই ভয়টা অমুলক ।কারন তা সব সময় হতে পারে।তাই যদি কোন দল এই বিষয়ে চিন্তা করেন তাহলে দেশের মানুষের অনেক উপকার হবে।
দ্বিতীয় যেটা আমাকে সব সময় ব্যাথ্যা দেয়—তা হচ্ছে আমরা মুল বিষয়টা না দেখে কাগজ কল্ম নিয়া টানাটানি করি। একটু বুঝিয়ে বলি। আমরা প্রায় সবাই জানি দেশের অধিকাংশ রাজনীতিবিদ করাপ্টেড। এর জন্য তত্ত্ববধায়ক সরকারের আমলে মামলা হয়। ধরা যাক ১০০টি মামলার মধ্যে ২০ টি উদ্দেশ্যমুলক। বাকি ৮০টি তো সঠিক। কিন্তু এই সব মামলাগুলো বাতিল হয়ে যাচ্ছে শুধুমাত্র প্রসিজিওর ভুল ছিল বলে। তার মানে দাড়াল এই যে এখানে মামলার যে মুল কারন “দুর্নীতি” তা নগন্য হয়ে গেছে। দেশের অনেক বড় বড় আইঞ্জীবিরা মাঝে মাঝে বেশ বুলি ছাড়ে। তার মধ্যে এক স্বনামধ্যন্য ছিল—তিনি সকলের মামলা পরিচালনা করেছেন এই ব্যাপারে। সবাকে বাচানোর পরে তিনি বলেন আমি কিন্তু দুর্নিতি দমনের বিপক্ষে না। কেউ যদি জানেই যে সে দুর্নিতিবাজ তাহলে তাকে মামলার মারপ্যাচ দিয়ে বাচানো কতটা যুক্তিযুক্ত তা আমি কখনো বুঝলাম না।
বিচার কাজ একটি মহান পেশা। সেখানে মানুষের justice পাবার কথা। কিন্তু তার বদলে যদি কথার মারপ্যেচে কাজ সম্পাদন করা হয় তাহলে আমার মত সাধারন মানুষের বিচার পাওয়া হয়ত হবে কিন্তু তা justice হবে কিনা জানি না।
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

রাজাকার হিসাবেই গর্ববোধ করবেন মুক্তিযোদ্ধা আখতারুজ্জামান !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:১৮


একজন রাজাকার চিরকাল রাজাকার কিন্তু একবার মুক্তিযোদ্ধা আজীবন মুক্তিযোদ্ধা নয় - হুমায়ুন আজাদের ভবিষ্যৎ বাণী সত্যি হতে চলেছে। বিএনপি থেকে ৫ বার বহিস্কৃত নেতা মেজর আখতারুজ্জামান। আপাদমস্তক টাউট বাটপার একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশে কোন প্রজন্ম সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত? ১৯৭১ থেকে একটি সংক্ষিপ্ত ভাবনা

লিখেছেন মুনতাসির, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৮:৪৩

বাংলাদেশে দুর্নীতির প্রশ্নটি প্রায়ই ব্যক্তি বা দলের দিকে ছুড়ে দেওয়া হয়। কিন্তু একটু গভীরে গেলে দেখা যায়, এটি অনেক বেশি প্রজন্মভিত্তিক রাজনৈতিক - অর্থনৈতিক বাস্তবতার সঙ্গে যুক্ত। ১৯৭১ এর পর... ...বাকিটুকু পড়ুন

চাঁদগাজীর মত শিম্পাঞ্জিদের পোস্টে আটকে থাকবেন নাকি মাথাটা খাটাবেন?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৫৭


ধরুন ব্লগে ঢুকে আপনি দেখলেন, আপনার পোস্টে মন্তব্যকারীর নামের মধ্যে "জেন একাত্তর" ওরফে চাঁদগাজীর নাম দেখাচ্ছে। মুহূর্তেই আপনার দাঁত-মুখ শক্ত হয়ে গেল। তার মন্তব্য পড়ার আগেই আপনার মস্তিষ্ক সংকেত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্মীয় উগ্রবাদ ও জঙ্গী সৃষ্টি দিল্লী থেকে।

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:১৫


((গত ১১ ডিসেম্বর ধর্মীয় উগ্রবাদ ও জঙ্গী সৃষ্টির ইতিবৃত্ত ১ শিরোনামে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম। সেটা নাকি ব্লগ রুলসের ধারা ৩ঘ. violation হয়েছে। ধারা ৩ঘ. এ বলা আছে "যেকোন ধরণের... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের হাদিকে গুলি করা, আর আওয়ামী শুয়োরদের উল্লাস। আমাদের ভুল কোথায়?

লিখেছেন তানভির জুমার, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৫৩



৩০ জনের একটা হিটলিস্ট দেখলাম। সেখানে আমার ও আমার স্নেহের-পরিচিত অনেকের নাম আছে। খুব বিশ্বাস করেছি তা না, আবার খুব অবিশ্বাস করারও সুযোগ নাই। এটাই আমার প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন

×