স্বপ্ন, স্বত্বা এবং পরাবাস্তবতা
ঘটনাটার শুরু ২ বছর আগে, হঠাত করেই একটা ফোন আসে আশিকের কাছে। হ্যালো বলেই অবাক হয়ে বুঝতে পারে ফোনটা করেছে তার ব্যাচম্যাট ভেলেন্তিনা। তারপর প্রচলিত প্রেম কাহিনী।
কাঁপা কাঁপা হাতে টেবিলের উপর থেকে সিগারেট টা নিল আশিক। লাইটার দিয়ে সিগারেট জ্বালিয়ে চোখ বন্ধ করে লম্বা একটা টান দিয়ে মনে র সব ঘৃনা মিশিয়ে ধোয়া গুলো ছেড়ে দিলো। অন্ধকার ঘরে টেবিল ল্যাম্পের মৃদু আলোয় সাপের মতো একেঁবেকে উড়তে লাগলো ধোঁয়াগুলো।
প্রচলিত প্রেম কাহিনীর মতো খুব স্বাভাবিক ভাবেই বেশ কিছু সমস্যা এসে হাজির হয় একটা সময়। আশিক চেষ্টা করে এবং চেষ্টা করে। খুব অস্পষ্ট সুখের আশায় বার বার ভেলেন্তিনাকে বুঝাতে চায়, এইতো দুজন আছে বেশ ভালোই আছে! কিন্তু তাই বলে ভেলেন্তিনা তা বুঝবে কেন! তার একটা ভবিষ্যৎ আছে না? আর তা ছাড়া তার সুযোগ আছে বেটার অপশনের্, কত ব্যাংক ব্যালেন্স হোল্ডার হাংক ছেলে এক পায়ে চোখ বন্ধ করে রাজি তার হাত ধরতে হুহ্! জীবন তো একটাই, কি দরকার ঠুনকো ভালোবাসার জন্য এত কষ্ট করার!
আশিকের চারপাশ টা ধোঁয়ায় ভরে গেছে। মাঝখানটাতে মূর্তির মতো বসে অবাক বিষ্ময়ে ভাবছে সেই দিনের কথা যেদিন আশিক তার সমস্ত রাগ –দুঃখ- চিন্তা -চেতনা মাটিতে মিশিয়ে তার চেয়েও নীচে নিজেকে নামিয়ে কাঁদতে কাঁদতে ভেলেন্তিনাকে বলেছিলো ‘প্লিজ ছেড়ে যেও না!’ হয়তো কিছুক্ষণের জন্য বাস্তবতাকে ভুলে গিয়েছিলো ভেলেন্তিনা, তাই আশিকের হাত দুটো ধরে বলেছিলো ‘এই বোকা! এই যে আমার দুটো হাত তোমার দু হাতে রেখে চোখ বন্ধ করলাম্, তুমি এখন যেখানে নিয়ে যাবে আমি সেখানেই যাবো!’ কিন্তু তাই বলে কি কথা রাখতেই হবে? হুম হয়তো ফোনটা সে ই প্রথম দিয়েছিলো, কথা সে ই শুরু করেছিলো, ভালো লাগাটা তার ই প্রথম তাই বলে তো নিজেকে বিক্রি করে দেয়নি!হুম হয়তো আবেগের ঘোরে মায়া মাখানো কিছু কথা বলেছেই কিন্তু তা দিয়ে তো আর জীবন চলবে না।এখন সময়টা হল সারভাইবাল ফর দ্যা ফিটেস্ট! তাই এই তত্ত্ব মেনে ঠিক তার পরদিন সকালে খুব লক্ষ্মী মেয়ের মতো আশিক কে বলে দিলো ‘ আশিক! I AM SORRY!’
একেবারে আবেগ শূন্য হয়ে গিয়েছিলো আশিক। ধীরে ধীরে বুঝতে পারে কত টা একা হয়ে গেল হঠাত করে। নিজেকে খুব ছোট লাগে নিজের ই কাছে। ঘৃণায় মনটা ভরে যায়্। তার সামনে দিয়েই ভেলেন্তিনা তার নূতন জীবন যুদ্ধে জয়ী কোন এক ছেলের সাথে ঘুরে বেড়ায়্, হাসি এবং খুশি। আশিকের কাছে ভেলেন্তিনাকে এখন মনে হয় জীবন ও জীবিকার তাগিদে ছুটৈ বেড়ানো খেটে খাওয়া মানুষ্!
তাহলে থাক সে আবেগ চাপা পড়ে! সবাই তো সুখেই আছে, ভাল আছে সে কেনো একা কষ্ট পাবে? নাহ মানে হয় না এর কোনো।
আশিক খেয়াল করলো ধোঁয়াগুলোকে সুন্দর লাগছে! জানালা দিয়ে কি ঠান্ডা বাতাস আসছে! হঠাত করেই খুব হালকা লাগছে নিজেকে আর সিগারেটের সাদা শুভ্র ধোঁয়ায় অদ্ভুত আলোকিত হয়ে উঠেছে পুরো রুমটা!
(বাস্তব জীবনে আশিকরা এত সহজে সার্ভাইবাল ফর দ্যা ফিটেস্ট তত্ব গ্রহন করতে পারে না। আশিক রা রাতের পর রাত জেগে থাকে অসম্ভব না মেলানো কোন হিসেব মেলাতে, যা তারা নিজেরাও জানে মিলবেনা কোন দিন ও। তারপরেও ক্লান্ত যোদ্ধার মতো গভীরে খুব গভীরে একটা ক্ষত বয়ে নিযে বেড়ায় সবার অলক্ষে)
জাম গাছ (জামুন কা পেড়)
মূল: কৃষণ চন্দর
অনুবাদ: কাজী সায়েমুজ্জামান
গত রাতে ভয়াবহ ঝড় হয়েছে। সেই ঝড়ে সচিবালয়ের লনে একটি জাম গাছ পড়ে গেছে। সকালে মালী দেখলো এক লোক গাছের নিচে চাপা পড়ে আছে।
... ...বাকিটুকু পড়ুন
অনির্বাণ শিখা
রাত ন’টার মত বাজে। আমি কি যেন লিখছি হঠাৎ আমার মেজো মেয়ে ছুটতে ছুটতে এসে বলল, বাবা একজন খুব বিখ্যাত মানুষ তোমাকে টেলিফোন করেছেন।
আমি দেখলাম আমার মেয়ের মুখ উত্তেজনায়... ...বাকিটুকু পড়ুন
=ইয়াম্মি খুব টেস্ট=
©কাজী ফাতেমা ছবি
সবুজ আমের কুচি কুচি
কাঁচা লংকা সাথে
ঝালে ঝুলে, সাথে চিনি
কচলে নরম হাতে....
মিষ্টি ঝালের সংমিশ্রনে
ভর্তা কি কয় তারে!
খেলে পরে একবার, খেতে
ইচ্ছে বারে বারে।
ভর্তার আস্বাদ লাগলো জিভে
ইয়াম্মি খুব টেস্ট
গ্রীষ্মের... ...বাকিটুকু পড়ুন
শিরোনামহীন দুটি গল্প
গল্প ১।
এখন আর দুপুরে দামী হোটেলে খাই না, দাম এবং খাদ্যমানের জন্য। মোটামুটি এক/দেড়শ টাকা প্লাস বয়দের কিছু টিপস (এটা আমার জন্য ফিক্সড হয়েছে ১০টাকা, ঈদ চাদে বেশি হয়,... ...বাকিটুকু পড়ুন
এশিয়ান র্যাংকিং এ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান !!
যুক্তরাজ্যভিত্তিক শিক্ষা সাময়িকী 'টাইমস হায়ার এডুকেশন' ২০২৪ সালে এশিয়ার সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকা প্রকাশ করেছে। এশিয়ার সেরা ৩০০ তালিকায় নেই দেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয়।তালিকায় ভারতের ৪০, পাকিস্তানের ১২টি, মালয়েশিয়ার ১১টি বিশ্ববিদ্যালয়... ...বাকিটুকু পড়ুন