হযুর নিকের প্রাদুর্ভাব পড়ে মনে হলো , তাই লিখে ফেললাম। একান্তই নিজস্ব ভাবনা। কারো সাথে মিলে গেলে "ইমন দায়ী নহে"। কাউয়াতালীয় ধরে নিতে হবে। কারো সাথে না মিললেও "ইমন দায়ী নহে"। মাকাযাই মাকাযাই রাম পাম পো দায়ী , সুতরাং তারে ধরবেন!!!!
সমস্যাটা আসলে জি্বন ভূত ঘটিত ! (আম্মাআআ)
কারো কারো কোষে কোষে বংশ পরিচয় ও আচরনগত যে জি্বন থাকে, তাতে গন্ডোগোল হয়ে ভূত জন্মায়।
ড্রাই জিনের মত এই জি্বনও কড়া। ফলে ইরিটেশন হয়। ফলে রক্তে হিস্টামিন রিলিজ হয়। রক্তে হিস্টামিন রিলিজ হলে প্রোস্টাগ্ল্যানডিন ফর্ম করে । সেই প্রোস্টাগ্ল্যানডিন শরীর থেকে বের হওয়ার একমাত্র পথ হলো মূত্র । প্রোস্টাগ্ল্যানডিন শরীরে বেশি ক্ষণ থাকলে নানা রকম ক্ষতি এবং ব্যথা হয়। মহোজনীয় ব্যথাও হতে পারে । কারন শরীর আত্মরক্ষার খাতিরে বেশি বেশি মূত্র তৈরী এবং জমা করে , দ্্রুত ত্যাগের জন্য প্রচন্ড চাপও সৃষ্টি করে!!!! ফলে আক্রান্ত ব্যক্তিরা ব্লগে ব্লগে গিয়ে " মূত্র ত্যাগ " করে । এটাকে সেল্ফ ডিফেন্স হিসেবেই নিতে হবে!!!
এখন এই প্রোস্টাগ্ল্যানডিন চালু করে দেয় সি- সিস্টেম । একটু ব্যাখ্যা করা দরকার।
এই ছিঃ সিস্টেম হলো প্রদাহ ( ইনফ্লেমেশন) প্রক্রিয়ার অংশ।
ইহার 3 টি ভিন্ন ভিন্ন পথ আছে। ক্লাসিক , লেকটিন এবং অলটারনেটিভ ।
ব্লগে গালি দেওয়ারও পথ 3 টিই ।
ক্লাসিক ঃ কোন ঘটনা বা মন্তব্যের নিমিত্তে তৎক্ষণাৎ নিক তৈরী করে গালি দেওয়া। সাধারনত ব্যক্তি কেন্দ্্রিক হয়ে থাকে।
লেকটিন ঃ কোন নির্দিষ্ট শ্রেনীর লেকা / লেখার প্রতি এলার্জি জনিত কারনে " ক্যাট অন এ হট টিন রুফ" সিনড্রোমের শিকার হয়ে নিক নেওয়া এবং গালি শুরু।
অলটারনেটিভঃ এদের লেখার প্রতিভা বলে কিছু নাই। বক্তব্যও নাই। যুক্তি বুদ্ধি বলেও কিছু নাই। ব্লগে আগমন গালি দেওয়ার জন্যই । অফিসে বসের, বাড়িতে বউ এর এবং রাস্তা ঘাটে রিকশা আলা , পান বিড়ির দোকানদারদের কাছ থেকেও গালি খেতে খেতে যারা নর্দমার কীটের জীবন যাপন করে , তাদের একমাত্র হিরো হওয়ার চেষ্টা হইতেছে ব্লগ। এরা অলটারনেটিভ "গালি নিকের" ধারক ও বাহক ।
এখন এই প্রদাহ প্রক্রিয়ায় বিভিন্ন কেমিকেল তৈরী হয়। এদের কিছু সাইটোটক্সিক, কিছু আবার সাইটোলাইটিক । এবং 3টি পথেরই একটা কমন উপাদান হচ্ছে, এম এ সি , বা ম্যাক তৈরী হওয়া। নিচে এদের সামান্য বর্ননা ।
এম. এ. সি. বা ম্যাক ঃ [সামহোয়ার ইনের ] মেম্বার অ্যাটাকিং কমপ্লেক্স । এই
কমপ্লেক্স তৈরী হলে কোন না কোন মেম্বারের জীবন ত্যানা ত্যানা , ফানা ফানা না করিয়া ছাড়ে না।
সাইটোটক্সিক ঃ এদের কর্মকান্ডে সামহোয়ার ইন সাইটটাই ক্ষতির শিকার । এদের জ্বালায় পুরাতন ভালো লেখকরা ভাগে, নতুন ভালো লেখকরা আসে না, যারা কোন না কোন টানে থেকে যায়, তাদের লাইফ হেল। মেয়েরা এদের কারনেই এই সাইটে ঢুকে না, ঢুকলেও রেজিস্টার করে না, করলেও লেখে না, লিখলেও মুছে ফেলে !!!!!!
সাইটোলাইটিক ঃ এরা উৎসাহ প্রদানকারী গোষ্ঠী , কেউ একজন গালি বা অত্যন্ত কুরুচি পূর্ণ আক্রমন শুরু করলে তাঁকে না থামিয়ে বরং " খুব ভালো লেখা হয়েছে ", অথবা "কোপা সামসু" বলে চিৎকার শুরু করে। অথচ এটা ভুলে যায়, এটা বন্ধুর আড্ডা নয়। পাবলিক ব্লগ। বন্ধুর আড্ডায় অনেক কিছুই চলে, চালানো যায়। কারন সেখানে আমরা বাইরের কাইকে বিব্রত করি না। কিন্তু ব্লগে বিব্রত হওয়ার মত অনেক কিছুই আছে ।
কারো বক্তব্যকে যুক্তি দিয়ে আক্রমন করা , তথ্য দিয়ে ভুল প্রমান করার মাঝে কোন দোষ নাই।
ব্যক্তিকে , সে যত নিকৃষ্টই হোক না কেন, আক্রমন করার মধ্যে আর যাই হোক , সুরুচি বা উন্নত মানসিকতার পরিচয় কখনই থাকে না।
প্রকৃতির দিকে তাকিয়ে আমার একটা কথাই মনে হয়। প্রকৃতি শুধু বৈচিত্র নয়, রীতিমত বৈপরীত্যকে ধারন করে । যে প্রকৃতি আমাদেরকে " ডাইকোটমি" ধারনের শিক্ষা দেয় , সেই প্রকৃতিরই উপাদান হয়ে মানুষ " মাই ওয়ে অ র নো ওয়ে " ছাড়া আর কিছু কেন ভাবতে পারে না? মাটি তো সব সহ্য করে , ঝাপিয়ে চরার আগে একটু মাটি হওয়ার চেষ্টা করা যায় না?
পরস্পর মতকে , বৈচিত্রকে , বিপরীতকে দেখা এবং বোঝার চেষ্টা করাটা তো কোন মতবাদ না.............আমার কাছে,
" জিনা ইসিকা নাম হ্যায়" !!!!!!

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



