somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

দুই সতীনের কাইজ্যা

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২৫ রাত ১১:২২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



কয়েকদিন যাবত এক মৃত ব্যক্তির দোষগুণ নিয়ে দেশের আপামর জনতা অনলাইন মোটামোটি গরম করে রেখেছেন। মৃত ব্যক্তিটি হচ্ছেন আমাদের দেশের সবচেয়ে নামী দামী ও সম্পদশালী লেখক। আমাদের দেশে দুইজন লেখক লেখালেখি করে সবচেয়ে বেশি সম্পত্তি করেছেন। একজন কাজী আনোয়ার হোসেন সাহেব আরেকজন হুমায়ূন আহমেদ সাহেব। হুমায়ূন আহমেদ সাহেব গত হয়েছেন এক যুগেরও বেশি সময় হয়ে গিয়েছে। অনলাইনে যেই বিষয়ে তাঁকে নিয়ে আলোচনা হচ্ছে সেই ঘটনা আজ থেকে মোটামোটি ৪০-৫০ বছর আগের কথা। এখন হুমায়ূন আহমেদের পক্ষে ও বিপক্ষে অনেকেই যুক্তি অযুক্তি দিয়ে তর্ক করছেন।

ব্লগে আমার লেখা যারা অল্প বিস্তর পড়েছেন তারা হয়তো লক্ষ্য করেছেন আমি কারও বা কোনো দলের পক্ষে লিখিনা। আমি লিখি নিরপেক্ষ অথবা আত্মপক্ষ হয়ে। পেশাগত কারণে আমার আইন নিয়ে পড়তে হয়েছে। আমি আইন বিশেষজ্ঞ নই তবে আইনের ছাত্র ও আইনের একজন কর্মীও। আমি হুমায়ূন আহমেদ সাহেবের নিয়োজিত উকিল নই। তাঁর প্রথম পক্ষের বা দ্বিতীয় পক্ষেরও উকিল নই। এবং উক্ত মামলার সাথে আমার দূর দূর পর্যন্ত কোনো সম্পর্কও নেই। পূজার ছুটিতে অবসর আছি তাই ব্লগে লেখালেখি করছি। আশা করছি, আবার কোনো ছুটি পেলেই আপনাদের মাঝে চলে আসতে পারবো। আমার নিরপেক্ষ দৃষ্টিকোন থেকে আমি যা দেখতে পাচ্ছি তা হচ্ছে, এই যে আলোচনার মাঠ গরম হয়েছে - মূলত তা হচ্ছে ময়মনসিংহের ভাষায় “দুই সতীনের কাইজ্যা”। দুই সতীন নিজ নিজ পক্ষ থেকে অনেক কিছুই হয়তো বলবেন, কিন্তু হুমায়ূন আহমেদ আত্মপক্ষে কিছুই বলতে পারবেন না, কারন তিনি সকল বলা না বলার বাইরে।

দুই সতীনের কাইজ্যা’র মূল বিষয় বস্তু হচ্ছে - অর্থ সম্পত্তি। প্রয়াত হুমায়ূন আহমেদ এতো সম্পত্তি রেখে গিয়েছেন! যা নিয়ে আগামী লম্বা সময় আমাদের অনেক কিছু দেখতে হবে। হুমায়ূন আহমেদ কেনো বুড়ো হাবড়া বয়সে অল্প বয়সী একটি মেয়েকে বিয়ে করতে গিয়েছেন। আর তার প্রথম পক্ষের স্ত্রী কেনো এই বুড়ো হাবড়া বয়সে আবার বিয়ে বসতে গেলেন! এইগুলো এখন আর মূখ্য বিষয় না। মূখ্য বিষয় হচ্ছে প্রথম স্ত্রী এখন ক্ষমতার খুব কাছাকাছি আছেন। ক্ষমতা আর টাকার অপব্যবহার করেন না এমন মানুষ বাংলাদেশে বিরল। অর্থ সম্পত্তির লোভ লালসায় এই দেশে ভাই ভাইকে হত্যা করে। স্বামী স্ত্রীকে হত্যা করে, স্ত্রী স্বামীকে হত্যা করে। এই সকল কর্মকান্ড আমাদের দেশের প্রতিদিনের বিষয়। এমন আহামরি নতুন কোনো কিছু না। সিভিলিয়ানদের সামনে সকল খবরাখবর আসে না। হাসপাতাল থানা কোর্ট রুমে ফাইলের সংখ্যা বাড়তে থাকে, ফাইলের ওজন বাড়তে থাকে। শুধু সেই খবরগুলো পত্রিকা ম্যাগাজিনে প্রচারিত হয় - যারা দেশের বিশেষ পরিচিত অথবা নায়ক নায়িকা তারকা, নেতা নেত্রী ইত্যাদি।

দুই সতীন সোয়েটার জ্যাকেট গায়ে কাইজ্যা করছেন বিধায় সিভিলিয়ান তাদের মূল সমস্যা ধরতে পারছেন না। এখন এই দুই সতীন যদি দেশের সাধারণ জনতা হতেন তাহলে কেউ জানতেনও না - এরা কারা? কে - কোথায় - কি? এমনকি দুই সতীন যদি কাইজ্যা করে করে একজন আরেকজনের মাথার চুল টেনে ছিড়ে ফেলতেন তাহলেও সিভিলিয়ান জানতেন না। একজন আরেকজনের গালের মাংস কামড়ে দিলেও দেশের সিভিলিয়ান জানতেন না। কারণ এইগুলো দেশের নিত্যনৈমিত্তিক বিষয়। এইগুলো জানে দেশের সরকারি হাসপাতাল, থানা আর কোর্ট।


উপসংহার: দুই সতীনের কাইজ্যা’র মূল বিষয় বস্তু হচ্ছে - অর্থ সম্পত্তি। দুই সতীনের কাইজ্যা’র মাঝে আমাদের আসলে কোনো কাজ নেই। তাদেরকে কাইজ্যা করতে দিন। আমরা নিরব দর্শকের ভূমিকা পালন করি। সামহোয়্যারইন ব্লগের বহু লেখক ও পাঠক ভালো জ্ঞান রাখেন। আশা করি আমার ব্যাখ্যা তাঁদের পছন্দ হবে। সবাইকে ধন্যবাদ।







সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই অক্টোবর, ২০২৫ রাত ১২:৩৩
১১টি মন্তব্য ১০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

দ্যা এডামেন্ট আনকম্প্রোমাইজিং লিডার : বেগম খালেদা জিয়া

লিখেছেন ডি এম শফিক তাসলিম, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:০৪

১৯৪৫ সালে জন্ম নেয়া এই ভদ্রমহিলা অন্য দশজন নারীর মতই সংসার নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন, বিয়ে করেছিলেন স্বাধীন বাংলাদেশের অন্যতম সুশাসক শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান কে! ১৯৭১সালে এ... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন‍্যায়ের বিচার হবে একদিন।

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১০



ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:২২


মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

মিশন: কাঁসার থালা–বাটি

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:২৭

বড় ভাই–ভাবীর ম্যারেজ ডে। কিছু একটা উপহার দেওয়া দরকার। কিন্তু সমস্যা হলো—ভাই আমার পোশাক–আশাক বা লাইফস্টাইল নিয়ে খুবই উদাসীন। এসব কিনে দেওয়া মানে পুরো টাকা জ্বলে ঠালা! আগের দেওয়া অনেক... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৫


বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

×