(লেখা গুলো পড়ে ভিন্ন চিন্তা করতেই পারেন, এটা আপনার স্বাধীনতা, তবে রিয়েল ফ্যাক্ট আরো জানলে জানাতে পারেন। অগ্রীম শুভেচ্ছা!)
আমেরিকাঃ ১
যা্রা আমেরিকার নানান সরকারী বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের প্রশাসনিক দক্ষতা ও কর্মের সাথে পরিচিত নন, তারা মুখে অনেক কথাই বলতে পারেন, এতে আমেরিকার কিছু যায় আসে না, ওরা ওদের মত করেই থাকবে এবং আপনার জন্য তলে তলে এমন কাজ করে দিবে, যা আপনি কল্পনাও করতে পারবেন না! এটা খুব অসভ্য শুনায়, তবে আমেরিকা চাইলে অনেক কিছুই সারা করে দিতে পারে এবং এটা সত্য, উদাহ্রন আপনি নিজেই কল্পনা করুন, আছে অনেক, আমি উলেখ করতে চাই না! তবে আসেন কাজের দুইটা উদাহরন দেই।
১৯৯১ সালে আমাদের চট্রগ্রাম অঞ্চলে একটা বিরাট ঘুর্নিঝড় হয়েছিল (যা আমাদের কাছে উড়িচর ঘুর্নিঝড় নামে পরিচিত ছিল, ১৯৯১ সালের ঘূর্ণিঝড় (IMD পরিচিতিঃ BOB 01, JTWC পরিচিতিঃ 02B) নিহতের সংখ্যা বিচারে স্মরনকালের ভয়াবহতম ঘূর্ণিঝড়গুলির মধ্যে একটি। এটি ১৯৯১ সালের ২৯শে এপ্রিল বাংলাদেশে দক্ষিণপূর্ব চট্টগ্রাম বিভাগের উপকূলীয় অঞ্চলে প্রায় ২৫০কিমি/ঘণ্টা বেগে আঘাত করে। এই ঘূর্ণিঝড়ের ফলে ৬মিটার (২০ ফুট) উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস উপকূলীয় এলাকা প্লাবিত করে এবং এর ফলে প্রায় ১,৩৮,০০০ মানুষ নিহত হয় এবং প্রায় ১ কোটি মানুষ তাদের সর্বস্ব হারায়। উইকিপিডিয়া থেকে নেয়া) আমেরিকার সৈন্য আমাদের এই এলাকাতে এসেছিল, তারা সেই সময়ে নাকি সেই এলাকার একটা ম্যাপ চেয়েছিল, কিন্তু আমাদের সরকার প্রধান পর্যন্ত নাকি এটা অনুমোদনের জন্য গিয়েছিল এবং পরে তাদের দেয়া হয় নাই, না করে দেয়া হয়। পরে তারা তাদের কাজের স্বার্থে কয়েক দিনের মধ্যেই নাকি নিজেরাই ম্যাপ বানিয়ে উলটা আমাদের জোয়ান্দের বলেছিল, লাগলে এই ম্যাপ তোমরাও নিতে পার! হা হা হা, মানে বুঝে নিন, সেই সময়েও তাদের কাজের দক্ষতা, প্রযুক্তি কেমন ছিলো! (একজন প্রতক্ষ্যদর্শি থেকে শোনা)
ইরাক ইরান যুদ্ধের পরে ১৯৯২তে আমি নিজে বিদেশ যাই এবং দাহারাইনের আমেরিকান এয়ারবেইসের কিছু কাজ সরাসরি দেখি, বিগ্রেডিয়ার থেকে সাধারন সৈন্য আমার পরিচিত ছিল, আমার কিছু প্রবেশাধিকার ছিলো, তখন তারা তাদের আনা এমুনেশন দাম্মাম নৌবন্দর দিয়ে ফেরত নিচ্ছলো, এই সকল কিছু প্রজেক্টে কাজ করতে গিয়ে আমি তাদের প্রশাসন, কর্মক্ষমতা, প্রযুক্তি নিজ চোখে দেখেছি, সেই সময়েই তারা ১০০ ভাগ কম্পিউট্রাইজড ছিলো, তাদের পারচেজ, টেন্ডার, একাউন্স, ইউজ সব কম্পিউটারে হত, বুঝেন এবার ব্যাপার। প্রশাসনিক চেইন অফ কমান্ড থেকে সব কিছু আমার এখনো মনে আছে, তখন দুনিয়ার অনেক দেশ শিশু ছিলো বটে! প্রশাসন কি তা অনেক দেশ বুঝতো কি না কে জানে! তবে আজকাল অনেক দেশই তাদের থেকে শিক্ষা নিয়ে নিজদের গঠন করে ফেলেছে!
কথা গুলো এইজন্য বললাম যে, আমেরিকা এখন অনেক এগিয়ে, সামাজিক, আর্থিক কিংবা প্রশাসনিক দিকে! দুনিয়ার কোন বিষয় আমেরিকা বুঝে না, তা হবার নয়! তাদের অনেক ক্যাল্কুলেশন আছেই, নিশ্চিত! দুখের সংগে বলতে হয়, আমাদের কিছু আলবা মুরুক্ষ ভাই বোন আছে, যারা খোদ আমেরিকায় বসবাস/থেকেও আমেরিকার এই সব প্রশাসন বুঝে না, অথচ তারাই বেনিফিশীয়ারি! তারা ক্ষোদ সেই দেশে বসেই ফাল পাড়ে যে, বাংলাদেশ কম না! আমার হাসি আসে, এই আবালদের কথা শুনে, আমেরিকা যে আইনে চলে, যে সভ্যতা দেখায়, তা এরা সেখানে বসেও বুঝতে পারে না! হা হা হা
যে দেশের প্রায় সব প্রতিষ্ঠান এমনি সুস্পষ্ট প্রসাশনিক আইনে চলে, সামান্য প্রতারণাতেই বিচারে যে কারো ১৫/২০ বছর জেল হয়ে যায়, সেই দেশ নিয়ে কথা বলতে ভাবনা চিন্তা করা উচিত!
(বার বার বিদ্যুত চলে যাওয়াতে লেখার ধারাবাহিকতা থাকলো না, কারন আমার অফিসে এসি নেই, গরমে বসাই যাচ্ছিলো না!)

আমেরিকাঃ ২
লাফ ঝাঁপ যত কিছুই ব্যাখ্যা দিন, খুব সাধারন চিন্তায় বাংলাদেশকে আমেরিকা কানাডার সাথে থাকাই উত্তম, এতে বাংলাদেশের সাধারন মানুষ সহ মাঝারি বড় ব্যবসাহী সবার জন্য মঙ্গল। আমেরিকার ভুমিকা যত যাই হোক, অন্তত এদের কাছ থেকে শেখা যায়, বা অন্তত সুযোগ থাকে, বিচার চাওয়া যায়, যা দুনিয়ার অন্য কোন দেশেই নেই বা আমাদের জন্য সামান্য সুযোগ রাখেও নাই তারা। যত হাউসের পিরিতি দেখিয়ে অন্য দেশ আমাদের কাছে আসুক না কেন, সেটা তারা তাদের লাভের জন্য করবে এবং লাভ বুঝে নিয়ে আমাদের লাথি মেরে ফেলে দিবেই, এটাই বাস্তবতা। আমেরিকায় সারা দুনিয়ার মাইগ্রেট করা লোক আছে, থাকে বিধায়, তাদের স্বার্থ তারা দেখলেও অপেক্ষাকৃত কিছুটা উদার। আপনি প্রতিভাধারী হলে তারা আপনাকে টেনে নেবেই, আপনি দক্ষতা দেখালে তারা আপনার কাছে আসবেই, যা অন্য কোন দেশের বেলায় চিন্তাও করা যায় না। এমনি আরো অনেক উদাহরণ দেয়া যায়।
আমাদের দেশে নিন্মে ৫/৭ কোটি ক্যাশ টাকার মালিক, এমন কার অন্তত আমেরিকার ৫ বছরের ম্যাল্টিপোল ভিসা নেই! অন্যদিকে একদম টাকা না থাকলেও আপনি আমেরিকার ভিসার জন্য মনোনীত হতে পারেন, এপ্লাই করতে পারেন, এমন সাধারন সুযোগ কি দুনিয়ার অন্য কোন দেশে আমাদের দেয়! আজকাল শিল্প সাহিত্য সংবাদের প্রায় হোমড়া চোমড়াদের তো দেখি ভিসা আছেই! এমন নানান দিক বিবেচনা করলে আমেরিকাই এই দুনিয়ার সেরা দেশ এখন, অন্তত আমাদের জন্যও!
কথা বেশি বললে তো শুনবেন না, খুব কমে বলি, আমেরিকা হচ্ছে প্রযুক্তি এবং উদ্ভাবনের মুল কেন্দ্র, আপনি যে মেশিন হয়ত জাপান চায়না জার্মানী দেখছেন, দেখে তালি দিচ্ছেন, তার মুল প্রেইট্রেট (এই নিয়ে আর একটা লেখা লিখবো) কিন্তু আমেরিকাই, আর এই জন্য আমারিকার বড় বড় শহরের বড় বড় বিল্ডিং গুলোর বাতি কখনো নিবে না, জ্বলে!
(ছবিঃ টাইম আউট থেকে)
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই জুন, ২০২৩ রাত ৯:২৪

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




