কি মনে করে বহুদিন পরে ব্লগে লিখতে বসলাম, সবাই হয়ত আমাকে ভুলেই গেছে এতদিনে! কি আর করা, সময়ের বড় অভাব..মাঝেমাঝে ঢু মেরে যাই, ভালো লেখা পেলে পড়ি, কিন্তু মন্তব্য করতে আলসেমী লাগে! যাহোক, কোন কিছুই কারে জন্য পরে থাকেনা..আজ হঠাৎ কিছু লিখতে ইচছা হল, আসলে লেখা তেমন না, নিজের তোলা কিছু ছবি শেয়ার করছি, এই যা!
এবছর সামারে একটা বিয়ের দাওয়াতে গিয়েছিলাম ওহাইও তে..তো বাসা থেকে প্রায় ৭০০ মাইল গাড়ি ড্রাইভ করে। মাঝে থেমেছিলাম পেনসেলভেনিয়ার একটা খুব সিনিক, নির্জন গ্রামে। রাতে ওখানকার হোটেলে থেকে পরদিন গেলাম আরো ২০/৩০ মাইল দুরে আমার প্রিয় আর্কিটেক্টের ডিজাইন করা বিখ্যাত "ফলিং ওয়াটার" বাড়ীটা দেখতে। কতদিন অপেক্ষা করেছি,কিন্তু সময় করে উঠতে পারিনি..ফাইনালি,এবার আমরা পরিবারের চারজন মিলে এই অদ্ভূত সুন্দর বিল্ডিং টা কাছে থেকে দেখার সৌভাগ্য হল!
Frank Lloyd Wright এর ডিজাইন সব সমই আমাকে মুগ্ধ করে, আর ফলিং ওয়াটার তো সেই বুয়েটে ছাত্রাবস্থায় থাকতেই আমাদের আর্কিটেক্চার ফ্যাকাল্টির সবার স্বপ্ন ছিল, জীবনে একবার হলেও স্বচক্ষে দেখার! এই মায়াবী ডিজাইনের বাড়িটা করা হয়েছিলো Kaufmann নামক ধনী এক ব্যবসায়ীর অবসর যাপনের (Vacation home) জন্য..উনি বেছে নিয়েছিলেন ওনার প্রিয় স্থপতীকে..যে স্থানীয় এলাকার পাথর আর অন্যান্য উপাদান এনে প্রকৃতি, সরু একেবেঁকে চলা ক্যানেল, জলধারা সবকিছুকে কি অপূর্ব শৈল্পীক বুননে আটকে ফেললেন এক মায়াময় ইমারতে!..ফলিং ওয়াটার দেখে মনে হয় যেন, বাড়ীটির প্রতিটা স্ল্যাব/ কাঠামো যেন প্রাকৃতিক ভাবে বের হয়ে আছে..যাকে স্থাপত্যের ভাষায় বলে " Form follows nature"...তা হলে উপভোগ করুন এবার আমার অদখ্য হাতের তোলা সেই তুলনাহীন বাড়িটির কিছু মুহূর্ত!!!!!!!!!
এ যেন পাথরের কবিতা!!!!!!
আমার বাচচা দুটোও কি অবাক বিস্ময়ে আর মুগ্ধতায় উপভোগ করছে মায়াবী এই বাড়িটি!!!!!!