আমাদের সমাজের বেশিরভাগ অবৈধ কাজগুলো একই রকমভাবে বারবার হতে থাকে। যৌনতা ব্যপারটি মানুষের কাছে খুব গোপনীয় একটি কাজ। কতটা গোপনীয় তা নিয়ে খুব বেশি কিছু বলার নেই। আমাদের দেশে ছেলে মেয়েদের সাধারণ চুম্বন দৃশ্য সচরাচর দেখা যায়না। তবে পার্ক কিংবা বিশেষ স্থানগুলোতে তা নিয়মিত। বিগত পর্ব গুলোতে নিজের জানা বাস্তব কিছু ঘটনা বলতে চেয়েছি, এর পরিনতিও বলেছি। কে কিভাবে নিচ্ছে তা আমি জানিনা। তবে এমন কিছুই তুলে ধরবার চেষ্টা করেছি যা শুধু আমাদের সমাজই কেন, পাশ্চাত্য সমাজও তা মেনে নিতে চায়না। এমন ঘটনা আজও বলার চেষ্টা করব।
এ ঘটনাটি স্বাভাবিক । মানে এমন ঘটনা অনেক জায়গাতেই ঘটে। অনেক পরিবারেই এ নিয়ে খুব বাজে পরিস্থিতির শিকার হচ্ছে। এমন ঘটনা গুলো মূলত হয়ে থাকে মেয়েদের সাধারণ কান্ড জ্ঞানহীন আবেগ ও এর মূল হোতা নোংরা মনের পুরুষ মানুষটি। স্ত্রীর সাথে বিয়ের আগে দির্ঘ দিন প্রেমের সম্পর্ক ছিল পুরুষটির। পরিবারের সায় না থাকায় পালিয়ে যেয়ে বিয়েও হয়। দু জনের চেহারার তারতম্য ছিল বেশ। ঘরে এমন স্ত্রী থাকা স্বত্বেও কী এক নেশা ছিল তার। যৌনতা তাকে গিলে খেয়েছিল। এমন পরিস্থিতিতে সে নিজেকে নিয়ে যায় যে তার স্ত্রীর বোন অর্থাৎ শ্যালিকাদের সাথে সম্পর্কে জড়িয়ে পরে। ব্যপারটি একসময় তার স্ত্রীর নজরে আসে। প্রতিবাদ করলে শাররীক ভাবে লাঞ্চিত হতে হত তাকে। দির্ঘ এক যুগেরও বেশি সময় এমন খেলা চলতে থাকে। শ্যালিকাদের বিয়ে হয়ে যাবার পরেও না অজুহাতে তাদের দূর্বলতার সুযোগ নিতে থাকে। এক্ষেত্রে মেয়েদের দোষই বেশি হয় বলে আমার বিশ্বাস। অন্যদিকে স্ত্রীর কাছেও প্রশ্রয় পেত সে। সেটা কেন তা আমার বোধগম্য নয়। সে বারবারই তার বোনদেরকেই দোষারপ করতে থাকে। আসলে মেয়েগুলো বুঝতেই পারেনি কখন কিভাবে তারা আপন বড় বোনের স্বামীর খপ্পরে পরে গেছে। ছোট বেলা থেকেই তারা এই লোকটিকে কাছ থেকে চিনত। একাকী সময়ে তাদের অবস্থান যৌনতাকে স্বাভাবিক বানিয়ে ফেলে। আমাদের সমাজে মেয়েদের বহিরাগত পুরুষদের সাথে অবাধে মেলামেশা করার সুযোগ খুব কম হয়। শুধু এমন কিছু ক্ষেত্র বাদে। এমন ঘটনা যখন মীমাংসার বাইরে চলে যায়। লজ্জা বা মানসিক দূর্বলতার কারণে উভয় পরিবারের মুরুব্বী পক্ষ কেউউই এর বিচার না করে আগে পরে নানা কথা বলতে থাকে।
একটা সময় মেয়েগুলো নিজেদের ভুল বুঝতে পারে। নিজেদের পরিবার নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পরে। kick দেয় লোকটিকে। পরিবারের দির্ঘদিনের অশান্তিরও অবসান হয়। এবার শুরু হয় লোকটির নিজের অশান্তির। চরম আর্থিক অভাবে পরে সে। নিজেও বেশ বিব্রত পরিস্থিতিতে পরে। স্ত্রীও অসুস্থ হয়ে পরে। যৌন কাজে বাধা হয় এমন কিছু কঠিন রোগে আক্রন্ত হয় সে। লোকটির বৈধ শাররীক সম্পর্কের পথ বন্ধ হয়ে যায়। আবার আর্থিক অভাব চরমভাবে ঘিরে ধরে তাকে। আমি নিজেই দেখেছি তার চোখে মুখে যৌন ক্ষুধা, যা মেটাবার জন্য কেউই সুযোগ দিতে রাজি ছিলনা। সে দিনগুলো বছরের পর বছর তাকে কুটে কুটে খাবে।
অর্থের অপব্যবহার করে যৌনতা খুব স্বাভাবিক ব্যপার কিন্তু কিছু কিছু সময় আমাদের আশ্চর্য লাগতে পারে কিভাবে কোন মেয়ে বা ছেলে নিজের পরিবারের সামনে এমন সাধারণ আর্থিক লোভে পরে সব বিসর্জন দেয়। এমনই এক মহিলার সুখী পরিবার আছে। ঘরে ছেলে মেয়ে আছে। সুস্থ স্বামী আছে, কিন্তু সে পরকীয়ায় লিপ্ত অন্য কোন পুরুষের সাথে। সে লোকটি টাকা খরচ করত। মহিলার সাথে থাকা অন্য মেয়েদের পেছনেও খরচ করত। বিনিময়ে শুধু সম্পর্ক। এমনকি লোকটির বিয়ে হয়ে যাবার পরে সুযোগ মত নিজের স্ত্রীকে বাবার বাড়ি পাঠিয়ে দিয়ে নিজের কর্ম সাধন করত। অন্যদিকে মহিলা স্বামী এ ব্যাপারে নির্বিকার।
বছর কয়েক পরেই পুরুষটির অপ্রাপ্ত বয়সে হার্টে সমস্যা দেখা দেয়। সাধারণত হার্টে সমস্যা দেখা দিলে যৌন ক্ষমতা দশভাগেরও নিচে নেমে যায়। আমার দেখা বেশ কয়েক জন পুরুষের এমন অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, হার্টের রোগের সবচেয়ে খারাপ দিক গুলোর একটি হল যৌন ক্ষমতা হাড়ানো। যৌনতার সময়ে শরীরে যে স্বাভাবিক খিচুনী আসে , এমন রোগীদের তা বুকের ব্যথা বা হার্ট পেইন বাড়িয়ে দেয়। এমন কি যৌন কাজের মূল কাজটি মেয়েদের দ্বারা সম্পন্ন হয় তাতেও কাজ হয় না। তাই অভিশপ্ত বা যাই হউক সকল পুরুষেরই খাদ্যাভ্যাস ও স্বাস্থ্য সচেতন হওয়া জরুরী।
এবার শেষ কথায় আসি। সেই লোকটির এওমন শাররীক অবস্থার কারণে এমন এক পরিস্থিতির মোকাবেলা করেতে হচ্ছে, যাতে তার সংসার টেকানো কষ্টকর। অন্যদিকে স্ত্রী চলন বলন সন্দেহজনক।
চলবে..................