বড় বড় তত্তকথা গিলার আগে একটা মজার কৌতুক শুনে নিই। নারী ব্লগাররা আমাকে পূরুষতান্ত্রিক সমাজের কুৎসিত প্রেজেন্টার বলে কোপ মাইরেন না প্লিজ। আমি যথেষ্ঠ নারী ভীতু এক ছা!
ছেলে: I love you....... তুমি এই দুনিয়ার সবচে সুন্দর মেয়ে।
মেয়ে: কিন্তু তোমার পিছে তো আমার চেয়েও অনেক সুন্দর এক মেয়ে দাড়িয়ে আছে।
মেয়েটির মুখ থেকে এইটা শুনে ছেলে পিছে ফিরে দেখল সেখানে আদৌ কেউ নেই।
মেয়ে: তুমি যদি সত্যি আমাকে ভালবাসতে, তাহলে কখনো পিছনে ফিরে দেখতে না যে সেখানে মেয়ে আছে কি নেই। So, “I hate you.”
এতটুকুর মরাল: মরাল টরাল কিছু নাই। মেয়ে চালাক আছিল!!!
কিন্তু কাহিনী এখনো শেষ হয় নাই। আরেকটু বাঁকি আছে।
ছেলে: ওকে তোমার ইচ্ছা। তাইলে এই হীরার আংটিটি তো আর তোমাকে দেয়া হচ্ছে না। চিন্তা করছি কাকে দিব?
মেয়ে: (গালে একটা টোল ফেলে হাসি দিয়ে) আচ্ছা, আমি কি আমার জানুর সাথে একটু দুষ্টুমিও করতে পারবোনা ? মেয়ের কথা বলে তোমাকে পেছনে তাকাতে বাধ্য করে একটু মজা করেছি, ব্যস। তুমি রাগ করেছো?
মেয়েটি তার প্রিয়তমর হাত থেকে হীরার আঙটির বক্স নিয়ে নিলো। পরের দিন এসে বলছে খ্যাক খ্যাক করে বলে উঠলো- “আরে ধুর-এইটা তো সত্যিকারের হীরা না”।
ছেলে: তুমি যদি আমাকে ভালবাসতে, তাহলে এইটা পরীক্ষা করে দেখতে না হীরার রিং আসল নাকি নকল। So, “I hate you.”
এবারের মরাল: মরাল টরাল কিছু নাই। ছেলে মেয়ের চেয়ে এক ডিগ্রি উপরে আছিল।
এবার ছেলে-মেয়ের পল্টির হিসাব বাদ দিয়ে বাংলাদেশের হট ইস্যু জঙীবাদের দিকে আঙ্গুল তুলি। বর্তমান শাসক গোষ্ঠি ২০০৯ সাল থেকে একটানা ৭ বছর ধরে ( যাদের চেতনায় ঘাটতি আছে, তারা বলে শেষের ২ বছর অবৈধ! ) ক্ষমতায় আসীন। আমাদের মিডিয়া হ্যাপি মন্ত্রীবর্গ ক্যামেরার লেন্স দেখলেই বলতে শুরু করতো-বাংলাদেশ আফগানিস্তান হতে দিব না। আইইএস জঙ্গীদের বিষদাঁত ভেঙ্গে দিব। জঙ্গীবাদ নির্মুলে চেতনার সরকার আপোষহীন। আর মুরগী কবির নামে খ্যাত হালের যুদ্ধপরাধ বিষেশজ্ঞ ক্যামেরা পেলেই বলতোঃ জামায়াতই জঙ্গী। শিবিরই জঙ্গী।আর শাহবাগের চেতনার ঠেলা তো আছেই। আর মাশাআল্লাহ- বাংলাদেশের মিডিয়া। টয়লেটে কমোডে কোন প্রাকৃতিক সাইন্ড হলেও ক্যামেরা তাক করে বলার চেষ্টা করতোঃ জঙ্গী সম্পৃক্ততার অভিযোগে টয়লেট সার্চ করে জমীয়তুল হাগুর বাংলাদেশ প্রধান অমুক গ্রেফতার। আমরা ক্রসফায়ার হ্যাপি প্রশাসনের কথা না বলি। বাসার পাঠাগারের বই বস্তাবন্দী করে মহিলার বোরকা পড়িয়ে মিডিয়ার সামনে হাজির করে কবুল করাতো- আমি জঙ্গী। টেবিলে সাজনো বইকে স্বভাবসুলভ টার্মে বলা হতোঃ জিহাদী বই।
বলুন তো টানা ৭ বছরে রাষ্ট্রের কোন ধরনের কি যন্ত্র জঙ্গীবাদ নাই বলে ঘোষনা করেছে ? সারাদিন জঙ্গী জঙ্গী বলে চিল্লাইতে গিয়ে গ্লোবাল ইন্টারেস্ট গ্রুপ পশ্চিমারা যখন স্বীকৃতি দিতে শুরু করলোঃ হ্যাঁ, তোমাদের জঙ্গী আছে। তোমাদের জঙ্গীরা হোসে কোনিিরা সিজারি তাভেল্লা কে হত্যা করেছে।
তখন আমাদের সরকার বাহাদুর বলার চেষ্টা করছেঃ দুষ্টুমিও করতে দিবেন না? আমরা টিক্স করেছি মাত্র। বাঙ্গাল টিক্স।
পশ্চিমারা ভাবছেঃ ঠিক আছে, দুষ্টিমি হলে ঠিক আছে।
আরপরই আবার শ্রশ্রুমন্ডিত কাউকে গ্রফতার করেই বলা হচ্ছেঃ জঙ্গী মূলোৎপাটনে আমরা বদ্ধ পরিকর। তখন সরকারের এই দুষ্টামি আর দুষ্টামি থাকে না। পশ্চিমারা রসিক, তবে এতটা দুষ্টুমি আবার পছন্দ করে না। এর মূল্য দিতে হয় সিরিয়া, ইরাক। লিবিয়ার মত।
আমরা সরকারের জঙ্গীবাদ নিয়ে ঘৃণ্য রাজনীতির অবসান চাই। নিঃসন্দেহে বাংলাদেশে কিছু বিচ্ছিন্ন চিন্তার লোক আছে। কিন্তু মূলধারার ইসলামিষ্টদের রাজনৈতিক আদর্শিক লড়াইয়ে পরাজিত করার বদৌলতে জঙ্গীবাদের ট্যাগ মেরে দিলে-আখেরে সবাইকেই পস্তাতে হবে। যাদের গায়ে এই লেবেল আটিয়ে দেওয়া হচ্ছে, তারা তো ক্ষতিগ্রস্থ হবেই। একই সাথে লেবেলদাতাদের সালতামামীও খুব সূখের হবে না।
ক্ষমতার স্বার্থে যারা গাদ্দাফির হত্যাকান্ডকে সমর্থন করেছিল, তারা কি আল্টিমেটলি ভাল আছে এখন? ইরাকের সাদ্দাম হোসেনকে সরিয়ে ওরা কি ভাল আছে?
আমরা জাতীয় অনেক ক্রাইসিস মোকাবেলা করছি। সেখানে জঙ্গীর ধুয়া তুলে আমাদের প্রিয় মাতৃভূমিকে বর্গা দিবেন না প্লিজ। এটা আমার মিনতি।
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪২

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



