এই সরকারের কিছু কার্যক্রম আপনাকে বিরক্ত করবেই। এই যে গতকালকে ধর্ম উপদেষ্টা মহোদয় কোন কথাবার্তা ছাড়াই হজের খরচ ১ লাখ টাকা কমানোর ঘোষণা দিয়ে ছিলেন। অথচ, এক্ষেত্রে করণীয় ছিল বৈশ্বিক অর্থনীতি ও দেশীয় মুদ্রাস্ফীতির সাথে সামঞ্জস্য রেখে যথারীতি প্যাকেজ দেড় লক্ষ টাকা বাড়ানো। যার প্রেক্ষিতে দাবি আদায়ের মৌসুমে জাগ্রত তৌহিদী জনতা শুক্রবার জুমার নামাজের পরে বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেইটে কর্মসূচি দিতো। কর্মসূচি চলা কালেই হঠাৎ করে আইন উপদেষ্টা মহোদয়কে সাথে করে ধর্ম উপদেষ্টা সমাবেশস্থলে হাজির হতেন। ধর্ম উপদেষ্টা তৎক্ষণাৎ বাড়তি দেড় লাখ থেকে এক লাখ কমানোর ঘোষণা দিয়ে দিতেন। তৌহিদী জনতা মহাখুশিতে ঘরে ফিরতো আর সরকারের লাভ হতো কমপক্ষে ২৫০০ কোটি টাকা।
এমনটিতেই যে আমরা যখন অভ্যস্ত তখন কথাবার্তা ছাড়া গত বছরের চেয়ে এক লাখ টাকা কমানোই যেন পাপ হয়ে গেল। হিসাব বিশারদগণকেও এক লাখ টাকা কমানো প্রকৃতপক্ষে কত কমেছে এসব নিয়ে মাথা ঘামাতে হতো না! আরে ভাই, হজের প্যাকেজ কমানোতে এবার গত বছরের চেয়ে অতিরিক্ত কমপক্ষে ৪০ হাজার ধর্মপ্রাণ বান্দা মহান আল্লাহর ঘর তাওয়াফ করার সুযোগ পাবে। যে মুমিন জীবনভর পবিত্র কাবা শরিফ স্বচক্ষে দেখা আর রাসুলে আকরাম (সা.)-এর রওজা জিয়ারত করার জন্য বিভোর হয়ে আছে তাকে হিসাববিজ্ঞানী হয়ে আসলেই কত টাকা কমছে, কত দুরত্বে রাখবে এসবের হিসেব বুঝাতে যাওয়া আর অনাহারীর কাছে কাচ্চি খাওয়ায় খোশগল্প করা একই কথা।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে অক্টোবর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:১৪