ধৈর্য আর অধ্যবসায় থাকলে সফলতা আসে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল তার সাম্প্রতিক একটি উদাহরন। টেষ্ট মর্যাদা পাওয়ার পর দীর্ঘ ১২ বছর দলটি ধারাবাহিকভাবে ভালো নৈপুন্য দেখাতে পারেনি। অবশেষে গত বছর ২০১২ সালে এশিয়া কাপে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ান শ্রীলঙ্কা ও ভারতকে হারিয়ে সিরিজের ফাইনালে উঠার মধ্যে দিয়ে তারা বিশ্ব ক্রিকেটে নতুন পরাশক্তি হিসেবে আতœপ্রকাশ করেছে। এরপর শ্রীলঙ্কা সফরে ভালো খেলা, ওয়েষ্টইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজ জয় আর নিউজিলেন্ডের মতো বড় দলকে হোয়াইটওয়াশ করে মুশফিক বাহিনী জানিয়ে দিল বাংলাদেশ এখন ক্রিকেট জগতে অন্যতম পরিপূর্ন শক্তিশালী ও সেরা দল। তবে নির্বাচকদের সেরা একাদশ নির্বাচনের ব্যাপারে আরেকটু সচেতন হলে ভালো হয়, কারন শামসুর রহমানের মতো যোগ্য ওপেনারকে আরো আগেই ওয়ানডেতে সুযোগ দেওয়া উচিত ছিল। বিপিএল এ তার চমতকার পারফরম্যন্স দেখে দর্শকদের আশা ছিল পরবর্তি জিম্বাবুয়ে, শ্রীলঙ্কা সফরে তাকে একাদশে নেওয়া হবে। শাহরিয়ার নাফিসের অভিজ্ঞতাও আমাদের টেষ্ট দলকে উপকৃত করতে পারে। সম্প্রতি প্রিমিয়ার লীগে সর্বোচ্চ রানের মালিক মারমুখি ব্যাটস্ম্যান জুনায়েদ সিদ্দিককেও কাজে লাগানো উচিত টি টোয়েন্টি ফরম্যাটে। বিসিবিকে ধন্যবাদ অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমকে দীর্ঘ মেয়াদে দায়িত্ব দেওয়ার জন্য। তিনি সাবাস বাহ্বা জাতীয় উৎসাহ দিয়ে সার্বক্ষনিক উজ্জিবিত রাখেন খেলোয়াড়দের। তার মেধা ও পরিকল্পনা বেশ কার্যকরি মনে হয় জয়ের জন্য। এছাড়াও মুশফিকুর রহিম একজন ভালো উইকেটকিপার ও নির্ভরযোগ্য ব্যাটসম্যান। বিশ্ব ক্রিকেট ও গল্ফ খেলায় বাংলাদেশকে সম্মানিত করার জন্য ধন্যবাদ মুশফিকুর রহিম ও ইন্ডিয়ান ওপেন গল্ফ চ্যাম্পিয়ান সিদ্দিকুর রহমানকে। অনেক অভিনন্দন ও শুভ কামনা তোমাদের জন্য।
রবিউল করিম বাবু, [email protected]

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


