আজ দুই সপ্তাহ ধরে এটি আমার বাসার দুতলার বারান্দার কোনায় অবস্থান করেছে।বুঝতে পারি চারপাশের বিপন্ন পরিস্থিতি থেকে রক্ষা পেতে সে আমার ঘরকে নিরাপদ ভেবেছে।দ্রুত দৌড়ে পালায় বিধায় ভালো করে ছবি নিতে পারি নাই।
ইদানিং চট্টগ্রামে একটি গুজব ছড়িয়ে পড়েছে যে,তক্ষক বা স্থানীয় ভাষায় টট-টেং এর ওজন যদি ৩০০গ্রামের উপর হয় তার দাম নাকি ৪লাখ টাকা।তাই আগ্রহী একদল লোক এই নিরীহ প্রানীটিকে নিশ্চিহ্ন করতে নেমে পড়েছে।
বাস্তবে পুরোটাই সম্পুর্ন মিথ্যা অপপ্রচার।এইসব নিরীহ প্রানীর বিলুপ্তি বাস্তুজগতের এক একটি পর্বের চিরতরে বিদায়ের পুর্বসংকেত।
তাই যতদিন এটি আমার কাছে থাকবে আমি এটিকে নিরাপদে রাখবো।নিচে তক্ষক বা টট-টেং এর একটি ক্ষুদ্র বিবরন দিলাম,
তক্ষক (Gecko) Lacertilia বর্গের Gekkonidae গোত্রের একটি গিরগিটি প্রজাতি। পিঠের দিক ধূসর, নীলচে-ধূসর বা নীলচে বেগুনি-ধূসর। সারা শরীরে থাকে লাল ও সাদাটে ধূসর ফোঁটা। পিঠের সাদাটে ফোঁটাগুলি পাশাপাশি ৭-৮টি সরু সারিতে বিন্যস্ত। কমবয়সী তক্ষকের লেজে পরপর গাঢ-নীল ও প্রায় সাদা রঙের বলয় রয়েছে। মাথা অপেক্ষাকৃত বড়, নাকের ডগা চোখা ও ভেঁাতা। চোখ বড় বড়, মণি ফালি গড়নের। লেজ সামান্য নোয়ানো। দৈর্ঘ্য নাকের ডগা থেকে পা পর্যন্ত ১৭ সেমি এবং লেজও প্রায় ততটা। তক্ষকের ডাক চড়া, স্পষ্ট ও অনেক দূর থেকে শোনা যায়। ডাকের জন্যই এই নাম। কক্কক্ আওয়াজ দিয়ে ডাক শুরু হয়, অতঃপর ‘তক্-ক্কা’ ডাকে কয়েক বার ও স্পষ্টস্বরে। এরা কীটপতঙ্গ, ঘরের টিকটিকি,ছোট পাখি ও ছোট সাপ খেয়ে থাকে। ছাদের পাশের ভাঙা ফাঁক-ফোঁকড় বা গর্তে অথবা গাছে বাস করে। ব্যাপক নিধনই বিপন্ন হওয়ার কারণ। অনেকে ভুলক্রমে তক্ষককে বিষাক্ত সরীসৃপ হিসেবে চিহ্নিত করে। দেশী চিকিৎসায় এদের তেল ব্যবহূত হয়।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


