
বংশরক্ষার জন্য জাপান, তাইওয়ান ও দক্ষিণ কোরিয়া থেকে পুরুষরা পাড়ি জমান চীন এবং ভিয়েতনামে। এই তিনটি দেশের পুরুষ এখন কনে খুঁজতে পাড়ি জমাচ্ছেন চীন ও ভিয়েতনামে। কারণ, তাদের দেশে চলছে একাধারে নারীমুক্তি এবং পিতৃতান্ত্রিক প্রথার অবসানের সংগ্রাম। তাই বিয়ের প্রতি আগ্রহ কম দেশগুলোর নারীদের। ফলে বাড়ছে এই দেশগুলোতে নারী অভিবাসীর সংখ্যা।
এ বিষয়টি নিয়ে গবেষণা করছেন কানাডার পশ্চিম অন্টারিও বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী। তার গবেষণার ফল ছাপা হয়েছে ফ্রান্সের জনসংখ্যাতত্ত্ব গবেষণা প্রতিষ্ঠানের পত্রিকায়।
ড্যানিয়েল নামে ওই ছাত্রী তার গবেষণায় যে তথ্যগুলো পেয়েছেন, তা ভাবিয়ে তোলার মতো। দুই দশক ধরে জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া এবং তাইওয়ানের অধিকসংখ্যক পুরুষ বিদেশি মেয়েদের বিয়ে করছেন। কেননা তাদের দেশে কনে পাওয়া দুষ্কর। ২০০৯ সালে তাইওয়ানে স্ত্রীদের ১৫ শতাংশ ছিলেন বিদেশি বংশোদ্ভূত। দক্ষিণ কোরিয়ায় ছিল আট শতাংশ। জাপানে এই প্রবণতা সবার আগে শুরু হয়েছে। আশির দশকে বিদেশি মেয়েদের বিয়ে করার প্রবণতা শুরু হলেও তাদের অনুপাত পাঁচ-ছয় শতাংশের বেশি নয়। স্বদেশে কনে না জোটার কারণ হচ্ছে তিনটি দেশেই মহিলাদের শিক্ষার মান ক্রমে বৃদ্ধি পাচ্ছে। বেড়েছে চাকরিজীবী মহিলার সংখ্যাও। এসব শিক্ষিত, চাকরিজীবী মহিলার অনেকেই ঘরের কোণে বন্দি থাকতে চান না। প্রথাগত ভূমিকা পালন করতে এখন আর তারা রাজি হচ্ছেন না। তারা চাকরি করতে এবং একা থাকতেই বেশি ভালোবাসেন। ওদিকে বংশরক্ষার জন্য পুরুষরা উদ্বিগ্ন। মেয়েরা অবিবাহিত থাকতে আগ্রহী হয়ে উঠলেও পুরুষদের পক্ষে অবিবাহিত থাকা সম্ভব নয়। কাজেই তাদের নজর এখন চীন আর ভিয়েতনামের দিকে।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




