উদাস মাঝি তার ৪ নম্বর বউ শিত্তি বেগমের সাথে রাগ করিয়া ১৭ দিন পর গরম পানিতে গোসল করিয়া বীরশ্রেষ্ঠ
সাহসীদের কাতারে নাম লিখাইল।এবং তারচেয়েও দুর্ধর্ষ সব সাহসীদের খুঁজে বের করিবার লক্ষ্যে সামুতে
একখানা পোস্ট দিয়াছিল... সেখান থেকে বাছাই করা সাহসীদের কিছু দুর্দান্ত কমেন্ট


শাহরিয়ার - আরে ব্যাটা আবাল তোর এইটা আমার কাছে নস্যি। দেখ আমার সাহস ,
ডেইলি দুপুরে ওপেনলি রাস্তার সাইডে হাজারো জনতাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়া হাগু করিয়া, পিছনে লুঙ্গি হালকা
চারিয়া নদীতে গিয়ে ছুচিয়া , বিড়ি খানা ফুঁকিয়া 'তোকে হেব্বি লাগছে' গাইতে গাইতে বাড়িতে আসতাম ।

আহমেদ জী- হু, বিয়ে খাইতে গিয়ে ,ভুলকরে বিয়ের কনেকেই টোন করে শাশুড়ি কতৃক পাওয়ার ফুল থাপ্পড় খাইয়া ,
- "থাপ্পড় কো ডর নেহি লাগতা সাসুর জী, ডর সাদি ছে " ডায়লগ দিয়ে বাঁ গালে আরও একটা
থাপ্পড় খাইছিলাম ।অতঃপর ঘরজামাই হিসেবে সেখানেই বহাল তবিয়াতে নিযুক্ত আছি। শ্বশুরের ঘামাচি চুলকে দেওয়া ,
ঘুম না আসা পর্যন্ত শাশুড়ির পায়ে সুড়সুড়ি দেওয়া আমার নিয়মিত কাজ ।

রানার - ভর দুপুরে ঠা ঠা রোদে , জানের মায়া তুচ্ছ করে আইফেল টাওয়ার সমান উঁচু ইউক্যালেক্টর গাছে
উইঠা কাউয়ার ডিম লুঠ করে, কাউয়ার বাসা দিয়াই আগুন জ্বালিয়ে ডিম পোঁচ খাইছি ।

শায়মা - আমারটা আরও ভয়াবহ শোন; আমিই একমাত্র মেয়ে যে , কুনরকম মেকআপ ছাড়াই একদিন বাহিরে
বের হইছিলাম। সেদিন রাস্তার ফকির পর্যন্ত ভুলকরে তাকায় নি। বাড়িতে ঢোকার সময় মা
আমাকে চিনতেই পারেনি। দরজা নক করলে , মা বেরিয়ে এসে মুখ বাঁকা করে বলল- 'মাপ কর বাবা, আজ
ভিক্ষা দিতে পারব না।' তাহলে বোঝ অবস্থা ।

সোনাবীজ- পৃথিবীতে আমিই একমাত্র মাতাল যে- মাল না খাইয়াও শুধু বোতল দেখলে, পিনিক ধরে ।
একদিন পর পর ৩ খানা বোতল দেইখা টাস্কি খেয়ে গার্ল ফ্রেন্ডকে নিজের আম্মা বলে ভুল করছিলাম ।
সত্যি বলছি - গার্ল ফ্রেন্ডের হাতের শক্ত ঘুসি খেয়ে সামনের ২ টা দাঁত এখন পকেটে নিয়ে ঘুরে বেড়াই ।

সুমন কর - যুদ্ধের পর জীবিত আমিই একমাত্র ব্যক্তি যে এখন পর্যন্ত বগলিতে
একটা ব্লেড পর্যন্ত স্পর্শ করিনি। অত্র এলাকার সমস্ত উকুন আর ডাঁরাস আমার বগল পল্লীতে নির্ভয়ে
আস্তানা গড়েছে । মেগি হাতা গেঞ্জি পরে রাস্তায় যখন হাঁটি, মেয়েরা যেভাবে তাকাইয়া দেখে,
আহ গর্বে বুকটা ভরে যায় ।এখন "বগলি ম্যান" নামেই এলাকার সবাই চেনে আমাকে ।
পারবি তুই ? শালা, তোর বাপেরও টেঙ্গি নাই ।