বোলগপুর নামে যে গ্রামটি ছিল তাতে ছিলো মুলত মানুষের বসবাস। শিক্ষার নিমিত্তে বোলগপুরবাসী মুক্তমনা মানুষেরা গ্রামের মদ্ধখানে বোলগপুর বিদ্যালয় নামে একটি স্কুল প্রতিষ্ঠা করল। অচিরেই প্রচুর শিক্ষার্থির আগমন এবং একনিষ্ঠতায় বোলগপুর স্কুলটি অঢেল সুনাম কুড়ালো কেননা প্রথমত মুক্তমনা মানুষেরাই এই বিদ্যালয়ে প্রবেশের অধিকার সংরক্ষন করত। কিন্ত স্কুলটির আঙ্গিনাতে কিছু বিচ্ছিন্ন কুকুর আর দলবদ্ধ শেয়ালের যাতায়াত ছিল। স্কুলটির প্রতিষ্ঠারও অনেক পুর্বে এই কুকুরেরা বহির্দেশ হতে আগত হায়নাদের সাথে হাত মিলিয়ে বোলগপুরবাসীদেরকে বিরাগ ভাজন হয়েছিল আর বোলগপুরবাসীরা এই কুকুরদের আর কখনই বিশ্বাস করতে পারে নাই। যা হোক, সে ঘটনা ঐতিহাসিক কিনতু সেই যে সংঘবদ্ধ শেয়ালের দল, তারা কি করল?

শেয়ালের দল বোলগপুর স্কুলের শিক্ষার্থিদের সাথে একটা চুক্তিতে আসল যে তারা স্কুলকে কুকুরের আক্রমন থেকে রক্ষা করতে বদ্ধ সংকল্প, কেননা তারা সুচতুর শেয়াল পন্ডিতের দল এবং বিনিময়ে তারা এই স্কুলের শিক্ষার্থিদের সাপোর্ট আর পড়াশুনার সু্যোগ চায়। বোলগপুর বাসীদের আর কি করার? অবিশ্বাসী কুকুরেরা আবার যে কোন সময় বিপদে ফেলতে পারে তাই মুক্তমনা শিক্ষার্থিরা শেয়ালদের আবেদন মেনে নিলো সুবিশ্বাসে।

হায়! শেয়াল যে শেয়ালই আর শেয়াল ও কুকুর যে একই প্রজাতির এই সত্য স্কুল শিক্ষার্থিরা অনুভব করল অনেক পরে যখন সেই স্কুলের প্রধান একজন গলাবাজ শেয়াল, চেয়ারম্যান একজন চতুর শেয়াল সাথে তাদের লম্বা শেয়াল পরিষদ। কিন্ত স্কুল প্রতিষ্ঠাতারা কোথায় গেলেন? সে ঈশ্বর জানেন। শেয়ালের রাজত্যে মানুষেরা নাজেহাল হতে থাকলো, মানুষকে নগ্ন করে তাদের নখের আঁচরে রক্তাক্ত করাটা ছিল শেয়ালদের দৈনন্দিক বিনোদন। আর পুরোনো শিক্ষার্থিদের থেকে জানা যায় এই শেয়ালচক্র কিছু শিক্ষার্থিনীদের ধর্ষনেও পিছপা হয়নি। শেয়াল রাজত্যে তখন শেয়ালের তান্ডব। এক শেয়াল যেকানে দশ শেয়াল সেকানে। আর শেয়ালের হিংস্রতা ও কটুগন্ধে মানুষ বরাবরই শেয়াল সম্প্রদায় হতে নিজেদের দুরত্ব বজায় রাখত।

আর বোলগপুরের কুকুরেরা? বোলগপুরের কুকুরগুলান মানুষগো নাজেহাল হওয়া দ্যাখে আর চুপে চাপে খ্যাক খ্যাক কইরা হাসে আর ভাবে আমাগোইত জাত ভাই অরা।