ভাই আমাশয় রোগের লক্ষণ কি বলতে পারেন?
*পেটব্যাথা
*অরুচি
*ঘন ঘন বাথরুমে যাওয়া ইত্যাদি।
আসুন দেখি বর্তমান সরকার যদি আমাদের Subject হয় আর কথিত “যুদ্ধপরাধীদের বিচার” যদি Test Case হয় তাহলে দেখা যায় এই সরকার “যুদ্ধপরাধীদের বিচার” এর ব্যাপারে ভায়াবহ আমাশয় রোগে আক্রান্ত। সরকারের বৃহদান্ত্রে অবস্থানকারী বাম-রাম-রাই এদের পীড়ার কারন। এদের সাক্ষীদের ‘পেটব্যাথা’ থাকে তাই আদালতে হাজিরা দিতে পারে না, সত্যকথা বলায় সাক্ষীদের চরম ‘অরুচি’ আর সেজন্যই সরকারপক্ষ ‘ঘন ঘন বাথরুমে’ যায় আর নতুন নতুন দুর্গন্ধযুক্ত এবং অযাচিত ব্যক্তিদের জবানবন্দীকে সাক্ষী হিসেবে চালানোর পায়ঁতারা করে বেরিয়ে আসে।
আরে ভাই পৃথিবীর কোন দেশে এই আইন আছে যে সাক্ষী আদালতে আসতে পারবে না বলে আদালতের বাইরে গোপন জায়গায় তাদের মনগরা জবানবন্দী সরকারের ‘ঘরকরা’ বাহিনির কাছে দিলেই তা সাক্ষীর মর্যাদা পায়? সভ্য দেশ বাদই দেন, জঙ্গলের আইনেও এটা অবিচার। সরকার পক্ষের বে-আইনী কার্যলাপ দেখলে স্পস্টই বোঝা যায় তারা “একটি অন্ধকার ঘরে একটা কালো বিড়াল খোঁজার ব্যর্থ চেষ্টা করছেন যেখানে আদতে কোন বিড়ালই নেই।”
হ্যাঁ ভাই, মাওলানা সাঈদীর বিরুদ্ধে অজেরাকৃত ব্যক্তিদের জবানবন্দীকে সাক্ষ্য হিসেবে নেয়া সংক্রান্ত রায়ের কথাই বলছি।
রাষ্ট্রপক্ষের দাবী যে সকল মহাগুরুত্বপূর্ণ(!) ব্যক্তির জবানবন্দীকে সাক্ষ্যের মর্যাদা দেয়া হয়েছে তাদেরকে আদালতে হাজির করা নাকি “দুরূহ, ব্যয়বহুল ও সময়-সাপেক্ষ।”
কেন? ‘দুরূহ’ হবে কেন? জাফর ইক-বালরা কি মঙ্গল-গ্রহে থাকে নাকি? এরা তো যুদ্ধপরাধীদের বিচারের দাবীতে কাপড় খুলে চিৎকার করে চলেছে; এখন আদালতে এসে সাক্ষী দেয়ার সময়টাও হয় না? নাকি তাদের ভয়, আইনজীবীদের জেরার মুখে ‘মূত্র বিসর্জন’ হয়ে যেতে পারে?
সরকার বলেছেন যুদ্ধপরাধীদের বিচারে অর্থ-ছাড় কোন সমস্যা নয়? তাহলে ওই বে-আইনী ট্রাইবুনালের পোষা আইনজীবীগুলোর এত ‘পোদ্দারী’ কিসের? অর্থ গেলে যাবে, জাতিকে তো ‘কলংক’মুক্ত করা দরকার- কি বলেন?
আর সময়সাপেক্ষ! অভিযোগ গঠন ছাড়া সাবেক মন্ত্রী এম.পি.-দের এতদিন আটকে রাখা গেল আর এখন সময়ের অভাব? ফাজলামোর একটা সীমা থাকা উচিত নয় কি? ট্রাইব্যুনালের বুরো ভাঁড়গুলো কি দেশের মানুষকে বোকা ঠাউরেছে?
ঘটনা আসলে অন্যরকম। স্বৈরাচার, বাকশালী আওয়ামী সরকার যাদেরকে নিজেদের অস্তিত্বের জন্য হুমকি মনে করে তাদেরকে সরানোর জন্য যেসকল নোংরামী অবিশ্রান্তভাবে করে চলেছে, জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে ধিকৃত প্রক্রিয়ায় যুদ্ধপরাধীদের কথিত বিচার তারই একটি মাত্রা বৈ অন্য কিছু নয়। যে সরকারের নাকের ডগায় দিনে-দুপূরে অসংখ্য অপরাধ সঙ্ঘটিত হচ্ছে, সাধারন মানুষ দূর-অস্ত; বিশিষ্ট ব্যক্তি এমনকি বিদেশি মেহমানেরা পর্যন্ত হত্যা লুণ্ঠন থেকে রক্ষা পাচ্ছেন না, সরকারী নির্দেশে আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী যেখানে অপহরন আর গুম-খুনের সাথে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত, মুক্তিপনের টাকা না পেয়ে প্রতিনিয়ত যে দেশে অপহৃত শিশু হত্যা চলছে আর সরকার কিছুই করতে পারছে না, সেখানে যুদ্ধপরাধের মত মীমাংসিত বিষয়কে কবর খুঁড়ে তুলে দূর্গন্ধ ছড়ানোর কি অর্থ তা দেশবাসী জানে। প্রকৃত যুদ্ধপরাধীদের বিচার করার মূরদ এই সরকারের নেই। নিজেদের নোংরামী আর ব্যর্থতা থেকে মানুষের দৃষ্টি সরানোর জন্যেই যুদ্ধপরাধের ধোয়া তোলা হচ্ছে আর এ প্রক্রিয়ায় ‘বলির পাঠা’ বানানো হয়েছে একদল মানুষকে যাদের আত্নরক্ষার আইনস্বীকৃত অধিকার পর্যন্ত দেয়া হচ্ছে না।
বাংলাদেশের আকাশ আজ সন্তানহারা মায়ের চিৎকার আর হাহাকারে ভারী হয়ে উঠেছে, স্বাধীনতার ঠিকাদারদের পশুসুলভ মানসিকতা অসংখ্য পিতার কাঁধে তুলে দিয়েছে পৃথিবীর সবচেয়ে ভারী বোঝা পুত্রের লাশ; এ জমিন আর অন্যায় বোঝা বইবে না, এদেশের মানুষ এই জুলুমের প্রতিকার করবেই। মুক্তির কাফেলা আসলো বলে.......

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



