আমি ভারতীয় রাজনীতি একটু বেশি খেয়াল করি, এটা খুব একটা ভাল দেখায় না, তবুও। কর্নাটকের বিধান সভা নির্বাচনে বিজেপির হেরে যাওয়ার পরে পুরা ইন্ডিয়ার গদি মিডিয়া চুপ, সামান্য কয়েকজন ভিডিও ব্লগার এবং কয়েকজন অভিজ্ঞ সাংবাদিক যারা বিজেপির রোষানলে পড়েছিলেন, তারাই বিশ্লেষণ করছেন। কর্নাটক মোটামুটি একটা শিক্ষিত মানুষের এলাকা (নানান ভিডিওতে তাদের শহর গ্রাম দেখেও এটা মনে হয়), তারা বিজেপি পরত্যাগ করেছে এর কারন তারা তাদের অপশাসন দেখেছে, মানুষকে দীর্ঘদিন বোকা বানিয়ে রাখা যায় না, মানুষের মন পেতে শাসকের কাজ করতে হয়, মুখের চাপায় চলে না! কংগ্রেস ফিরে আসার কারন, মিঃ রাহুলের ও মিসেস প্রিয়ংকার কারিশমা, এই দুই ভাই বোনের কথা শুনেই মানুষ এখন কাইত, সমাধানে ও চিন্তা চেতনায় এরা এখন পুরাই পরিপক্ক। এই দুই ভাই বোন বুঝতে পারছে, কেমন করে রাজনীতিতে মানুষের মনে জায়গা করে নিতে হয়!
ভারতের রাজনীতিতে আমার পছন্দের মানুষ মিঃ কেজরিওয়াল, তার চিন্তাধারা অসাধারন, তবে চাপে চাপে তিনি এখন কাবুই হয়ে পড়ছেন, সংগী সাথীদের সঠিক পথে চালাতে হিমসিম খেতে হচ্ছেই, তবুও ভাল, একটা চেষ্টা করে যাচ্ছেন। তিনি সবাইকে শিক্ষিত করতে চান, কারন তিনি ভাল করে বুঝেছেন, শিক্ষা মানুষএর অন্তরের অন্ধত্ব দূর করেই, মানুষ কিছুটা হলেও সঠিক সিধান্ত নিতে পারেন। যাই হোক, তার দলের বিশেষ্ট নেতা, উচ্চশিক্ষিত মিঃ রাগভ চাড্ডাকে আমি খুব পছন্দ করি, ইনফরমেশনে ভরপুর, তরুণ এবং বরাবরই মার্জিত মনে হয়েছে, তিনি অনেক দিন ধরে ইন্ডিয়ান সিনেমার নায়িকা পরীনতি চোপড়ার সাথে প্রেম চালিয়ে আসছিলেন এবং গতকাল প্রকাশ্যে বিবাহের বাগদান হয়ে গেল। কেহ বিবাহ করবে তাতে কার কি আসে যায়, তবে আমার কাছে বিষয়টা ভাল লাগে নাই, মিঃ রাগবের এই পথে যদি আম আদমী পার্টির অনেকেই হাটা শুরু করেন তবে, এই দলের অনেকেও চুরি চামারীতে চলে যাবেন বলেই মনে হয়। কারন এভাবে জীবনের চাহিদা বাড়াতে থাকলে চুরি কমিশন ছাড়া আর কোন উপায় থাকে না! হা হা হা
পশ্চিমবঙ্গে কংগ্রেসের আনন্দের সাথে উৎজ্বীবিত লক্ষা করা গেল, তবে এই অঞ্চলে কেন আম আদমী পার্টি প্রবেশ করতে পারছে না, তা ভাবনার বিষয়! সৎ লোকের অভাব বলেই মনে হচ্ছে, বা এখনকার তরুণেরা বুঝতেই পারছে না, যা আমাদের দেশেও হচ্ছে! আমাদের এখানেও ভাল চিন্তার মানুষেরা রাজনীতি বিমুখ এবং আর অধিক চিন্তা করতেও নারাজ! ভোট না দিতে পারলেও এখন আর যেন কারো আপত্তিও নেই! তবে ইন্ডিয়ার নির্বাচন কমিশনের প্রশংসা করতেই হয়, এখনো সেখানে সঠিক নির্বাচন আশা করা যায়!
পাকিস্তানের নাম মুখে নিলে কুলি করতে হবে, সেই জন্য বেশ কিছু ব্যাপার দেখে শুনে বুঝেও চুপ থাকলাম, তবে একটা ব্যাপার বা বেশ কিছু টিকটক দেখে বুঝতে পারলাম, সেই দেশ থেকে টাকা চুরি পাচার করে কানাডা আমেরিকায় বিরাট ব্যবসা অট্রলিকা গড়ে তুলেছে, তাদের বাড়ির সামনে গিয়ে অনেকে থু থু দিচ্ছে এবং গালাগাল করছে। আমাদের দেশের টাকা পাচারকারীদের সাথে এই পাচারকারীদের হুবহু মিল, একই পথের পথিক! দেশ দেউলিয়া হবার কারন এই পাচারকারীরাই!
পুনশ্চঃ বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে চরমোনাই পীর (!) সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম! এই চরমোনাই পীরকে ভোট দেয়া মানে তাকে আরো ধনী করে দেয়া, আরো গরীবের রক্ত চুষে নিজদের ঠোঁট লাল করবে মাত্র, এই জ্ঞানের মেয়র হলে এর বাইরে কি আর করবে! এদিকে তাকে নিয়ে আমার মনে হয় আওয়ামীলীগ মজা নিচ্ছে, যা দেখে আমারো পান খেয়ে হাসতে ইচ্ছা হয়!
ছবি নেট থেকে!