এই দেশে যারা চ্যারিটি ওয়ার্ক করতে আসে পশ্চিম থেকে, তাদের সবচেয়ে পছন্দের বিষয় হলো নারী-স্বাধীনতা/নারীর ক্ষমতায়ন। এই রকম একজনকে জিজ্ঞেস করলাম, নারীর স্বাধীনতার সর্বশেষ কি অবস্থা তোমরা এদেশে দেখতে চাও? উত্তর যা পেলাম তা হলো, সমাজের সর্বস্তরে নারীর ক্ষমতা বৃদ্ধি, পরিবারে নারীর অংশগ্রহণ, আরো বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর।
নিঃসন্দেহে নারী সর্বোচ্চ ক্ষমতাবান পশ্চিমা বিশ্বে। নারী সেখানে যা খুশি করতে পারে। কিন্তু কি দেখি আমরা নারীর এবং সমাজের সর্বশেষ অবস্থা? স্বেচ্ছাচারী জীবন যাপন, অবাধ যৌনতা, বিবাহ বিচ্ছেদের অতি উচ্চ হার, আর শেষ বয়সে খেসারত - বৃদ্ধাশ্রমে একাকী জীবন যাপন এবং মৃত্যু। ফাদার-ডে/মাদার ডে-তে ছেলেমেয়েরা একটা করে কার্ড পাঠায়। নিজেরা স্বশরীরে আসার মত যথেষ্ঠ সময় করতে পারে না। চোখের জলের সাথে বসবাস বাকী জীবন। এই তো তাদের শেষ অবস্থা! এই সমাজই আমাদের কাম্য? এই ক্ষমতায়নই তারা দেখতে চায় আমাদের সমাজেও?
কিন্তু আমরা চাই কি? আমাদের দাদা-দাদী কি কোন রকমের ক্ষমতায়ন ছাড়াই এক সাথে কাটায়নি পুরোটা জীবন? কই, তারা তো আসূখী ছিল না এতটা! তাহলে আমাদের এই অসূখ আসছে কোথা থেকে? নিশ্চিত ভাবে বলতে চাই, আমাদের দাদা-দাদির জীবন কয়েক কোটি গুন সূখের ছিল ঐ পম্চিমা ক্ষমতাবান মহিলার জীবনের চেয়ে, যার ক্ষমতার দাপটে নিজের একটি সন্তান নেয়ার মত সুযোগও ঘটেনি এই জীবনে। অন্তরে প্রচণ্ড দুঃখী ঐ মহিলারা তাদের এই ক্ষমতা সত্ত্বেও। তাই কাল্পনিক দুঃখ খুঁজে বেড়ায় আমাদের সমাজে, আর ছুটে আসে সংস্কার করতে। আর তারা তা করতেই থাকবে যতদিন না টেনে নামাতে পারে আমাদের সমাজকে তাদের নিম্নতায়।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



