somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মোবাইলফোন ব্যবহারঃ ভব্যিষত কোন দিকে?

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৭ বিকাল ৩:১৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

শুরু করা যাক :
মোবাইল ফোন আজ আমাদের জীবনের একটি বিশেষ অঙ্গ হয়ে পড়েছে। কখনো এমন হয়েছে , মোবাইল ফোন নিতে ভুলে গিয়েছি,সারাটা দিন শুকনো লেগেছে। দুঃশ্চিন্তা হয়েছে, কোথা থেকে ফোন আসবে, কারা করছে, কোন দরকারি কথা মিস হয়ে গেলো কিনা...এইসব। আজকের আমাদের দৈনন্দিন জীবনে মোবাইলে কথা বলতে বলতে রিক্সাওয়ালা রিক্সা টানছে বা পানওয়ালা পান বিক্রি করছে এটা আর বিজ্ঞাপন নয় বাস্তব।

একটু স মী ক্ষাগত আলোচনাঃ-
আসল বিষয় টা হোলো গিয়ে মোবাইলের অনেক বেশী ব্যব হার।আচ্ছা মোবাইলের বেশি ব্যবহারে কি আমাদের কোনো শারীরিক স ম স্যা হতে পারে?
আপাতত ব্রিটেনেরMobile Telecommunications & Health Research (MTHR) এর বি জ্ঞানীরা অল্প স ময়ের ব্যব হার কারী অর্থা ৎ দশবছর ধরে মোবাইল ব্যব হার করছেন তাদের বিপদ মুক্ত বলেছেন।
কিন্তু Long term exposure এর ক্ষেত্রে তারা কোন ভ বিষ্যত বানী করেন নি। আরো research প্রয়োজন এ ক্ষেত্রে। আর এটাই চিন্তার ব্যাপার।
কি কি হতে পারে? ক্যান্সার, ব্রেন টিউমার ,আলজাইমার, ডায়াবেটিস এর মত মারাতত্ক রোগ অথবা অ ল্প ক্ষতিকারক কিন্তু common রোগগুলি যেমন মাথা ধরা , ব্লাডপ্রেশার, অবসাদ ,অনিদ্রা ইত্যাদি।অবশ্য আগের বছ র Danish Institute of Cancer Epidemiology ৪,২০,০০০ জন মোবাইল ফোন ব্যব হার কারী কে পরীক্ষা করে cellular technology কে ছাড়পত্র দিয়েছেন। Institute of Cancer Research ও একই মত পোষন ক রেছেন।
আবার American Study বলেছে বেশি ব্যবহারে পুরুষ দের বন্ধ্যাত্ত দেখা দিতে পারে। Finland এর বি জ্ঞনীরা বলছেন ইলেকট্রো ম্যাগনেটিক রেডিয়েসান মানব মস্তি স্কের কোষ গুলির ক্ষতি সাধন করে। এ ছাড়াও আরো প্রচুর সংখক সরকারী ও বেসরকারী সংস্থা এই ইলেকট্রোপলিঊ সান এর বিপদ নিয়ে অনবরত পরীক্ষা নিরীক্ষা করে চলেছেন।
মোবাইল ফোন কে স ন্দেহের কারনঃ-
মোবাইল ফোনকে সন্দেহের কারন হ্ ল এটি ইলেকট্রো ম্যাগ্ নেটিক ফিল্ড (emf) এবং রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি(rf) নির্গমনের ক্ষমতা সম্পন্ন। এই রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি (rf) দেহে প্রবেশ করে তাপ উ ৎ পন্ন করে, আর যে সব রোগ রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি (rf) সম্পর্কিত তা ওই তাপ থেকেই হয়।
আমরা যখন মোবাইল থেকে ফোন করি তখন আমাদের হ্যা ন্ড সেট গুলি রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি (rf) এনার্জি নির্গমন ক রে। আর আমাদের মস্তিস্ক তা ৭০ থেকে ৮০ শতাংস শোষন করে।
আজকাল মোবাইলের সাথে ব্লু টুথ ডিভাইস ( hands free kits)এর ব্যবহার বেড়েছে। বাইক চালাতে চালাতে দিব্যি ক থা বলা যায়। কি ন্তু যানেন কি এগুলি অনেকটা এরিয়ালের মতো কাজ করে, যার ক্ষমতা (ক্ষতি কারক) তিনগুন বেশী যতটা না মাইক্রোওয়েভ রেডিয়েসন হয় মোবাইল হ্যান্ডসেটের মাধ্যমে।
SAR or Specific Absorption Rate:
এটা হ লো আমাদের দেহ কতটা রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি শোষন করবে ফোন থেকে তার মাপ।FCC Certification পাস ক রতে একটি ফোনের সর্বোচ্চ SAR লেভেল থাকবে ১.৬ ওয়াট পার কিলোগ্রাম এর নিচে। ইউরোপে এটা ২।
শিশুদের উপর এর প্রভাবঃ-
শিশুদের মস্তিস্কের হাড় নরম থাকে এবং রেডিয়েসান এর প্রভাব বেশী পড়ে।আর মস্তিস্কের টিউমার ৩০ থেকে ৪০ বছর নেয় পু র্ন তা নিতে। আর যে শিশুরা খুব অল্প বয়স থেকেই মোবাইল ব্যবহার করছে তাদের উপরে এর প্রভাব কি হবে ভবিষ্যতে, তার ভবিষ্যত বলবে ভবিষ্যতই, কারন এ বিষয়ে গবেষনা চল ছে।ভারতবর্ষের কর্নাটক রাজ্যে স্কুলে মোবাইল ব্যবহার নিষিদ্ধ হল এই তো সেদিন, ব্রিটেনের বিজ্ঞানীরা মোবাইল ব্যবহার ক্ষতিকর নয় ঘোষনার পরেও।
অবশেষেঃ
অবশ্য রেডিও, টিভি, কম্পিউটার , ডি ভি ডি, ভি সি আর, মাইক্রোওয়েভ, টোস্টার, এরকম একটা লম্বা লিস্ট আছে যারা ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক রেডিয়েসান করে নির্দিস্ট ফ্রিকোয়েন্সিতে যা র প্রভাব শরীরে পড়ে।
তাই মোবাইলের বেশি ব্যবহার খারাপ না ভাল তার জন্য আমাদের অপেক্ষা করতে হবে আরও ভবিষ্যত গবেষনার উপর।
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই অক্টোবর, ২০০৭ বিকাল ৩:০৯
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কুড়ি শব্দের গল্প

লিখেছেন করুণাধারা, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৭



জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!

সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×