বাংলাদেশিরা আবেগী জাতি। কোন কিছু রটলে তা আসলেই ঘটল কিনা তা না যাচাই করে হুমড়ী খেয়ে পড়ে। সর্ব শেষ হেফাজতের মতিঝিল ঘটনা এর জলন্ত প্রমাণ। এখনো অনেকে বিশ্বাস করে সেদিন মতিঝিলে দশ হাজার মানুষ মারা পরেছিল। বাস্তবে যা শুধু দশ কিংবা কিছু বেশি। সে সময় অনেক মানুষকেই আগ্রাসী হতে দেখা গেছে।
রোহিংগাদের নিয়ে এবার যা হচ্ছে তা হেফাজতের ঘটনার বিপরীত। সেখানে গন হত্যা হচ্ছে। এটা যে অবিশ্বাস করে তার জম্মে সমস্যা আছে, তার চরিত্র পশুর চাইতেও বেশি খারাপ। এই অবস্থায় অনেক বাংলাদেশী আগ্রাসী হয়ে যাচ্ছে। তাদের কথা বার্তা, সামাজিক যোগাযোগের লেখা বা কমেন্টগুলোতে এর প্রমাণ পাওয়া যায়। সাধারন মানুষেরই যখন এই অবস্থা তখন জেএমবি ও হরকাতুল জিহাদের মত দল। কিংবা জামায়াতের মত দলের সমর্থকদের কী অবস্থা তা একবার ভেবে দেখেন। দির্ঘ মেয়াদে রাখাইনে এমন চলতে থাকলে এদেশের কেউ যে রাখাইনে যেয়ে গ্রেনেড ছুড়বেনা সে কথা কে বলতে পারে (বাংলাদেশের অভ্যন্তরে পরিস্থিতি অনেক ভাল, তারপরেও জেএমবি যা করছে বা চেষ্টা চালাচ্ছে)।
সরকারকে এ ব্যপারে সচেতন হতে হবে। সীমান্ত এলাকায় কোন গ্রুপকেই এগুতে দেয়া যাবেনা। এখন পর্যন্ত আমাদের দেশের সরকার যা করে দেখিয়েছে, যত শান'ত থেকেছে। মানুষ যতটা বাস্তবতা বুঝেছে তাতে সারা বিশ্বের কাছে অনুকরনীয় হতে পারে। কিন্তু দির্ঘ মেয়াদে এমন অবস্থা নাও থাকতে পারে।
সরকার ও পক্ষের দেশগুলোকে এগিয়ে আসতে হবে। এখানে কোন কূট উদ্দ্যেশ্য নাইতো? তালেবান তালেবান করতে করতে করতে পুরো পাকিস্তানই তালেবান হয়ে গেছে। যদিও তাদের রক্তে আগে থেকেই সমস্যা ছিল।