খেলাফত বা প্রতিনিধিত্ব বলতে কি বুঝায় এটা জানা আমাদের জন্য খুব জরুরী। কারণ মানুষকে তৈরী করা হয়েছে আল্লাহর খলিফা হিসেবে। আর যাকে যে কাজের জন্য তৈরী করা হয়েছে সেই কাজ ঠিকমত করাই তার জন্য ইবাদত। খেলাফতের মুল বিষয়টা আমাদের কাছে অস্পস্ট হয়ে যাওয়াতে আমরা ছোট খাট বহু বিষয় নিয়ে মতপার্থক্য করেছি এবং বহু দলে বিভক্ত হয়ে পরেছি।
খেলাফতের ব্যাপারে সবচেয়ে প্রচলিত ধারনা হচ্ছে রাস্ট্রীয় ব্যাবস্থায় ইসলামী বিধান চালু করা।খেলাফতের অর্থ যদি হয় রাস্ট্রীয় পর্যায়ে ইসলাম প্রতিষ্ঠা তাহলে বলতে হবে মুসলমানগন বা সামগ্রিকভাবে মানুষ জাতি তার সৃস্টির উদ্যেশ্ব খেলাফতের দ্বায়িত্ব পালন করেছে মাত্র তিন দশক। এ'খানে কয়েকটি গুরুত্বপুর্ণ প্রশ্ন এসে যাচ্ছে -১. তাহলে কি আল্লাহর মানুষ সৃস্টির উদ্যেশ্ব ব্যার্থ হয়েছে? ফেরেশতারা যে আশংকা প্রকাশ করেছিল অর্থাৎ খেলাফতের উদ্যেশ্বে মানুষ সৃস্টি করা হলে তারা পৃথিবীতে বিপর্যয় সৃস্টি করবে - সেটাই কি সত্য হল? অথবা শয়তান যে চ্যালেঞ্জ দিয়েছিল মানুষকে বিভ্রান্ত করার সেই চ্যালেঞ্জে কি সে জিতে গেছে - আর তার পরও আল্লাহ পৃথিবী টিকিয়ে রেখেছেন? ২. বহু বিজ্ঞ আলেম অলি আউলিয়ার জন্ম হয়েছে খেলাফত শেষ হয়ে রাজতন্ত্র শুরু হবার পর। চার মাজহাবের চার ইমাম এবং ছিয়াছিত্তার ছয়জন হাদিস সংগ্রাহক কাজ করেছেন রাজতন্ত্রের অধীনে। অথচ তারা কেউ রাজতন্ত্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষনা বা ব্যাপক সংগ্রামের উদ্যোগ নেননি। কেন? তারা সবাই কি ভুল করেছেন আর আজকে যারা রাস্ট্রীয় ব্যাবস্থায় ইসলাম প্রতিষ্ঠাকেই খেলাফতের একমাত্র পথ হিসেবে বর্ণনা করছে এবং যেকোন উপায়ে এমনকি আত্মঘাতী বোমা হামলা করে হলেও তা বাস্তবায়নের চেস্টা করছে তারাই কি ইসলাম সবচেয়ে ভাল বোঝে? ৩. রাস্ট্রীয় পর্যায়ে ইসলাম প্রতিষ্ঠাই যদি খেলাফতের একমাত্র পথ হয় তাহলে সেই দ্বায়িত্বতো কেবলমাত্র অল্প সংখ্যক মানুষ পালন করবে। খেলাফত প্রতিষ্ঠাকালীন আন্দোলন বা খেলাফত প্রতিষ্ঠিত হবার পর তা পরিচালনার জন্য সকল মানুষের প্রয়োজন কখনই হবে না। অথচ আল্লাহ কিছু সংখ্যক মানুষ নয়, এমনকি শুধুমাত্র মুসলমানগনও নয় বরং পুরো মানব জাতিকেই বলেছেন তার খলিফা বা প্রতিনিধী। সেটা কি করে সম্ভব?(চলবে)
এটি একটি বড় লেখা থেকে সংগৃহিত উল্লেখযোগ্য অংশ। মুল লেখাটি পাবেন এখানে :মহাসত্যের পরিচয়
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:৫৮

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




