আমি হিমু নই । জা ভলজাঁও (বিশ্ব সাহিত্যের হমু) না। তবে ঘুরাঘুরি তাদের মতই।এবং সারাদিনের অভিজ্ঞতা আমার ডাইরিতে লিপিবদ্ধ করে রাখি ।আমার ডাইরিটা সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের মত অর্ধ জীবনের কথা নয় ।এমনকি হুমায়ুন আজাদেরও ব্যতিক্রম ।আজাদ সাহেব বলেছিলেন , "বাঙালিদের ডাইরি পড়ে মনে হবে ফেরেশতা। না ভাই আমি অন্য গ্রহের প্রাণী নই ।তবে, অন্য গ্রহের প্রণীদের আমি প্রায়ই দেখি যা আমার ডাইরিতে লিপিবদ্ধ করি।এতদিন আমার এই রোজনমাচা কেউ স্পর্শ করেনি যদিও কোনো বাধা নেই।অনেকে ডাইরির উপর লিখে এর মহিমা বাড়াতে চায়।যে কারেণ বন্ধু-বান্ধব রা বেশি আকর্ষন বোধ করে।কিন্তু আমি সহজ সরল মানুষ কী এমন লেখতে পারি কেউ দেখার ইচ্ছা করে না।কিন্তু একদিন দেখ ফেলল বন্ধু মামুন।
আমি যখন রাতের আধারে বের হই সে আমাকে ফলো করেত থাকে।আমি বুঝিনি এমন ভাব ধরে এগুতে থাকি।বড় রাস্তা শেষে যখন গলির ভেতর ঢুকি তখন সে একটা কুকুর দেখে ভয় পায়।একটু আগায় তো আবার ভয় পেয়ে পিছিয়ে আসে।আমি বিষটা লক্ষ করেছি ।আমি পেছনে ফিরতেই সে নিজেকে আড়াল করেত চায়।আমি ডাক দিলাম এই মামুন এই দিকে আয়।তখন সে হেসে দেয় আমি মুখে তর্জণী চেপে ধরে তাকে হাসি থামাতে সংকেত দেই।
রাতের তৃতীয় প্রহর শেষের পথে। আমারা গলিপথ শেষ করে একদম নদীর পাড়ে।দূর আকাশে বিদ্যুত চমকাল। আমি সংকেত বুঝতে পেরে ওকে নিয়ে চুপিচুপি বসে পড়লাম।দু'তিনবার বিদ্যুত চমকানির পর ঘুড়ির সুতার মত একটা রেখা এক প্রান্ত থেকে নিস্ক্রীয় হয়ে পড়তে থাকে।মামুন ভয়ে জড়োসড়ো হয়ে যায়।আমি তাকে আশ্বাস দেই।আরে বোকা আমি তো সব সময় একাএকা আসি ভয় কিসের । সে বলে তা-তো আমি তোর ডাইরি দেখেই বুঝেছি।
নদীর নতুন জাগানিয়া একটা চরের মধ্যে সেই ফুলকিত বিদ্যুতমালা নামে। কিন্তু আশ্চর্য ভূমি থেকে সমান উচুতে এর সকল অংশ। দুই পাশ থেকে আলোর ঝলকানি ভূমিতে পড়ছে।যেন কোনো ওয়াকসপে ঝালাই কাজ চলেছে।হঠাৎ সেটা উধাও হয়ে গেল।আর কিছুই বুঝা গেল না।অন্য দিন আমি এ অবস্হায় চলে আসতাম ।কিন্তু বন্ধুকে পেয়ে দুইজন বসেই থাকি দেখি কী হয় ।
চলবে ...
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ১২:২৩

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




