মাননীয় প্রধানমন্ত্রী,
আসসালামুআলাইকুম। আমরা আপনার দেশের ডিজিটাল জনগন, আমরা যুব সমাজ, আমরা দুরন্ত, আমরা দুর্বার এবং আমরা আজ আসহায়।
আপনি নিশ্চই জানেন যে কম্পিউটার নামক বস্তুটি আমাদের জীবনে ওতপ্রত ভাবে জরিত। এটি ছারা একমুহুর্তও চিন্তা বা কল্পনা করা সম্ভব নয়। আপনার "ডিজিটাল বাংলাদেশ" গড়ার মূল বস্তু এটি। এটি ছারা ডিজিটাল বাংলাদেশ চিন্তা করাও সম্ভব নয়। এই চিন্তা করেই আপনি কম্পিউটার থেকে সকল প্রকার কর তুলে দিয়েছিলেন, এ জন্য আপনাকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা। কিন্তু আপনার স্বপ্ন ধূলীসাত্ করার লক্ষে BCS (বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি) এর কিছু বুড়ো দালাল চক্র যারা সারা জীবন কম্পিউটারের মাউস ধরেছে কিনা সন্দেহ তারা সকল প্রকার কম্পিউটার পন্যে এখন থেকে মাত্র এক বছরের ওয়ারেন্টি সার্ভিস নীতি চালু করেছে এবং সারা বাংলাদেশের সকল ইম্পোর্টারকে সেটা মেনে নিতে বাধ্য করছে। অতে তারা চায়না থেকে অতী নিন্ম মানের প্রোডাক্ট বাংলাদেশে আমদানি করার চিন্তা ভাবনা করছে যাতে সেগুলো এক বছরের বেশি না টিকে।
যেখানে পৃথিবির সকল দেশে ভোক্তা অধিকার আইনের আওতায় তিন থেকে দশ বছরের অতিরিক্ত ওয়ারেন্টি সেবা দিয়ে যাচ্ছে সেখানে ডিজিটাল বাংলাদেশে তার উল্টো ভোক্তা অধিকার নীতিকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে এক বছরের ওয়ারেন্টি পলিসি গ্রহন করেছে।
আপনি হয়তো জানেন যে কম্পিউটারের অনেক পার্ট এ পৃথিবিতে সর্বচ্ছো ১০ বছরের ওয়ারেন্টি আছে কারন ঐসকল প্রোডাক্ট খুব দামী তাই ম্যানুফেক্চারিং কোম্পানী এত লম্বা ওয়ারেন্টি দিয়ে থাকে। এখন যেখেনে ম্যানুফেক্চারিং কোম্পানীগুলো তাদের সর্বচ্ছো ওয়ারেন্টি সেবা দিয়ে যাচ্ছে সেখানে আমদানিকারকরা কেন আমাদের ঐ সেবা থেকে বন্ঞ্চিত করবে ? কেন তারা ডিজিটাল বাংলায় ম্যানুয়াল পদ্ধতি চালু করবে ? কেন তারা ভোক্তা আধিকার আইনকে বুড়ো আঙ্গুল দেখাবে ? কেন তারা আমাদের সাথে প্রতারনা করবে ?
এসবের উত্তর আমার জানা নাই। হয়তো আপনারও জানা নাই। এইসব অসাধু ব্যবসায়িদের বলির পাঠা কেন আমরা হবো?
এ ব্যাপারে আপনার সাহায্য কামনা করছি। আপনার আন্তরিকতাই পারে এদের থেকে আমাদের রক্ষা করতে। আমাদের বাচাঁন।
নিবেদকঃ বাংলার তরুন সমাজ।
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:২২