ইসলামী ব্যাংকিং সম্পর্কে মানুষের আগ্রহ ক্রমাগত বাড়ছে। এ'নিয়ে ইতিবাচক এবং নেতিবাচক উভয় ধরনের আলোচনা/সমালোচনা দেখা যায়। তবে আলোচনাগুলি প্রধানত 'সুদ' কেন্দ্রিক হয়ে থাকে। ফলে ব্যাংকিং ব্যাবস্থার আসল যে সমস্যা বা ক্ষতিকর দিক তা থেকে যায় দৃস্টির আড়ালে।
ব্যাংকিং ব্যাবস্থার আসল সমস্যা হচ্ছে সম্পদ পুঞ্জীভুত করা। পুঁজিবাদী অর্থনৈতিক ব্যাবস্থায় বিকশিত হওয়ার কারণে অনেকের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র সঞ্চয় একিভুত করে বৃহৎ পুঁজি তৈরী করার লক্ষ নিয়েই ব্যাংকিং ব্যাবস্থা গড়ে উঠেছে। তাই সুদভিত্তিক প্রচলিত ব্যাংক হোক আর মুনাফা ভিত্তিক ইসলামী ব্যাংকিংই হোক - উভয়েই সম্পদ পুঞ্জীভুত করে অল্প কিছু মানুষের হাতে তুলে দেয়ার কাজটি ঠিকই করছে। ফলে সমাজে ধনী দরিদ্রের ব্যাবধান বেড়ে যাচ্ছে, বাড়ছে সামাজিক অস্থিরতা - আজ তাই পুঁজিবাদের পিতৃভুমী খোদ মার্কিন যুক্তরাস্ট্রেই দাবি উঠেছে ১% এর হাতে সকল সম্পদ থাকা চলবে না।
ইসলামী অর্থনীতির অন্যতম মুল বৈশিস্ট হচ্ছে সম্পদের যথাসম্ভব সুষম বন্টন এবং অল্পকিছু লোকের হাতে সকল সম্পদ পুঞ্জিভুত হওয়া প্রতিরোধ করা। ইসলামী ব্যাংকিং ব্যাবস্থা যদি সম্পদ পুঞ্জিভুত করার প্রকৃয়া থেকে বেরিয়ে আসতে না পারে তাহলে অচিরেই প্রচলিত সুদী ব্যাংকের সাথে তাদের তেমন কোন পার্থক্য খুঁজে পাওয়া যাবে না।
___________________________________________________
ইসলামী অর্থনীতি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে মহাসত্যের পরিচয় সাইটে প্রকাশিত লেখাগুলি পড়ুন।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




