আমাদের এক আন্টি ভীষণ অসুস্থ্য। ওনার ৩ মেয়ের সবাই বিদেশে। আমার ডিপার্টমেন্টের বড়ভাই মুরাদভাই ছেলের দায়িত্বে ওনাকে দেখাশোনা করছেন। আমি মাঝেমধ্যে চেষ্টা করি ওনাকে সাহায্য করবার।
গতকাল জানা গেল আন্টির পা কেটে ফেলা লাগবে। সেই সাথে শরীরে রক্তেরও স্বল্পতা। আমাকে জানালো মুরাদ ভাই। আমি বেশ কয়েকজনের সাথে কথা বললাম। কিন্তু কেউই দিতে পারবে না বলে জানালো। শেষ পর্যন্ত ফোন দিলাম ব্লগার নিশচারকে। ও বলল, রক্ত দিতে পারবে কিন্তু অফিস শেষে সাভার থেকে এসে রক্ত দিতে হবে। আমি ওকে বললাম, ঠিক আছে দেখি ঢাকায় কাউকে পাই কি না।
প্রায় হতাশ হয়ে আমি চেষ্টা করছি আরও কয়েকজনের সাথে যোগাযাগের। এরই মধ্যে নিশাচরের ফোন। ও আসবে এবং রক্ত দেবে বলে জানালো। অনেক কষ্ট করে নিশাচর এসে পৌঁছালো । রক্ত দিয়ে ফিরতে ফিরতে রাত প্রায় সাড়ে ১০ টা।
এ চলে যাবার পর আমি আর বৃত্তবন্দী ফিরলাম শ্যামলী পর্যন্ত। বৃত্তদাকে বিদায় দিয়ে যাবার সময় আমি ভাবতে চেষ্টা করলাম পুরো কাজটা। নিজেকে জিজ্ঞাসা করলাম, আমি কি সাভারে গিয়ে রক্ত দিয়ে আসতে পারতাম? বোধহয় না। কিন্তু নিশাচর পেরেছে। ও অনেক বেশি মানবতাবাদী। মানুষকে অনেক ভালোবাসতে পারে। মনে মনে স্যালুট জানালাম। লাল সেলাম নিশাচর।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



