
‘অক্ষরে অক্ষরে রচি, এ মাটির পদাবলী’ শ্লোগানে কুড়িগ্রামে তরুণ লেখক ফোরামের ১৯ বছরপূর্তি উপলক্ষে শুক্রবার দিনব্যাপী ‘লেখক সমাবেশ’ অনুষ্ঠিত হয়। সকাল ১১টায় সমাবেশ উদ্বোধন করেন কবি আবু হাসান শাহরিয়ার। দিনব্যাপী অনুষ্ঠানে পরিবেশন করা হয় গণসঙ্গীত, স্বরচিতপাঠ, কবিতা আবৃত্তি। ছিল লেখালেখি বিষয়ক আলোচনা।

সমাবেশ উদ্বোধনকালে কবি আবু হাসান শাহরিয়ার বলেন, বাংলাদেশ আছে ঢাকার বাইরেই। ‘বাহের দেশ’, ‘রাণী ভবানির দেশ’ হিসেবেও পরিচিত এই জনপদ। কুড়িগ্রামের সবচেয়ে বড় পরিচয়- এটি সংস্কৃতির অবাধ বিচরণভূমি। কুড়িগ্রামে সংস্কৃতি চর্চায় বিশেষ ভূমিকা রাখছে তরুণ লেখক ফোরাম। আজ সংগঠনটির ঊনিশ বছরপূর্তি। এটি কোনও আঞ্চলিক খবর নয়- জাতীয় সংবাদ। একসময় সংস্কৃতি ও রাজনীতি হাত ধরাধরি করে চলত বলেই বায়ান্ন, ঊনসত্তর, একাত্তরের মতো বড়-বড় অর্জনগুলো আমাদের জাতীয় ইতিহাসে যুক্ত হয়েছে। অতএব তরুণ লেখক ফোরামের আজকের এই আয়োজন থেকে আমাদের রাজনীতিকদের পাঠ নেওয়ার আছে।

লেখক সমাবেশ উপলক্ষ সকাল ১০টায় শিল্পকলা একাডেমি থেকে শোভাযাত্রা বের হয়। শোভাযাত্রা শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করে। সকাল ১১টায় শিল্পকলা একাডেমিতে লেখক সমাবেশ উদ্বোধন করেন কবি আবু হাসান শাহরিয়ার। উপস্থিত ছিলেন ঢাকার আরও দুই কবি রনজু রাইম ও আলমগীর নিষাদ।

আব্দুল খালেক ফারুকের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কলামিষ্ট ও আইন কলেজের অধ্য অ্যাডভোকেট আব্রাহাম লিংকন, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক লেখক ও গবেষক ড. তুহিন ওয়াদুদ, জেলা শিল্পকলা একাডেমীর সাধারণ সম্পাদক অধ্য রাশেদুজ্জামান বাবু, কুড়িগ্রাম প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবীব নীলু, কবি সাংবাদিক ইউসুফ আলমগীর, গল্পকার আলমগীর কবির বাবলু প্রমুখ। লেখক সমাবেশে রংপুর, লালমনিরহাট জেলাসহ বিভিন্ন উপজেলার কবি-লেখকরা অংশ নেন।

সমাবেশে গণসঙ্গীত পরিবেশন করেন কুড়িগ্রামের স্থানীয় শিল্পীরা ও ঢাকার সংগঠন ‘চিৎকার’। সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘প্রচ্ছদ’ পরিবেশন করে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কাব্যনাটক ‘জুতা আবিষ্কার’। কবিতাসন্ধ্যায় স্বরচিত কবিতা পাঠের পাশাপাশি কবিতা আবৃতি করেন স্থানীয় আবৃত্তিশিল্পীরা। এছাড়া দিনব্যাপী লিটলম্যাগ মেলার আয়োজন করা হয়।





অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




