somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

হোটেল রোয়ান্ডা

০১ লা জুলাই, ২০০৭ রাত ১১:৪৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

১৯৯৪ সালে রোয়ান্ডাতে হুতু আর টুসি গোত্রের মধ্যে জাতিগত যুদ্ধের লোমহর্ষক কাহিনী নিয়ে নির্মিত এই মুভি। মৃত্যুকে কত কাছ থেকে দেখে ফিরে আসা যায় জীবনে তার কিছুটা অনুভূতি পাওয়া যেতে পারে এই মুভিতে।

মুভির শুরুটা একটা রেডিও ষ্টেশন দিয়ে যেখানে প্রচারিত হচ্ছে- তুসি বিরোধী বক্তব্য, তাদেরকে বলা হচ্ছে তেলাপোকা, খুনি ইত্যাদি। গৃহযুদ্ধের মধ্যে এই ধরনের প্রচারনা পরিস্তিতিকে আরও নাজুক করে তুলছে।

পল ও তার বউ এরই মধ্যে ভালমত জীবন ধারন করছে তিন ছেলেমেয়েকে নিয়ে। দেশের একমাত্র স্বনামধন্য হোটেলের ম্যানেজার পল। দেশের উচ্চপদস্ত সব কর্তাব্যাক্তি, বিদেশী ভিজিটরদেরকে নিয়ে পল তার হোটেল ব্যবসা ভাল চললেও - যুদ্ধ শহরের দিকে আসায় পলের টেনশন ক্রমাগত বাড়তেই থাকে।

মুভির শুরুর দিকে পল তার বন্ধু এক্সট্রিমিষ্ট হুতু, দলের ডেপুটি জর্জকে দেখতে যায়। পল জানে তাদের জন্য খুব খারাপ দিনগুলো অপেক্ষা করছে- এই চিন্তাকে কিছুটা কমিয়ে দেয় এই ভেবে যে প্রেসিডেন্ট ও ইউএন এর মধ্যকার শান্তি চুক্তি। হঠৎই পল খবর পায় প্রসিডেন্টকে হত্যা করেছে- তুসি এক্সট্রিমিষ্ট। সারা দেশ জুড়ে ছড়িয়ে পরে গৃহযুদ্ধ- দাবানলের মত।

পরিস্থিতির মারাত্মক অবনতি হলে ইউএন শান্তিরক্ষা বাহিনী প্রত্যাহার করে নেয়। সেনাবাহিনী হোটেলের দখল নিতে এলে অনেক চেষ্টার পরে তা থেকে মুক্তি পায় পল। এরই মধ্য দিয়ে মুভির কাহিনী আরও অনকে দুর এগিয়ে যায়। বাকীটা না হয় নিজেই দেখুন।

মুভির পরের অংশঃ
[পল ১২৬৮ জন হুতু ও তুসি শরনার্থীকে রক্ষা করে। পল ও তার পরিবার বর্তমানে বেলজিয়ামে বসবাস করছে।

২০০২ সালে জর্জ ও সেনাবাহিনীর প্রধানকে গ্রেপ্তার করে যুদ্ধাপরাধ আইনে বিচার করে ফাঁসি দেওয়া হয়]
১৪টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

একটি ছবি ব্লগ ও ছবির মতো সুন্দর চট্টগ্রাম।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৩৮


এটি উন্নত বিশ্বের কোন দেশ বা কোন বিদেশী মেয়ের ছবি নয় - ছবিতে চট্টগ্রামের কাপ্তাই সংলগ্ন রাঙামাটির পাহাড়ি প্রকৃতির একটি ছবি।

ব্লগার চাঁদগাজী আমাকে মাঝে মাঝে বলেন চট্টগ্রাম ও... ...বাকিটুকু পড়ুন

মেহেদী নামের এই ছেলেটিকে কি আমরা সহযোগীতা করতে পারি?

লিখেছেন ইফতেখার ভূইয়া, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১০:০৪


আজ সন্ধ্যায় ইফতার শেষ করে অফিসের কাজ নিয়ে বসেছি। হঠাৎ করেই গিন্নি আমার রুমে এসে একটি ভিডিও দেখালো। খুলনার একটি পরিবার, ভ্যান চালক বাবা তার সন্তানের চিকিৎসা করাতে গিয়ে হিমশিম... ...বাকিটুকু পড়ুন

দ্য অরিজিনস অফ পলিটিক্যাল জোকস

লিখেছেন শেরজা তপন, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১১:১৯


রাজনৈতিক আলোচনা - এমন কিছু যা অনেকেই আন্তরিকভাবে ঘৃণা করেন বা এবং কিছু মানুষ এই ব্যাপারে একেবারেই উদাসীন। ধর্ম, যৌন, পড়াশুনা, যুদ্ধ, রোগ বালাই, বাজার দর থেকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। ভালোবাসা নয় খাবার চাই ------

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৯ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:০৬


ভালোবাসা নয় স্নেহ নয় আদর নয় একটু খাবার চাই । এত ক্ষুধা পেটে যে কাঁদতেও কষ্ট হচ্ছে , ইফতারিতে যে খাবার ফেলে দেবে তাই ই দাও , ওতেই হবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জাতীয় ইউনিভার্সিটি শেষ করার পর, ৮০ ভাগই চাকুরী পায় না।

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৯ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৭



জাতীয় ইউনিভার্সিটি থেকে পড়ালেখা শেষ করে, ২/৩ বছর গড়াগড়ি দিয়ে শতকরা ২০/৩০ ভাগ চাকুরী পেয়ে থাকেন; এরা পরিচিত লোকদের মাধ্যমে কিংবা ঘুষ দিয়ে চাকুরী পেয়ে থাকেন। এই... ...বাকিটুকু পড়ুন

×