somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মুভি রিভিউঃ Tomorrrowland(2015)

২০ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ১০:১৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :




বহু আগেই আইন্সটাইন প্যারালাল ইউনিভার্সের হালকা পাতলা ধারণা দিয়ে গিয়েছেন। যদিও সেটা তেমন একটা এস্টাব্লিশড থিওরি না। তবে এই ধারণা দিয়ে হলিউডের মুভি নির্মাতারা বেশ পয়সা কড়ি হাতিয়ে নিতে সক্ষম হয়েছেন বৈকি। তবে একদম সরাসরি প্যারালাল ইউনিভার্সের কন্সেপ্ট নিয়ে কাজ করা হয়েছে কি না তা আমার জানা নেই। আমার দেখা কোন মুভি তে এখন পর্যন্ত সেটা পাইনি।
আজকে যে মুভির রিভিউ নামের অত্যাচার আপনাদের উপর করতে এসেছি তাতে এই সরাসরি প্যারালাল ইউনিভার্সের কন্সেপ্ট নিয়ে কাজ করেছে।

আচ্ছা, ধরুন যদি এমন হত, এই পুরো সমাজ খুব পরিকল্পিত এবং নিয়ন্ত্রিত ভাবে একটা নির্দিষ্ট পরিণতির দিকে এগুচ্ছে ?
খুব সূক্ষ ভাবে সবকিছু নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে? ধরুন আপনি সাধারণত প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে এক কাপ চা পান করেন। কোন একদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখলেন চা পান করার সুব্যবস্থা নেই, হয়তো চা পাতা শেষ হয়ে গিয়েছে আগের রাতেই, কিন্তু নিয়ে আসবেন বলেও মনে ছিল না। দিন টা শুরু হল সূক্ষ অপূর্ণতা দিয়ে। অফিসে গেলেন, যাওয়ার পথে বৃষ্টি। কাঁদায় রাস্তা ঘাটের অবস্থা বেসামাল। প্রচন্ড ট্র্যাফিক পেরিয়ে বেশ খানিকটা দেরী করে অফিসে প্রবেশ। একে তো সকালের চা মিস হল, তার উপর অফিস যাওয়ার পথে এই ধকল। অফিসে প্রবেশ করেই সহকর্মির কাছে জানতে পারলেন বস আরো আগেই এসেছে, যেখানে বস সাধারণত আরো দেরী করেই আসেন। যে ফাইলটা আজকে দেওয়ার কথা, সেটা নিয়ে বসলেন। কোনমতে হিসেব মিলিয়ে বসের বারংবার ডাকে সাড়া দিলেন। এবং বসের কাছে ফাইলটা অবশেষে হস্তান্তর করলেন। কিছুক্ষণ পরেই ডাক এলো বসের রুম থেকে। ফাইলে হিসেবে গন্ডগোল। হল ষোলকলা পূর্ণ আপনার দিনের ? সবকিছুই কোইন্সিডেন্স বলে চালিয়ে দেওয়া যায় খুব সহজেই। কিন্তু শুরুটা হয়েছিল আপনার চা পাতা ভুলে যাওয়া দিয়েই। যদি বলি এই ব্যাপারগুল কোন একভাবে নিয়ন্ত্রত হচ্ছে ?
এখানে আমি নিতান্ত সাধারণ কিছু ঘটনা নিয়ে একটি ঘটনাচক্র বোঝানোর চেষ্টা করেছি, এটাকে আরো বৃহদাকারে কল্পনা করুন, ধরুণ ব্যাপারটা সামান্য আপনি কে ঘিরে নয়, পুরো বিশ্ব, পুরো সোলার সিস্টেম কে ঘিরে হচ্ছে ? এই সূক্ষ নিয়ন্ত্রিত ব্যাপারটা পুরো বিশ্ব কে ঘিরে হচ্ছে? কেমন হবে?

এই যে আইন্সটাইন, প্যারালাল ইউনিভার্সের তত্ত্ব নিয়ে কাজ করেছেন। পুরোটা শেষ করতে পারেননি। শুধুমাত্র একটা ধারণা প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছিলেন। ধরুন, যদি এমন হয় যে আসলেই প্যারালাল ইউনিভার্স আছে? আইন্সটাইন সেটা বুঝে ফেলার আগেই সেই ইউনিভার্স থেকে কেউ আইন্সটাইনের মৃত্যুর ব্যবস্থা করলো ? আর সেটা খুব সুন্দর করে সাজিয়ে দেওয়া হল, যেন কারো মনে কোন সন্দেহ না আসে ?



অসুখ তো কারণে হয়, অসুখের পেছনের কারণগুলো যদি খুব সুনিপুণ ভাবে নিয়ন্ত্রিত হয়ে থাকে ? ভাবার অনেক কিছু আছে, তাই না এ ব্যাপারে ? হয়তোবা ধর্মের সাথে এই ব্যাপারগুলো কনফ্লিক্ট করবে। তাই আমাদের তা এড়িয়ে যাওয়াই শ্রেয়। অনেকেই তা বলবেন। কিন্তু এখানে আমি সামান্য কাল্পনিক মুভি নিয়ে বলছি, তাই কল্পনা করতে নিশ্চয় খুব একটা বাধবে না ?
এখন পর্যন্ত আমরা জানি যে, আমরা আপাতত আমাদের সোলার সিস্টেমে সবচেয়ে বুদ্ধিমান প্রাণী। কিন্তু এমন কি হতে পারে না, যে আমরা আমাদের মতই কোন বুদ্ধিমান প্রাণীর সামান্য গিনিপিগ ? তাদের কোন এক বড় পরীক্ষার বড় একটা অংশ ?
এই যে আমাদের টেকনোলজি দিন দিন এত উন্নত হচ্ছে, ধরুন আমাদের এই ব্রিলিয়ান্ট মাইন্ড গুলো একই সাথে এক স্থানে কিছুদিন রাখা হলে ? যে কোন সমস্যা কি আরো দ্রুত সমাধান করা সম্ভব হবে না ?
বিজ্ঞানিদের যে কোন ধারণা হাজার চড়াই উতড়াই পেরিয়ে তারপর তা পরীক্ষালব্ধ প্রক্রিয়ার দ্বারা ফলাফল প্রকাশিত হয়। কেমন হত যদি সব মেধাবী মুখগুলো একই সাথে একটি জিনিস নিয়ে ভাবে ? তাহলে যে কোন সমস্যা কি আরো দ্রুত সমাধান করা সম্ভব হত না ?
এখন ধরুন এদেরকে যদি একটা নির্দিষ্ট প্লানেটের দায়িত্ব দেয়া হয়, যেখানে তারা প্রযুক্তিগত উন্নতি সাধণ করায় ব্যস্ত থাকবে। তাদের ধারণা নিয়ে কাজ করার সমূহ উৎস ও কাঁচামাল একদম হাতের কাছেই চাইলেই পাবে। তাহলে কি সেই প্লানেটের প্রযুক্তিগত উন্নয়ন আরো বেশি তরান্বিত হত না ?
সাধারণ উত্তর, অবশ্যই হত। এটা অস্বীকার করার সুযোগ নেই। এই যে এত ধারণা আর এত কল্পনার শেকল পরিয়ে দিলাম পাঠকদের, তা থেকে মুক্তি পেতে অল্প একটু কষ্ট করে Tomorrowland(2015) মুভিটি দেখলেই আশা করি সব প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন। এসব ধারণা ও প্রশ্ন নিয়েই এই মুভিটির ঘটনাচক্র সাজানো হয়েছে। বাকিটা, মুভি দেখেই নাহয় স্পষ্ট ধারণা নিবেন।


মুভিটি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতেঃ আই এম ডি বি লিংক
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ১০:১৯
৩টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতকে জানতে হবে কোথায় তার থামতে হবে

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৫


ইন্ডিয়াকে স্বপ্ন দেখানো ব্যাক্তিটি একজন মুসলমান এবং উদার চিন্তার ব্যাক্তি তিনি হলেন এপিজে আবুল কালাম। সেই স্বপ্নের উপর ভর করে দেশটি এত বেপরোয়া হবে কেউ চিন্তা করেনি। উনি দেখিয়েছেন ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

×