মনের মাহাত্য যদি জানতেই তবে খাঁচার পাখিটাকে আঁটকে রাখতেনা আর--
এ কথা বলেই তার উজবুক মন বড় তরলিত হয়।
এমনই একজন শিক্ষক ছিল আমার যার মৃত্যু আমাকে পাথর করেছিল,
একদিন সহসা স্ব-আত্বায় তিনি সামনে এসে দাঁড়ালেন,
যেমন পথমদ্ধে প্রায়সই দুজন পথিক স্থির দাঁড়িয়ে থাকে ক্ষনকাল কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে
এবং অকস্মাত্ তারা ভুলে যায় সমস্ত পাওনা-গন্ডা, যেন বড় বিব্রত--কষ্মিন কালেও ভেবে ওঠা হয়নি এমনটা হতে পারে।
তিনি বোধহয় একটু বেশীই বিব্রত, খূব কাঁপছিলেন শেষ শরতের বাতাসে আর ক্ষীণদেহটা যেন প্রায় কংকালসার।
আমার অবিকার মন বড় বিকারগ্রস্হহয়, গতজনমের পাপবোধ আর গ্লানি ভরে দ্যায় আশরীর পঙ্কিলতায়।
বাকরুদ্ধ হয়ে যাই,তিনি যেন আরও বিচলিত হন আর তার আঙ্গুলগুলো একে একে খসে পড়ে পায়ের কাছে।
মৌনতার গভীর থেকে তিনি বলেন, ওগুলো খুব কাজের নয় কেবল ওই তর্জনীটাই কাজে দেবে সময়ে-অসময়ে, ওটি রেখে দাও খুব যত্নে, অসময়ে খুব বেশী কাজে দেবে দেখো।
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০০৭ রাত ৮:৪১

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




