somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মুভি রিভিউঃ Spare Parts(2015)

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ২:০৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :





স্বপ্ন দেখা যখন আপনার জন্য অসম্ভব হয়ে পরে, জীবনটা খুব বেশি তেঁতো লাগে।
তখনই হয়তো বা মূলত স্বপ্নের দরজা আপনার খুব নিকটে থাকে।

সাধারণত আমরা অনেক দূর দূরান্তের বা আশেপাশের অনেক সাধারণ মানুষের মাঝে অসাধারণ কিছু দেখে বিস্মিত হই বেশ। যাদের অসাধারণ হবার নেই সুযোগ, নেই সুবিধা। চর্চা করার যাদের নেই কোন উৎকৃষ্ট পরিস্থিতি। যুগে যুগে অসাধারণ কিছু মূলত বেশিরভাগ সময়ই এসেছে এমনই নিগৃহীত সাধারণের কাছ থেকে। অতীব সাধারণ হয়েও যেখানে অসাধারনের বীজ রোপিত থাকে, এবং বেশি না! খানিকটা জল যে বীজকে উৎকৃষ্ট চারায় রুপান্তর করতে সক্ষম এমনই এক বাস্তব ঘটনা নিয়েই নির্মিত এই মুভিটি।
যেখানে জীবন যুদ্ধে পরাজিত হওয়া নিগৃহীত পরিবার থেকে উঠে আসে কিছু অসাধারণ মেধা, এবং সেরাদের সেরারাও অবাক বিস্ময়ে তাকিয়ে রয় যাদের প্রতিভা দেখে, এমনই চার কিশোরের বাস্তব কাহিনী নিয়ে নির্মিত মুভিটি আপনাকে বেশ উৎসাহ দিবে। জীবনে কিছু জটিল ব্যাপার নতুন আঙ্গিকে দেখার প্রেরণা দিবে।

স্বপ্ন দেখছেন বিশাল বড়, দোষের কি ? চেষ্টা করে নাহয় বড় স্বপ্নের খানিক স্বাদ যদি বাস্তবে পাওয়া যায়, ক্ষতি কি ?
ছোট স্বপ্ন নিয়ে এতদূর এসে, যদি বড় স্বপ্নের ছোট অংশিদার হতে পারা যায়, তবে হয়তো বা আক্ষেপ থাকবে না। ছোট স্বপ্নটি পূরণের যেখানে সুযোগ নিতান্তই অল্প, বাস্তবতায়। সেখানে নাহয় বড় স্বপ্নের জন্য দৌড়ে, খানিকটা স্বাদ নেয়া গেলো? মন্দ কি তাতে?
আর এমনই করে বড় স্বপ্ন নিয়ে এগিয়ে যায় চার কিশোর। তাদের সঙ্গী হয় খনিকের তরে তাদের স্কুলে পড়াতে আসা এক শিক্ষক, যিনি একজন ইঞ্জিনিয়ার। বাস্তবতার কঠোরতায় যিনি ভালো ভালো অনেক চাকরি ছেড়ে এলেন নিতান্তই সাধারণ এক স্কুলে স্বল্পমেয়াদী শিক্ষকের পদে। আর এসেই ঘটনাচক্রে জড়িয়ে পরেন কিছু মেধাবী ছাত্রের সাথে, যাদের হয়তো ভালো কিছু করার মেধা আছে। কিন্তু নেই ব্যবস্থা বা পরিস্থিতি।
ঘটনার শুরু হয় এক কিশোরের স্বপ্ন ভঙ্গ দিয়ে, যার ছোটবেলা থেকেই স্বপ্ন সৈনিক হওয়ার। কিন্তু জাতীয়তা না থাকার দরুন সে স্বপ্ন ভেঙ্গে যায়। তারপরেই সে এই অবস্থাতেই খুঁজে পায় নতুন স্বপ্নের দুয়ার। যেখানে হাঁটতে গিয়ে পরিচিত হয় আরো তিন কিশোরের সাথে। এভাবেই চারজন মিলে এগিয়ে যায় ধীরে ধীরে মূল স্বপ্নের দিকে, আর তাদের এই স্বপ্নের অভিভাবক হন সেই শিক্ষক, যিনি হুট করে অতীত থেকে পালিয়ে আবারো এই চার কিশোর কে পেয়ে অতীতের আঁধারের সম্মুখীন হন। আর সেই আঁধার চিড়েই আলো নিয়ে আসেন তারা পাঁচজন একসাথে মিলে। ছোট্ট আশায় বুক বেঁধে হেঁটে চলা এই দলটি লক্ষ্য ছিল তাদের প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও ভালো কিছু করে দেখানোর। আর এই আশাই তাদের ফলস্বরুপ ভালো কিছু দেয় বটে, তবে মূল ফলাফল করে ফেলে হতাশ। হয়তো তারা এর চেয়ে বেশি কিছু করে দেখাতে পারতো। যদি কিছু কিছু ভুল বা কিছু কিছু সুযোগ সুবিধা একটু বেশি পেতো। তারপরো তারা দমে না গিয়ে অপেক্ষা করে, এবং স্বপ্ন দেখে। হবে কি তাদের স্বপ্ন পূরণ!! অবশেষে !!

মুভিটিতে তেমন উল্লেখযোগ্য কিছু নেই। অভিনয় বা চিত্রনাট্যও এখানে বিশেষ কিছু নয়। অভিনেতা অভিনেত্রীরাও বিশাল কেউ নন। শুধুমাত্র কাহিনীটিই মুভিটিকে বিশেষ অবস্থানে নিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছে, আমার কাছে। আমি বরাবরই বাস্তব ঘটনা নিয়ে নির্মিত মুভি বেশি পছন্দ করি। আশা করি আপনাদেরও ভালো লাগবে। যারা সাধারণ থেকে অসাধারণ কিছু বেড়িয়ে আসার বাস্তবিক ব্যাপারটা উপভোগ করেন তাদের জন্য মুভিটি ভালো একটা অপশন।

মুভিটির বিস্তারিত জানতেঃ আই এম ডি বি
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ২:১০
৪টি মন্তব্য ৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে...

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে,
পড়তো তারা প্লে গ্রুপে এক প্রিপারেটরি স্কুলে।
রোজ সকালে মা তাদের বিছানা থেকে তুলে,
টেনে টুনে রেডি করাতেন মহা হুলস্থূলে।

মেয়ের মুখে থাকতো হাসি, ছেলের চোখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অহমিকা পাগলা

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১৪


এক আবেগ অনুভূতি আর
উপলব্ধির গন্ধ নিলো না
কি পাষাণ ধর্মলয় মানুষ;
আশপাশ কবর দেখে না
কি মাটির প্রণয় ভাবে না-
এই হলো বাস্তবতা আর
আবেগ, তাই না শুধু বাতাস
গায়ে লাগে না, মন জুড়ায় না;
বলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

হার জিত চ্যাপ্টার ৩০

লিখেছেন স্প্যানকড, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩




তোমার হুটহাট
চলে আসার অপেক্ষায় থাকি
কি যে এক ছটফটানি
তোমার ফিরে আসা
যেন প্রিয় কারো সনে
কোথাও ঘুরতে যাবার মতো আনন্দ
বারবার ঘড়ি দেখা
বারবার অস্থির হতে হতে
ঘুম ছুটে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবনাস্ত

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৪৪



ভোরবেলা তুমি নিশ্চুপ হয়ে গেলে একদম,
তোমার বাম হাত আমার গলায় পেঁচিয়ে নেই,
ভাবলাম,তুমি অতিনিদ্রায় আচ্ছন্ন ,
কিন্তু এমন তো কখনো হয়নি
তুমি বরফ জমা নিথর হয়ে আছ ,
আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে দেশে সকাল শুরু হয় দুর্ঘটনার খবর দেখে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:১১

প্রতি মিনিটে দুর্ঘটনার খবর দেখে অভ্যস্ত। প্রতিনিয়ত বন্যা জলোচ্ছ্বাস আসে না, প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার খবর আসে। আগে খুব ভোরে হকার এসে বাসায় পত্রিকা দিয়ে যেত। বর্তমানেও প্রচলিত আছে তবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×