৭১ এর সংগ্রামে কিছু সুযোগ সন্ধানী চিকন বুদ্ধির লোক রাতের অন্ধকারে একই বাড়ি একই জমি তিন চার লোকের কাছে বিক্রি করে দেশ ছেড়ে পাশের দেশে পালিয়েছে। বাড়ি জমি পানির দরে বিক্রি করেছে নাকি সোনার দরে বিক্রি করেছে এই পোস্টে তা আলোচনার বিষয় নয়। বেশ কয়েক বছর যাবত তাদের সেই দেশের নাগরিকত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। উক্ত দেশের সরকার হয়তো ভাগুরা লোকদের উদ্বাস্তু করে দিতে পারে। তাদের উদ্বাস্তু করবে কি করবে না তাও আমাদের দেখার বিষয় নয়, ভাবনারও বিষয় নয়। তারা এখন বাংলাদেশেও আর ফেরত আসতে পারছে না। বাংলাদেশে তিন চারজনের কাছে বাড়ি জমি বিক্রি করে বড় ধরনের ঝামেলা ও ক্রেতাদের মাঝে শত্রুতা তৈরি করে দিয়ে গিয়েছে আজীবনের জন্য। সম্পত্তি বিক্রি করেছে তাদের নিজ ও জাতভাইদের সাক্ষি প্রমাণ স্বাক্ষর ও টিপসই সহ। তাই বাংলাদেশে ফেরত আসাটাও এখন আর নিরাপদ নয়। থানা কোর্ট জেল হাজত হবে নিশ্চিত। যাইহোক, জীবিত মানুষের টিপসই তো আর অদল বদল করা সম্ভব নয়! আর পর্যাপ্ত পরিমান ক্যাশ নিয়ে বাংলাদেশ ছেড়েছে বিধায় পাশের দেশে তৎকালীন বাড়ি জমি কিনে নিতে পেরেছে। দলিলপত্র তারিখ সাব রেজিস্টার প্রমাণ তাই বলে। ৭১ - ৭২ এ ওপারে গিয়ে হুটহাট ক্যাশ টাকা দিয়ে বাড়ি জমি কেনাটাই ভাগুরাদের জন্য এখন কাল হয়ে দাড়িয়েছে।
সমস্যা হয়েছে উক্ত ভাগুরা লোকদের বাংলাদেশের প্রতি প্রবল আক্রোশ, বাংলাদেশের প্রতি তাদের প্রবল বিদ্বেষ। বাংলাদেশের শত সহস্র ভালো তাদের চোখে পরবে না। কোন কোনায় কে আইক্কা ওয়ালা বরাক বাঁশ পেয়েছে তা নিয়ে তারা উন্মাদ হয়ে পরে। কি দিন - কি রাত্রি চোখ বন্ধ করলেই তারা স্বপ্নে দেখে কেউ না কেউ আইক্কা ওয়ালা বরাক বাঁশ নিয়ে তাদের তাড়া করছে, দৌড়াচ্ছে আর ভাগুরা দিগম্বর হয়ে লোকালয়ে দৌড়াচ্ছে কিন্তু তাকে সাহায্যে করতে কেউ এগিয়ে আসছে না।
ভাগুরাদের উন্মাদনায় পেয়ে বসেছে। উন্মাদনায় তাদেরকে দেখা যায় বাংলাদেশ বিরোধী অত্যন্ত নোংরা নিম্ন শ্রেণীর মন মানসিকতাপূর্ণ রম্য লিখে যাচ্ছে। নিম্ন শ্রেণীর রম্য লিখে তারা এতোটাই উন্মাদ হয়েছে যে, রিতিমতো তাদেরকে ভর দুপুরে উন্মাদ হাসাপাতালে (মানসিক হাসপাতালে) সিরিয়াল দিতে দেখা যায়। এখন উন্মাদ হাসপাতালে ডাক্তারের কাছে ঔষধ বিক্রিবাট্টার জন্য হাজিরা দিচ্ছে নাকি নিজের উন্মাদনার জন্য হাজিরা দিচ্ছে তা জানা নেই। জানার প্রয়োজনও নেই।
শেষকথা: বাংলাদেশ আমাদের দেশ। বাংলাদেশ নিয়ে আমরা ভালো মন্দ আলোচনা করবো। কিন্তু পাশের দেশের কারো কাছে কোনো মতামত বা ভালো মন্দ আলোচনার নামে সরিষার তৈল, নিম্ন শ্রেণীর রম্য, টিপ্পনি কখনো আশা করিনা। তারা তাদের নিজ দেশ নিয়ে চিন্তা করুক (যদি নিজ দেশ বলে কিছু থেকে থাকে) এবং এটিই কাম্য। আপাতত তাদের এহেন মানসিক অসুস্থতার জন্য আমরা আর কিইবা করতে পারি? আমরা তাদের সান্ত্বনা স্বরুপ শুধু বলতে পারি GET WELL SOON.
প্রচ্ছদ ছবি: নিজের তৈরি। লাল সাদা রঙে সাবধানী ও সতর্কতা বা হুশিয়ারী সাইনটি করা হয়েছে ব্লগার মোহাম্মদ গোফরান ভাইয়ের পরামর্শে। তাঁর পরামর্শের জন্য তাঁকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১:৩৩