প্রতিদিন পত্রিকা খুললেই দেখা যায় খুন, ধর্ষণ, আর ইভটিজিং-এ অতিষ্ট নারীদের খবর। ধর্ষণের পর হত্যা করে ফেলে রাখা হচ্ছে নারীদেহ। দিনের পর দিন ইভ টিজিং-এ অতিষ্ট হয়ে আত্মহত্যা করতে বাধ্য হচ্ছে কোন কিশোরী। কেন এই সহিংসতা নারীর উপর?
পুরুষতান্ত্রিক সমাজে সুকৌশলে নারীকে বানানো হচ্ছে পন্য। সৌন্দর্যের নামে তাদের পুরুষের সামনে উপস্থাপন করা হচ্ছে যৌন আবেদনময়ী হিসেবে। সুকৌশলে ঘর থেকে টেনে বাহিরে আনা হচ্ছে নারীকে মোহে আচ্ছন্ন করে। যেদেশের শিক্ষিত সমাজের পুরুষ ৩৫ বছর পর্যন্ত বিয়ের কথা ভাবতেই পারে না, সেই যৌন-অতৃপ্ত পুরুষ সমাজকে যৌন আবেদন দ্বারা উত্তপ্ত করা হচ্ছে দিনের পর দিন। আর তাদেরই অতৃপ্ত যৌন-লালসার শিকার হচ্ছে নারী। শুধু পন্য হিসেবে উপস্থাপন করা নারী নয়, সেই সব নিরিহ নারী, যারা অতি সাধারন। একের পাপে পুড়ে মরছে পুরো সমাজ। বাড়ছে নারীর প্রতি সহিংসতা।
এই সহিংসতা থেকে নারীকে বাঁচাতে পারে কে? নারী নিজেই। লোলুপ পুরুষের লালসা থেকে বাঁচতে হবে তাকে নিজেরই চেষ্টায়। আইন করে সেটা কোনদিনও বন্ধ করা যাবে না। যতই পুরুষ সমাজের লালসার ফাঁদে পা দিয়ে পন্য হিসেবে নারী বের হয়ে আসবে ঘর থেকে, ততই বাড়বে তার উপর সহিংসতা। এর দায়ও নিতে হবে নারীকেই।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



