ইত্যমধ্যে যারা অনলাইনে পড়ে থাকেন তারা নিশ্চয় সেই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া চা বাগানের ছেলেটর জীবন পড়েছেন এবং জেনেছেন। আমিও কয়েকবার পড়েছি, ছেলেটির লেখায় দেখলাম দুইবার গ্রামীন ব্যাংকের দেয়া ঋণের কথা উঠেছে! ছেলেটার জীবন বা চা বাগানের শ্রমিক পরিবারের দুঃখের কথা গুলো নিয়ে কিছু বলে আর কি হবে, যে দুঃখ এত শত বছরেও কেহ বুঝতে চাইলো না।
ছেলেটার লেখায় পড়লাম তার মাকে দুই দুই বার গ্রামীন ব্যাংক ঋণ দিয়েছে, বুঝলাম গ্রামীন ব্যাংক এই চা বাগানেও কাজ করছে। দেশে এত এত বড় বড় টাকা কড়িওয়ালা, এত এত কথার ক্ষ্মতার সরকার, এত এত প্রতিষ্ঠান, অথচ কারোই চা বাগানে যাবার প্রয়োজন পড়লো না, গেল শুধু মিঃ ইউনুস সাহেবের গ্রামীন ব্যাংক! জ্বি বটেই, হউক না দুই টাকা ঋণ দিয়েছে, পাশে তো সামান্য হলেও ছিল। কই, আপনাদের সরকার, কই আপনাদের অন্যান্যেরা, এই গরীবদের সামান্য সুদে হলেও তো টাকা লাগতে পারে, কই কারোই তো মাথায় ধরলো না, শুধু ধরলো মিঃ ইউনুস সাহেবের মাথায়!
জ্বি, মিঃ ইউনুস সাহেব যে নোবেল পেয়েছেন, সারা বিশ্ব থেকে সন্মান পান, তা এমনি এমনি না, সেটা তার কাজের জন্য, সেটা তার চিন্তার সৌন্দর্যের জন্য! কিছু করবেন না, ভাল চিন্তা থাকবে না, অথচ পুরুস্কার পাবার আশা করবেন তা কি করে হয়, মানুষের ভালবাসা পাবেন কি করে। কাজ করা এবং মানুষের পাশে দাঁড়ানোর সব সুযোগ তো সরকার এবং তাদের লোকদের হাতে, অথচ তাদের কেহ কি আমাদের জীবনে সামান্য কাজে লাগছে! আমাদের সাধারন মানুষের জীবনে সরকার কি কি হেল্প করে তার কি কোন লিস্ট করা যায়, পয়েন্ট কি খুজে পাওয়া যায়! না, যায় না!
প্রশংসা ও ভালবাসা পেতে, কিছু গুন থাকতে হয়, যা সামান্য হলেও! ছেলেটা ও তার মায়ের জীবনে সামান্য উপকার করা গ্রামীণ ব্যাংক ও মিঃ ইউনুস সাহেবের প্রশংসা এইজন্যই করি!
(যারা চা বাগানের ছেলেটার লেখা পড়েন নাই তাদের জন্য শাহ আজিজ ভাইয়ের ব্লগের লিঙ্ক দিয়ে দিলাম, পড়ে আসতে পারেন)
https://www.somewhereinblog.net/blog/shahaziz1957/30339410
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ৯:৪২