আজ রাতে ওয়াজ শুনতে গিয়েছিলাম ।ওয়াজ বলতে -আসলে মুফতী নূর হোসাইন নূরানী সাহেব কে দেখতে গিয়েছিলাম ।বিভিন্ন পত্র-পত্রিকাতে তার সম্পর্কে যে নিউজগুলো আসে ,সেগুলো পড়ে তার ভক্ত হয়ে যাই ।
অনেকে তাকে আধুনিক যুগের মাওলানা ভাসানী হিসাবে চিহ্নত করেছেন বক্তা হিসাবে । গত বছর একটা সমাবেসে ৩ ঘন্টা বক্তব্য দিলেন ,আমার কাছে মনে হলো মাত্র ৩০ মিনিট হয়েছে ।মন্ত্র মুগ্ধের মতো শুনেছি তার বয়ান ।আমল সেভাবে করতে পারি না ।কিন্তু বৃহত্তর এলাকার যে কোনো জায়গায় আসলে তার কথা শুনার জন্য চলে যাই ।
তার কথার ফুলঝুরিতে যে কেউ মুগ্ধ হতে বাধ্য ।বাংলাদেশে বর্তমানে কোনো হক পন্হী নির্বীক আলেম থেকে থাকেন তো উনাকে ১ নম্বরে স্হান দিতে হবে ।
জিয়া বিমানবন্দরে লালন মূর্তী বিরুধী যে আন্দোলন তিনি করেছিলেন তা এক কথায় অসাধারন ।
তিন উদ্দিনের জরুরী সরকারের সময় আওয়ামীলিগ ,বিএনপি বা অন্য কোনো রাজনৈনিক দল কোনো মিছিল মিটিং করতে পারে নি ।তার জোরদার আন্দোলনে তিনউদ্দিনের সরকার বাধ্য হয়েছে লালন মূর্তি সরিয়ে নিতে।
সেই আন্তর্জাতিক আলেম মূফতী নূর হুসাইন নূরানী সাহেবর কথা শুনতে গিয়েছিলাম।
গিয়ে দেখলাম ,মাননীয় জেলা প্রশাসক বক্তব্য দিচ্ছেন ,আমি অবাক ।উনি এখানে কেনো ?মাদক ,ইভটিজিং নিয়ে কথা বললেন ।
এরপর তাদের ধর্মের উপদেশ দেয়া শুরু করলেন !!!
এসব অনুষ্টানে তাদের আসার উদ্দের্শ কি ? গতকাল নাকী এসেছিলো স্হানীয় আওয়ামী এম পি ।
আসল উদ্দেশ্য খবরদারি করা ।
গত কয়েক বছর তো দেখলাম না কোনো ওয়াজ মাহফিলে এভাবে প্রশাসনের লোক ঘন্টার পর ঘন্টা বসে থাকতে ।না-কি তারা জঙ্গীবাদী সবক নিচ্ছেন ? তাদের চোখে তো এই পাঞ্জাবী ওলাদের ' মৌলবাদী ' বলে জানে ।
আজকের সম্ভাব্য হরতালের কথা ভেবেই তারা আগে থেকে তৈরি ;হরতালের আগের দিন যে সভাতে নূরানী সাহেব আসবে ।সেখানে না জানি কী হয় ।এই ভয়।
নূরানী সাহেব কাদিয়ানীদের কে আন্তর্জাতিক ভাবে অমুসলিম ঘোষনা করতে মিডিল ইস্ট সহ সব মুসলিম দেশের আলেমদের একত্র করেছেন ।
ওনাকে তো সরকার ভয় পাবেই ।
কিন্তু লোকমান সাহেব উনাকে ওযাজ করতে দেন নি ।এই সভা ঢাকতে হলে লোকমান মিয়ার অবস্হা লালন মূর্তির মতো হতো ।
লোকমান মিয়ার এ কাজে ধিক্কার জানাই ।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




