নিরংকুশ জোতস্নাধোয়া রাত ছিল আর আভাস ছিল পরদিনের এক ঘন কালো ঝড়োদিন; আমার সেই ভালোবাসার নারীটির সাথে একই ঘরে, খুব জড়সরো, অনবদ্য নৈকট্যে, মুখোমুখি; অতঃপর সে তিলোত্তমা দেহ অনাবৃত হয়েছিল কেবলি তার সুরচিত কেশবিন্যাশকে সাক্ষী রেখে, আর আমিও উপর্যুপরি বস্ত্রশুণ্য, এক লহমায়, ভালোবাসনা আর কামজঃবাসনার নিদারুন সংকলনে; আর, এভাবেই নগ্নদেহ দুটি উত্তুংগ আলিংগনে একান্ত আশ্লেষে থরথর, তুংগস্পর্শী; তথাপি এক অদ্ভুত ভূত মিলনের আদিতে আমাকে কাঁপায়; আমি প্রেমের কার্ণিশ থেকে উঠে আসি; ভালোবাসাটির চোখে আদিগন্ত বিস্তৃত ভ্রুকুটি রেখা। নতজানু হয়ে বলি, এই দ্যাখো আমার নগ্নদেহ।
ঃ হুম
ঃ তুমিও নগ্নতায় চুড়ান্ত পরিপাটী
ঃ কেন মরমের জ্বালা বাড়াও?
ঃ কেননা, একটি নগ্ন সত্য বলে যেতে চাই।
ঃ বল।
ঃ তোমার প্রতি আমার কোন দাবী নেই।
ঃ মানে?
ঃ যদি কখনো প্রতারনা করে যাও, আর, নিয়ত খোঁজ করে চল কোন সৌকর্য্যময় অভ্রের, আপত্তি নাই জেনে রেখো।
ঃ কি বলছ এসব?
ঃ যদি আমারই প্রতি সৎ থাকো, আর কোনো অভ্রকে চুম্বন করে যাও সমুখে বা আড়ালে, কোনো প্রশ্ন নেই।
ঃ তার মানে?
ঃ যদিবা আমাকে রেখে চলে যাও সেই অভ্রের কাছে, চিরতরে; যেও, নেই কোনো ক্ষতি।
ঃ তোমার কি মাথা খারাপ হলো?
ঃ যদিবা সব রেখে কেবলি আমাতেই থাকো, আজীবন, কোনো বেদনা নেই; নেই এতটুকু।
ঃ এসবের মানেটা কি?
ঃ মানেটা সহজ, তোমার প্রতি আমার এতটুকু দাবী নেই।
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই আগস্ট, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:৪৭

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




