বর্তমান সরকার যে গরীব এবং মধ্যবিত্ত থেকে ডিস্কানেটেড তা বহু আগে থেকে বলে আসছি, সরকারের কোন কাজে গরীব এবং মধ্যবিত্ত যে সুফল পায় নাই তার উল্লেখ অনেক আগে থেকে করে আসছি, এতে অনেকে রেগে যেতেন। আপনি এই শহরের কোন রিক্সাচালক কিংবা চাকুরে মধ্যবিত্তর সাথে কথা বললেই বুঝতে পারবেন (দরিদ্ররা এখন সরকারকে গালি ছাড়া কথা বলে না)।
সরকারের কানেকশন শুধু ধনী এবং লুটেরাদের সাথেই, যারা নানান পর্যায়ে হাতিয়েই নিয়েছে এবং এরাই চায় সরকার চলমান থাকুক, কারন এতে তারা আরো সম্পদ অর্জন করতে পারবে ও তাদের বিচার করা যাবে না! প্রশ্ন উঠে বা চরিত্রহীন সেই ধনীরা বলে তা হলে মানুষ আন্দোলন করে না কেন? এর উত্তর হচ্ছে, গরীব এবং মধ্যবিত্তের যা আছে তাও হারিয়ে যাবার ভয়, প্রানের ভয়, উচ্ছেদ হবার ভয়, মামলার ভয়, পরিবারহীনতার ভয় ইত্যাদি ইত্যাদি। সাধারন মানুষ তার আয়ের সাথে ব্যয়ের কোন মিল খুজেই পাচ্ছে না, কোন সেবা ঘুষ দূর্নীতি ছাড়া পাচ্ছেই না!
সরকারের দৃশ্যমান উন্নতি হচ্ছে রাস্তাঘাট ব্রিজ নানাবিধ সংস্থার ভবন ইত্যাদি ইত্যাদি কিন্তু এর সুফল মোটেই সাধারন মানুষের কাছে আসছে না। রাস্তা ব্রীজ হবার পরে সাধারন মানুষ মনে করেছিল দ্রব্যমুল্য কমবে কিন্তু সেটা উল্টাই হয়েছে, এখন টোল, চাঁদাচোদ্দা দিয়ে সাধারন শাক সব্জির শহরে পৌঁছাতেই দাম আকাশে! সাথে এর লিঙ্কাপে যারা কাজ করে তাদের মোটেই নিয়ন্ত্রন করা যায় নাই!
আমাদের দেশের সাধারন মানুষের এক মাত্র আশা বিদেশ যাওয়া (এর বাইরে সামান্য কিছু বেশি টাকা উপার্জনের কোন পথে নেই), গরীবেরা মধ্যপ্রাচ্যে যেতে চায়, এখানে স্তরে স্তরে সরকার চুষে নিতে চায় বা নিচ্ছে, অথচ নিজের যোগাড়ে ভিসা, মেডিক্যাল, বিএমইটি ট্রেনিং, ফিঙ্গার প্রিন্ট, এয়ারফেয়ার কোথায় কোন ছাড় নেই। বিদেশ যাবার পুরা কাজ সে ব্যক্তিগতভাবে যোগাড় করে, অথচ এই বাঁধা এবং হাতিয়ে নেয়া কিছুতেই থামানো যাচ্ছে না!
অন্য ক্যাটাগরি মধ্যবিত্ত বা ফিক্স ইনকামের লোকেরা কিভাবে বেঁচে আছে, তা তো বিধাতাই জানে, প্রায় উলংগ বলা চলে! (উলঙ্গ চলাফেরায় অভ্যস্থ হলে মুখে কথা আসে না, মাথা নীচু হয়ে যায়!)
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই জুলাই, ২০২৩ রাত ১:১০

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




