বুঝেন আর না বুঝেন, এই যে কিছু শু/ইয়োর লজ্জা পাচ্ছে এটাও এই সরকারের সাফল্য, অন্তত কিছু অপরাধী যে ঘরে বসে আছে এটা কম নয়!

বাজেট দেয়া হয়ে গেল, বাজারে তেমন কোন দ্রব্যের বাড়া কমা দেখলাম না, বাজেট নিয়ে কোন দোকান্দারের কথাই শুনলাম না। আজ ফার্মের মুরগী ১৫০টাকা কেজি কিনলাম, ডিম ডজন ১৩০টাকা, পেঁয়াজ কেজি ৫৫টাকা, আলু কেজি ২০টাকা, শাক সবজি পুরানো দামে, মশলার দামও আগের মত জানলাম (কাল কিনবো), চা দোকানে এখন চা/সিগারেটের দাম আগের মতই, সাধারন পরিবারের ব্যবহার্য্য কোন দ্রব্যের দাম বাড়ছে এমন দেখি নাই বা কেহ বলেও নাই।

গতকাল রাতে আম্মা ইটালী গেছেন, সাথে ছোট ভাই ছিলো, কাতার থেকে সকালে ভিডিও কলে কথা হল, বাংলাদেশ এয়ারপোর্টের কথা জিজ্ঞেস করাতে তিনি জানালেন, এত ভদ্র ব্যবহার তিনি আর পূর্বে কখনো দেখেন নাই, এয়ারপোর্টে কর্মরত এক যুবক উনাকে হুইলচেয়ার দিতে চেয়েছিলেন, তিনি নেন নাই, পরে সেই যুবক সমস্ত মালামাল ট্রলিতে উঠিয়ে এগিয়ে দিয়েছিলেন, ইমিগ্রশনে নাকি আগেই উনাকে সালাম দিয়েছে। তবে কাতার এয়ারপোর্টের আরো সুনাম করলেন, জানালেন ২ ঘন্টার যাত্রা বিরতিতে তিনি ছোট ভাইকে বা বলে ওয়াসরুমে গিয়ে ছোট ভাইয়ের কাছে ফিরে আসতে পারছিলেন না, মানে উনারা কোথায় বসেছিল তা খুঁজে পাচ্ছিলেন না, পরে নাকি এক কুয়েতি আরেক বাংলাদেশী নিয়ে এসে ছোট ভাইকে খুঁজে বের করে ফেলে। ঘটনা শুনে আমি হাসছিলাম! আমার হাসি দেখে তিনি বললেন, তুই থাকলে এমন ঘটনা হইত না!

দুপুরের দিকে একজন সিংগাপুর প্রবাসীর লাগেজ থেকে মালামাল চুরির একটা ভিডিও ভাইরাল, নিশ্চয় দেখে ফেলেছেন। সরকার অনেক কিছু ভাল করার চেষ্টা করছে, এই লাগেজ কেটে মালামাল চুরি কেন রোধ করতে পারছে না! দুঃখজনক ব্যাপার, আমি এতে দায়ী করবো 'প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়' এর দায়ে থাকা মি আসিফ নজরুল সাহেবকে। এই মন্ত্রনালয়ের দায় তিনি বহন করতে পারছেন বলে আমি মনে করি না, উনার উচিত এই মন্ত্রণালয় নিজ থেকে ছেড়ে একজন অভিজ্ঞ আলাদা ব্যক্তিকে নিয়োগ দেয়া (এই নিজে আমি বহু আগে থেকেই বলছি)।

আজ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের উপদেষ্টা ভাইরাল হয়েছেন এবং তিনি তার আচরণের জন্য সাধারন মানুষের ভালবাসা কুড়িয়েছেন। ক্ষমতা পেলে তার অধিনস্ত জায়গা সমুহে বার বার কোন সময় তারিখ না দিয়ে ঘুরতে হয়, এতে তার অধিনস্তেরা সতর্ক থাকে এবং কাজে মনোযোগী হয়, পাশাপাশি তার চেষ্টা মানুষের চোখে পড়ে, বড় বিল্ডিং এর উপরের তলায় বড় অফিসে বসে কাজ করলে সাধারন মানুষ তা বুঝে না। ঠিক এই কথা আমি মি প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস সাহেবকেও বলবো, তিনি যেহারে বিদেশ যাচ্ছেন সেই হারে দেশের অভ্যন্তরে যাচ্ছেন না, অথচ এটাই প্রায়োরেটি পাওয়া দরকার ছিলো। আশা করছি তিনি ও তার দল, এটা রিয়েলাইজ করবেন।

বাক স্বাধীনতা মানুষের জন্য জরুরী বিষয়, এটা এখনো উন্মুক্ত বলেই মনে হচ্ছে। আজ আরেকটা ভিডিও ভাইরাল হয়েছে, যেখানে এক বিএনপির কর্মী মি প্রফেসর ইউনূস সাহেবকে নিয়ে বিশ্রী কথা বলেছে, তিনি ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন না দিলে নাকি ......... .........। যদিও পাশের লোকেরা তাকে সাইজ করছে তবুও চিন্তা করছিলাম, এমন কথা যদি পলাতক আপার আমলে কেহ বলতো, তবে তাকে নিশ্চয় আর এই দুনিয়াতে কেহ দেখতে পেত না! কয়েক মিনিটেই গায়েব বা গুম হয়ে যেত! অনেকে লোভে সেন্স হারিয়ে ফেলছে! এত জলদী সব ভুলে গেলে হবে?

জীবনে উঠা নামা চলেই! গত বছরেও যে আমার সাথে ভাগে কোরবানী দিয়েছিলেন, তাদের একজন এবার একাই পুরা গরু কোরবানী দিচ্ছে্ন, শুনে ভাল লেগেছে। আবার আরেকজন শাহীন ভাই, যার দুই ছেলেই কানাডা থাকে, তিনি এবারেও আমাকে খুঁজে বের করে নিজেই গরু কিনে আমাকে ভাগে রেখেছেন, আমি কিছু সময়ের জন্য গরুর হাটে গিয়েছি তবে গরু কিনতে পারি নাই, পরে তিনি কিনেছেন, এবারের পুরা দায় তিনি নিয়েছেন, যা আমি এত বছর দায় নিয়েছি এবার তিনি, আমি মুক্ত, ঘুমাবো, ভাগের সময়ে গেলেই হবে। হা হা হা

* মায়ের ছবিটা কাতার এয়ারপোর্ট থেকে ছোট ভাইয়ের পাঠানো। ছবিটা এই জন্য দিলাম যে, এই আম্মা আমাকে বলতেন সারাদিন কম্পিউটার মোবাইল দেখিস। হা হা হা, এখন আম্মাই আমার চেয়ে বেশী মোবাইল ইউজার, হাতে মোবাইল দেখুন! তিনি হোয়ার্সাপের একাউন্ট হোল্ডার, ফেইসবুক ইউটিউব তো কোন ব্যাপারই না! কাতার এয়ারওয়েজের বোর্ডিংপাসেই নাকি যাত্রীদের এয়ারপোর্টের ওয়াইফাই লগইন পাসওয়ার্ড দিয়ে দেয়া হয়, তিনি নাকি সেটা ব্যবহার করছেন! সাথে একটা বোনাস ছবি, কাতার এয়ারপোর্টের ভিতরের পার্কের মত জায়গা আছে, ইচ্ছা হলে ঘাসে শুয়ে বসেও মোবাইল ঘুতাতে পারেন!

সবাই ভাল থাকবেন!