আগের পর্ব Click This Link
৫.
জীবনে একটার পর একটা প্যাঁচ লাগতেছে।
মেউকা আমাদের ছেড়ে তার বয়ফ্রেন্ডের সাথে অন্য শহরে চলে গেল।এতে আমি,লিনু আর বেবুন থতমত খেলাম।বাবা বিটিভির আঁতেলদের মতো করে বলল-মেউকা বড় হয়ে গেছে।ওর একটা প্রেম ও যৌনতার জীবন থাকা সাভাবিক।
আমি,লিনু আর বেবুন মেউকার প্রেম ও যৌনতার জীবনকে নিজেদের মতো করে অভিশাপ দিলাম।
বড় প্যাঁচ লাগল,যখন বাবা-মা তাদের কারখানার কাজের জগৎ এ ফিরে গেল।নতুন একটা কারখানায় কাজ পেল।সারাদিন একঘেঁয়ে কাজ করে তাদের জীবনটা মাটি হয়ে গেল। আমাদেরও সেই জগৎএ যেতে বলল।কিন্তু আমি যেতে অস্বীকার করলাম।বললাম-তোমরা যেখানে যাচ্ছো পৃথিবীর কোটি কোটি মানুষ সেখানে গিয়েছে।পুরানো জায়গায় আমি যাব না।আমি এমন জায়াগার সন্ধান জানি যেখানে আগে কখনো কেউ যায় নি।
তাই তারা ভ্যান গাড়িতে করে চলে যাবার সিদ্ধান্ত নিল।লিনু আর বেবুন সস্তা ভ্যানে উঠতে অসম্মতি জানাল।ফলে তাদেরকে আমার পাশে দাঁড় করিয়ে রেখে ভ্যানটি কিরকির করতে করতে চলে গেল চোখের বাইরে!
....
৬.
আমার ঢিলঢিলে প্যান্টের পকেটে তখনো কয়েকটা ফ্রেশ তেলাপোকা ফড়ফড় করছিলো।
....
৭.
আমরা শহরের বিভিন্ন অংশে হাঁটলাম।কয়েক জায়গায় দৌড়ালাম।আর কয়েকটা দিন ফুরফুরে হাওয়ার ভিতর শুয়ে থাকলাম।
.......
৮.
মেউকা একদিন আমাদের জন্য একটা উপহার পাঠালো।বাক্স খুলে দেখা গেল সেটা একটা এয়ার ফ্রেশনারের বোতল।বোতলের গায়ে একটা নোট 'বাস্তবতার বোতল' ।নতুন জিনিস পেয়ে লিনু ,আমি আর বেবুন খাবলা-খাবলি করে যে যতটুকু পারলাম একে অন্যকে স্প্রে করলাম।কিন্তু কিছুক্ষণ পর খেয়াল করলাম বাস্তবতার বিটলা গন্ধে আমার বমি আসছে!শুধু তাই না,নিঃশ্বাসও বন্ধ হয়ে আসছে।একসময় আমি হড়বড় করে বমি করে দিলাম!বাস্তবতার কাল ধোঁয়ায় ঘরের ভেতর থাকা যাচ্ছিল না।তাই লিনু আর বেবুনকে খামচি দিয়ে ধরে বাইরে নিয়ে আসতে গেলাম।কিন্তু কোথায় লিনু!কোথায় বেবুন!ওদের পুরানো কঙ্কাল ধূসর চাদর বিছানো বিছানায় খুঁজে পেলাম স্টেডিয়াম মার্কেট থেকে কেনা টর্চলাইটের সাহায্যে ।আমি পৃথিবীর সবাইকে চিৎকার করে ডাকলাম!কিন্তু রাতের শেয়ালদের ডাকের ভেতরে কেউ আমার চিৎকার শুনতে পারল না।
আমার রাগ লাগল মেউকার উপরে।অভিশপ্ত মেউকা আমার মেজাজ খারাপ করে দিল।ভ্রু কুঁচকে আমি গা ঝাড়া দিলাম।জামা-কাপড়ও ঝেড়ে নিলাম।
৯.
রাত অনেক গভীর হলে আমি বারান্দায় এসে দাঁড়ালাম।এটা কমলালেবুর মতোন গোল এই পৃথিবীর একটা বারান্দা।আর আমার দুই চোখ বড় বড় করে দেখলাম,বয়ে যাচ্ছে সুখের পিছলা বাতাস !!
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে এপ্রিল, ২০১০ রাত ১:৫৩

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




