বিবাহিত পুরুষেরা রাগ করলে কেমন রাগ করে, তার একটা ঘটনা লিখতে গিয়ে ভিন্ন চিন্তায় চলে যাচ্ছি বার বার, এই বাস্তব কাহিনী আরেক দিন হবে নে, এখন অনলাইনের কয়েকটা অভিজ্ঞতা লিখি, হাতে কিছু সময় আছে বটে!
১। আমার ফিডে এখন আর তেমন নারী বন্ধু নেই, আমি ইচ্ছা করেই অনেকে বের/ব্লক করে দিয়েছি, কারন আমি শান্তি প্রিয় মানুষ! এই নারী বন্ধুদের আমার হাজারো স্ট্যাটাসে কোন কথা নাই, শুধু মাত্র কোন পারিবারিক কিছু লিখা মাত্রই উড়ে এসে জুড়ে বসে নিজের হেদাম দেখাবে, পারিবারিক জীবনে তিনি কত জ্ঞানী/সুখি তা জানাবে এবং আমি নারী বিদ্বেষী তা প্রমানে চেষ্টা করবে, অথচ আমি কখনোই স্ত্রী চরিত্র ছাড়া অন্য কোন নারী চরিত্র নিয়েই লিখি নাই, নারীদের নানান চরিত্র শুধু স্ত্রী চরিত্রেই ফেইল, বাকী সবে একশতে একশ, ভিন্ন দিকে আমি প্রায় বলি পুরুষের তেমন কোন চরিত্রই নেই যেখানে তাকে পাশ মার্ক দেয়া যায়!
২। দেশের জনসংখ্যার অর্ধেকের বেশী নারী, অথচ রাজনীতিতে, সমাজে কোন অংশ নেই, এটা বুঝা যায় অনলাইনের লেখালেখিতে, নিজদের সুদৃঢ় মতামত লিখেন এমন নারী খুব একটা পাওয়া যায় না, অন্যদের পারিবারিক দোষ ধরাই যে এক্মাত্র কাজ নয় এটা বুঝাতে আমি কখনো চেষ্টা করি না বা বলি না, তবে আজ বলে দিলাম, হা হা হা, এখন অপরাধী হয়ে গেলাম, সত্য যাদের মেনে নিতে কষ্ট হয় তাদের!
৩। মাস কয়েক আগের কথা আমার এক পারিবারিক স্ট্যাটাসে একজন বোন বিরুপ যা তা মন্তব্য করলেন, যদিও এই সবের কাউন্টারে আজকাল আর তেমন বলি না, বিতর্কে যাই না, শরীলে এখন আর কাপন ধরে না, যে কেহ আমার মতের বাইরে বা ভিন্ন কিছু উলটা পালটা লিখলে নিরবে সহ্য করে যাই, কিন্তু কেন যেন এর উত্তর লিখে ফেললাম। ব্যস, এর আবার উত্তর লিখতেই, দেখি ফোন এবং সেটা একজন পুরুষ কন্ঠের, তিনি তার পরিচয় দিলেন, দেশের বিশেষ এক বাহিনীর কমান্ডার, জানালেন আমি কেন তার স্ত্রীর সাথে খারাপ আচরন করছি এবং সেটা তিনি জেনেছেন তার স্ত্রীর কাছ থেকেই। যাই হোক কথা শেষ হলে, বুঝতে পারলাম, বিতর্কে না পেরে স্বামীকে দিয়ে আমাকে শাসালেন!
৪। ঠিক গত কয়েক দিন আগেও আমার স্ত্রী বিষয়ক এক স্ট্যাটাসে একজন বোন এসে বিতর্ক শুরু করলেন, আমি শুধু বললাম আপনার এই বিষয়ে অভিজ্ঞতা নেই, ব্যস, বিরাট ফিরিস্থি, মনে হয় যেন উনার শরীলে ফস্কা পড়লো! অনলাইনেই এত রাগ ক্ষোভ, তা হলে ব্যক্তি জীবনে তিনি কেমন বা তার স্বামী সন্তানের সাথে কেমন আচরণ তা বুঝতে বাকী থাকে না! পরে ব্লক দিয়ে বিদায় জানিয়ে দিলাম, এর বেশি আর কথা বাড়ানো যায় না!
৫। কয়েকদিন আগে আমাদের ট্রেডের একজন নোয়াখালীর ছেলে মানিকগঞ্জের জামাই নিয়ে সামান্য লিখেছিলাম, যা অনেক পাঠক পড়ে অনেক মিল পেয়েছেন এবং ধন্যবাদ জানিয়েছেন, একজন বন্ধু বলেছেন, এত সত্য প্রকাশ করি কি করে? আসলে সত্য প্রকাশ এক ধরনের মনের স্বাধীনতা, যারা সত্য বলে তারা বলেই দেয় এবং এর পরের ঘটনা গুলো উপভোগ করে। ব্যক্তি স্বাধীনতায় সত্য একটা চরম বিষয়! স্ত্রী নির্যাতনে দেশের অনেক পুরুষ অকালে মরে যাচ্ছে, এই সামান্য বিষয় উপলব্ধি করাও সত্য প্রকাশ। যাই হোক, গতকাল আমার এই বন্ধুর সাথে আবার দেখা, দূর থেকে সালাম, হাসতে হাসতে জানালেন, আমি আর আপনার সাথে কথা বলবো না এবং কাছে এসে জড়িয়ে ধরলেন, জানালেন, আমার লেখা পড়ে তার মনে যে বোঝা ছিল তা নাকি নেমে গেছে!
বাংলাদেশ একটা চমতকার দেশ বা বাগান, শুধু অপশাসনে শেষ/নিঃস্ব হয়ে যাচ্ছে কিংবা এই বাগানে এখন আর নানান রুপ, রঙ, ঘ্রাণের ফুল ফুটছে না, আমি আফসোস করি!
*অফটপিকঃ এমন শূয়র দেখেছেন কখনো! (রাস্তায় রাস্তায় সরকারের উচিত এমন পোষ্টার সাটিয়ে দেয়া উচিত, যাতে এরা দেখে কিছুটা হলেও লজ্জা পায়!)
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা মার্চ, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:২২