গত পরশুর কলাবাগানের ঘটনা সবাই হয়ত শুনে থাকবেন (বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া মেয়ের বন্ধুর ধারালো অস্ত্রের আঘাতে ওই মেয়েসহ নিজ বাসায় গুরুতর আহত হয়েছেন ব্যবসায়ী দম্পতি)।
আজ দুপুরে আমার এক কলিগ আমার মতামত জানতে চাইলেন এ ব্যাপারে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মতো বললাম "এটা একটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা"।
তারপর চিন্তা করলাম, আমরা দিন দিন কোথায় চলেছি। আর আমাদের সহ্য ক্ষমতার নিম্নরেখা দিন দিন কিভাবে উপরের দিকে বাড়ছে। খাদ্যে ভেজাল, পানিতে দুষন, বাতাসে শিসা, ফল, মাছ, শাক-সব্জিতে বিষ, এইসব গ্রহন করে আমাদের শরীর যেমন এক একটা সুপার সহনযন্ত্রে পরিণত হচ্ছে দিনে দিনে, তেমনি চারিদিকে অন্যায়, বিশৃঙ্খলা দেখতে দেখতে আমাদের মানবিককতা, নৈতিকতার লেভেল ও নিচু হচ্ছে। আগে যা দেখে আমরা আঁতকে উঠতাম, এখন সে সব কিছুই গা সওয়া হয়ে যাচ্ছে। মানুষ কি করছে, কার সাথে চলাচল করছে আমার মনে হয় কেও কিছুই চিন্তা করছেনা। আধুনিকতার নামে পোলাপান যা তা করে বেড়াচ্ছে, আর বাবা রা আছে আরো অাধুনিক হবার রসদ জোগাড়ে আর মা'রা আছেন আধুনিক ফ্যাশন, অত্যাধুনিক সিরিয়াল নিয়ে...
মুল ঘটনার দিকে ফিরে আসি। আমার মতে ঐ পরিবার তাদের কর্মের ফল ভোগ করেছে। অনেকের মতো আমারও প্রশ্ন , অত রাতে একজন বিপরীত লিঙ্গের বন্ধু বাসায় কি করে? তাও আবার ঐরকম একটা ঘটনার পরে..
কেও কেও বলে উনারা পড়াশুনার আলাপ করতেছিল
যাইহোক, একটা চুটকি বলে শেষ করিঃ
এক বাবা তার মেয়ের ভার্সিটির বড়ভাই! কে বলল, "বাবা আমার মেয়েটাকে একটা মানুষ বানিয়ে দিও"। বড়ভাই তো খুব খুশী হয়ে রাজী হল। কয়েকমাস পর জানা গেল মেয়েটা প্রেগনেন্ট। মেয়ের বাবা ঐ বড়ভাইকে ধরলেন "কি বাবা তোমার সাথে তো এমন কথা ছিল না"। বড়ভাই এর উত্তর "আপনিই তো আপনার মেয়েকে একটা মানুষ বানিয়ে দিতে বলেছিলেন, তাই একটা জ্যান্ত মানুষ বানিয়ে দিলাম"

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




