কিছু রঙ দেখা বা সনাক্ত করার অক্ষমতাজনিত এক প্রকার শারী্রিক অক্ষমতা হল বর্ণান্ধতা। ইংরেজিতে একে বলে Color Blindness.
বর্ণান্ধতার মুল কারণ কোনস নামক এক প্রকার কোষ যা চোখের অভ্যন্তরে রেটিনায় পাওয়া যায়। লাল , সবুজ ও নীল এই তিন ধরণের মৌলিক রঙ সনাক্ত করার জন্য তিন ধরণের কোনস কোষ আছে। চোখের রেটিনায় এই কোনসের ত্রুটিই হলো বর্ণান্ধতার মূল কারণ। কোনো ব্যক্তির সবগুলো কোনসই যদি ত্রুটিযুক্ত হয়, তাহলে তিনি সব রংকেই ধুসর দেখেন। কৈশরেই বর্ণান্ধতা নির্ণয় করা গেলে অনেক ক্ষেত্রে তা সুস্থ করা সম্ভব হয়। জাপানে প্রাইমারি স্কুলেই সকল শিক্ষার্থীদের বর্ণান্ধতা নির্ণয় করা হয়ে থাকে।
আমাদের চারপাশে এমন অনেকেই আছে যারা বর্ণান্ধ। আমরা হয়ত এ সমস্যাটিকে অতটা গুরুত্ব দেই না ।কিন্তু বর্ণান্ধতার কারণে অনেক অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে যেতে পারে। একজন বর্ণান্ধ মানুষ যদি রাস্তা পার হতে গিয়ে ২য় ছবিটার মত ট্রাফিক লাইট দেখে তবে অবস্থাটা আর বলার দরকার হয় না।
অথবা আপেল খাওয়ার সময় যদি এরকম অবস্থা হয়
এখানে বর্ণান্ধতা পরীক্ষার একটা প্রমিত পদ্ধতি দেয়া হল।নিচের বৃত্ত পাচটার অভ্যন্তরের সংখ্যাগুলো কি? দেখা যাক, ব্লগে কতজন বর্ণান্ধ।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




