'স্যার' ডাকা নিয়ে ভাবছিলাম! সরকারী কর্মচারীদের জনগনের 'স্যার' ডাকতে সমস্যা কি, আমার তো মনে হয় কোন সমস্যা নেই, তবে মুল সমস্যা হচ্ছে নারী সরকারী চাকুরেরা যখন তাদের 'স্যার' ডাকতে বলেন, আমার মনে হয় মুল বেয়াদপিটা এখানেই। একজন নারীকে আসলেই 'স্যার' কেন ডাকবে, আমরা স্কুল কলেজের শিক্ষিকাদের কি 'স্যার' বলেছি, না আমাদের শেখানো হয়েছে পুলিংগদের জন্য 'স্যার', স্ত্রীলংগকে বলা হবে 'ম্যাডাম'!
পদমর্যদা পেয়ে অনেক বড় হলেও কি একজন লিংগ পরিবর্তন করতে পারে? না পারে না বা এটা সম্ভব না! দুনিয়ার সব ভাষাতেই নারী পুরুষের জন্য আলাদা আলাদা সন্মান জনক পদ পদবী বা ডাক আছে। 'হিজ' বা 'হার', 'হি' বা 'সি' বুঝানোর স্বার্থেই প্রচলিত।
সংক্ষেপে বলি, আমাদের দেশে পদে উঠে যেয়ে নারীরা এই বিষয় গুলো গুবলেট করে ফেলতে চান, পুরুষের মত নিজকে দেখতে বা বলতে চান, আসলে কি তা সম্ভব, সেটা ভেবে দেখেন না। ফলে তিনি নিজকে ম্যাডাম না চিন্তা করে 'স্যার' চিন্তা করেন, আর সমস্যা এখানেই হয় বা হচ্ছে। পুরুষদের পক্ষে নারীদের 'স্যার' বলা যায় না, আমার নারীরাও কি নারীদের 'স্যার' বলতে পারেন, আমার মনে হয় না। নারীরাও নারীদের 'স্যার' বলাটা পছন্দ করবেন বলে মনে হয় না।
প্রিয়তমা স্ত্রীকে জিজ্ঞেস করলাম, কোন অফিস আদালতে যেয়ে কোন নারীকে কি তুমি 'স্যার' বলতে পারবে? তিনি বললেন, কেন, 'স্যার' বলবো কেন, 'ম্যাডাম' বললে কি সমস্যা।
ঘটনার সূত্রপাত এখানেই বলে মনে হচ্ছে, আপনি যখন কাউকে অযাচিতভাবে অকথ্যে বাধ্য করবেন বা নিজকে বড় কিছু ভেবে ফেলবেন, তখন সমস্যা হবেই। তবে পূর্বের সহজ ভাবনা গুলো ধরে রাখলে এমন অনেক সমস্যা এড়ানো যায় বটেই। কার্যত্য এই বিতর্কে এখন নুতন কিছু উঠে আসবে, নাম ধরে ডাকার প্রচলন এলেও আবার মিষ্টার/মিসেস নিয়েও অনেকে সন্তুষ্ট থাকতে পারবে না। হা হা হা
পদবী মানে শুধু চেয়ার না রে কেল্টু, সেখানে যে বসে তাকে মানুষ চোখে দেখে, পদবীর সাথে মানুষ তাকেও তার বিদ্যা বুদ্ধি চেহারা আচরণ নিয়ে চিন্তা করে, অন্তত যা দৃশ্যমান!
পরিশেষে, এই বিতর্ক মাত্র একটা নোটিশ দিয়েই সরকারের প্রশাসন সমাধান করে দিতে পারে, অথচ তা করছে না, আমাদের এই নিয়তি হয়ত, যত সমস্যা তত মানুষ বিভাজিত হবে, ঝগড়াঝাটি করবে, নিজদের ক্ষতি করবে, এতে ক্ষমতায় থাকা আরামের হবে!
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৩:০৮