প্রত্যহ কাক ডাকা ভোরে ঘুম হইতে উঠিয়া মোরগাসনে বসিবার অনেক কালের অভ্যাস
আজুজ' র। অবশ্য মোরগাসনে বসিয়া তিনি গভীর আত্মমগ্নতায় প্রাঃতকৃত্য সারেন। আবাল বাছুর যাহারা ইতিমধ্যে মুরগী খোঁজা শুরু করিয়াছ তাহারা অফ যাও।
অদ্য সকালে আর্কণ বিস্তৃত দন্তযুগল মেছওয়াক করিতে করিতে, ভাবিতেছিলেন নিষর্্কমা মুখা কেন তাহাকে 'র্নিলজ্জ্ব' বলিল। আবার হস্ত প্রসার করিয়া আপঝাঁপ হাতাইয়া লইলেন আজুজ। বস্ত্রাদি তো পরাই আছে।
এহেন নাবালেগদের বগকর্ুদন দেখিয়া বড়ই বিস্মিত হন আজুজ। অনেক পুরোনো কথা মনে হয়।
মাথার সব চুল পড়িবার আগে বিছারপতি হইবার বড় উমদা খায়েশ ছিল। সেইটা পূরণ হইবার কোন সম্ভাবনা তো নাই, বরং গায়ের লোম ঝরিয়া যাইবার উপক্রম হইয়াছে, দেখিয়া জলপাই মামার খালের স্রোতে গা ভাসাইয়া দিয়াছিল। আজ এই পরিণতি হইবে কে জানিত।
সেই যে খালবিল ধরিয়া প্রধান বিছারপতি হইয়াছিল সেইটার মাশুল যে এত চড়া হইবে সেটা আজুজ কি কস্মিনকালেও ভাবিয়াছিল।
গতকল্য ইস্টর্ানপ্লাজার জ্যামের মধ্যে ড্রাইভার এক রিকশার মাজা ভাঙ্গিয়া দিয়াছে। সেই রিকশাচালকের সে কি ভীষম চিৎকার, ড্রাইভার উদ্দেশ্যে, '' আজুজ্যার পোায়া'' বলিয়া।
আব্বা হুজুর দুইটা খাসী জবাই দিয়া আকিকা দিয়াছিল। আজুজ যাতে বাপের নাম রওশন করে,
দিকে দিকে আজুজের নাম ছড়াইয়া পড়ে । আব্বা বাঁচিয়া থাকিলে বড়ই কষ্ট পাইতেন। সারাদেশের জনগণ এখন আজুজ, আজুজ করে। এ ওরে গাইল পাড়ে, '' ঐ তোরে আজি.ে..াদা দিমু। নাম ছড়াইয়াছে বটে , কিন্তু জনগণ নাম যত্রতত্র ডুকাইয়া দিতাছে। বিশেষ্য হইবার জন্য আব্বা দুইটা খাসী জবাই দিয়াছিল। কিন্তু বিশেষ্য বাদে সবকিছু হইয়া গিয়াছে '' আজুজ ''।
সমস্ত দেশের জেলা শহরের কাচারীতে লোকজনের এফিডেভিট করিয়া নাম বদলের হিড়িক পড়িয়াছে। নামের সংকটে লোকে প্রয়োজনে ''কাঁঠালের আঠা '' নাম নিতাছে, কিন্তু ভীষম সম্মানের সহিত '' আজুজ'' নামটি তাহার একার জন্য রাখিয়া দিতাছে।
গতকল্য রাতে ষোলকলা খেলিবার সময় বিবি সোহাগ করিয়া নিত্যকার মত '' আজু'' না বলিয়া '' জুজু'' বলা শুরু করিয়াছে। প্রথমে আজুজ ভাবিয়াছিল বিবি তাহাকে জুজুর ভয় দেখাইতেছে। এইটাও খেলার একটা অংশ বোধকরি আজকাল। পরে কারণ জানিয়া শোকে মাথার বাকী চুলও পড়িয়া গেল আজুজের।
(চলবে)
* ডিসক্লেইমার: যাবতীয় আজিজ, আজুজ, আজি, আজু, আজাআজি কারও সাথে এই লিখা র কস্মিনকালেও সমর্্পক আছিলো না। কারও দিলে এই লিখা দাগা দিলে তাহা অনভিপ্রেত বলিয়া জানিবেন।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে ডিসেম্বর, ১৯৬৯ সন্ধ্যা ৭:০০

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



