চায়না বা রাশিয়াতে যে ধরনের শাসন ব্যবস্থা চালু আছে, এটাকে মুলত একদলীয় শাসন ব্যবস্থা বলে। মানে কাগজ কলমে ভোট নির্বাচন দেখবেন কিন্তু মুলত সেই দলের এক ব্যক্তি, তিনি যেভাবে চাইবেন, দেশ সেভাবেই চলবে বা এগুবে! যে সকল দেশে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা বা সুষ্টু নির্বাচন ভোটের মাধ্যমে দল নির্বাচন করে শাসক নির্বাচিত করা হয় আজকাল সেই সব দেশ গুলোতেও এক দলীয় শাসন ব্যবস্থা কায়েম করতে চাইছে সেই সকল ব্যক্তি যারা বর্তমানে ক্ষমতায় আছে। তাদের এই খায়েশের জন্য হাজার কোটি মানুষ স্লেভে পরিণত হবে, কোন দিন মাথা উচু করে বলতে পারবে না বা জনগণ তার সন্তানকে দেশের প্রধান পদে কল্পনাও করতে পারবে না।
এই চেষ্টায় ইসরায়েল বেশ এগিয়ে যেতে চাইছে, এক দলীয় শাসন ব্যবস্থা কায়েমে মিঃ নেতানিয়াহুর চেষ্টা জনগণ বুঝতে পারলেও এখনো তিনি অনড়, ইস্রাইলের বিশ্বস্থ বন্ধু আমেরিকাও এই চালাকি ধরার পরে এখন কিছুটা বিব্রত, কিন্তু সেই চেষ্টা অব্যহত। ইসরাইলের সাধারন জনগণ গণতন্ত্র পছন্দ করে ফ্রি লাইফ লিড করতে চাইলেও, কট্টর পন্থিরা তা চাইছে না।
এদিকে বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশ ইন্ডিয়ার উপর বেশ গত কয়েকদিনে অনেক রিপোর্ট পড়লাম, ভিডিও ব্লগ দেখলাম। বর্তমান ক্ষমতাসীন দল বিজেপি এবং এর প্রধান এখন এমন একদলীয় শাসন চাইছেন বলেই মনে হচ্ছে, পাশাপাশি নিজদের আজীবন ক্ষমতায় বসিয়ে রাখতে পুরা চেষ্টাই করছে বলে মনে হচ্ছে। এক দেশ এক নীতি বা আইন, এমন চেষ্টা দেখা যাচ্ছে।
যাই হোক, একদলীয় এক শাসকের অবস্থানে একটা দেশকে নিয়ে যেতে প্রথম যে কয়েকটা কাজ করতে হয় তার দুটো হচ্ছে -
১) বিচার বিভাগঃ এই বিভাগকে পুরা মাত্রায় নিয়ন্ত্রনে রাখতে হয়, এদের দিয়েই বিপক্ষের সামান্য উলটা মতামত পেলেই তাকে জেলে ভরে ফেলতে হয়।
২) সংবাদ পত্র বা নিউজ মিডিয়াঃ নিউজ মিডিয়ার কন্ঠ রোধ অবশ্যক, নিউজ মিডিয়া মুলত জনগণের কন্ঠস্বর বা সমস্যা/নির্যাতন তুলে ধরার মই, এই মইকে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা মোটেই সমর্থন করে না! মিডিয়ার কণ্ঠরোধে মুলত সারা দেশের জনগণ বাক হারা হয়ে যায়।
ইসরাইলের বর্তমান সাধারন মানুষের রাস্তায় নেমে আন্দোলনের (Israelis Are Protesting Netanyahu’s Judicial Reforms) কথা গুলো দেখতে পারেন, ভিডিও লিঙ্ক আছে। আর ইন্ডিয়ার এই প্রচেষ্টা (Death of Free Speech in India's Press) বুঝতে হলে একটা ভিডিও লিঙ্ক দিচ্ছি তা দেখতে ও শুনতে পারেন, হিন্দিতে।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ২:৪৩