১.
খবরটা শুনেই আমি সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললাম। অনেক দিন ধরেই রাজশাহীতে যাবার কথা। কিন্তু যাওয়া হচ্ছিল না। এবারে আমি যাবই। একজন প্রয়াত ব্যক্তিকে সম্মান জানানো আমার দায়িত্বের মধ্যে পড়ে, যদি তিনি আমার আত্মীয়/পরিজন হন। এক্ষেত্রে ব্যাপারটা সেরকম নয়।
ফোন করলাম আমার খুব ঘনিষ্ঠ কয়েকজন বন্ধুকে। অবাক করা ব্যাপার তারাও নাকি রাজশাহী যাবার কথা ভাবছিল। আসলে আমাদের চিন্তাধারায় এত মিল যে আমরা নিজেরাই মাঝে মাঝে অবাক হয়ে যাই।
২.
আমরা চার বন্ধু মিলে ঢাকা থেকে রওনা দিলাম সকাল সকাল। কখন পৌঁছাব জানা নেই। আমরা কেউই আগে রাজশাহীতে আসি নি।
৩.
রাত বারোটা।
ঘণ্টাখানেক আগে আমরা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পৌঁছেছি। সেখান থেকে জেনে নিয়েছি প্রয়াত ব্যক্তিকে কোনখানে সৎকার করা হয়েছে সেই তথ্য।
৪.
রাত দুইটা।
আমি বললাম, 'রেডি তো সবাই?'
এক বন্ধু বলল, 'হুঁ।'
একজন বলল, 'আবার জিগায়, সারা রাস্তা তো পানি খাইতে খাইতেই আইলাম। তাড়াতাড়ি কর।'
ভদ্রগোছের বন্ধুটি বলল, 'জীবনে খোলা জায়গায় কাজ করি নাই। তোরা আমার দিকে তাকাস না কিন্তু।'
আমি বললাম, 'রেডি সেট গো।'
আমরা সবাই একসাথে প্যান্টের জিপার খুললাম। শুরু করলাম জল বিয়োগ প্রক্রিয়া।
জীবনে প্রথমবারের মত অনুভব করলাম মূত্র ত্যাগে বীর্যস্খলনের আনন্দ।
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই এপ্রিল, ২০০৯ রাত ১২:৪৩

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




