বেলী ফুল এখন পাওয়া যায় না। বর্ষাকাল নয়। মেঘের ইচ্ছে করে সময়কে পালটে ফেলতে। সারা বছর বর্ষা থাকুক, বৃষ্টির জন্য। বেলী ফুল কি যে ভালোবাসে মেয়েটা! ভেতরে বাহিরে বরফ শুভ্র মেয়েটার অতীত এত কালো, এত রক্তাক্ত ! এত অল্প বয়সে এমন পাশবিক কষ্ট ধারন করে কেউ অবলীলায় হাসতে পারে, হাসাতে পারে ; এমন কি এখনো ভালোবাসতে পারে!
প্রথম দেখার ক্ষণ মনে পড়ে । এত প্রাণোচ্ছল "লাশ" আর বেঁচে ওঠার এমন তীব্র "আকুতি" , একই সাথে ,অন্য কারো মাঝে, ও দেখে নাই । ঠিক মৃত নয়। অনেকটা "ঘুমন্ত রাজকন্যা"। স্লিপিং বিউটি। পরীর মত নিষ্পাপ , পবিত্র কিন্তু জীবাশ্ম ! আর আগুন। বুক ভরা আগুন। চোখ দুটো কারো সাথেই মেলে না। একই চোখ কখনো বরফ, কখনো আগুন আবার কখনো পদ্মফোটা দিঘী হয়ে যায় কি করে?
বইয়ের পোকা । ওর জন্য বই আনতে বাড়ি যেতে হলো। না হলে অনেক সহজ হতো সিলেট মেডিকেল থেকে সোজা ঢাকা হয়ে, বৃষ্টির সাথে দেখা করে চট্টগ্রাম ফেরা। বৃষ্টির জন্য দু'বার আপ ডাউন করতে হবে। বই, গানের ক্যাসেট, কবিতার সেট- ঠিক ঠাক দেখে নিয়ে রওনা দেয় মেঘ। পূর্নেন্দু পত্রীর কথোপকথন, আগেই কিনে রেখেছিল।
খাওয়া হয় নাই। ঘুম তো দুরস্ত। ক্লান্তিতে হাত পা ভেঙে আসছে। তাও ভালো লাগছে। কি যেন আছে এই মেয়েটার মধ্যে। আর সবার চেয়ে আলাদা কিছু। অনেক গভীর আর শান্তিময়। ভালোবেসে কাউকে পুকুর হতে দেখেছে মেঘ। কেউ হয়েছে নদী, কেউ সাগর। বৃষ্টি ওর নামের প্রতি অবিচার করেছে। কোন সীমা নির্ধারন করতে শেখেনি বলেই কি মেয়েটা বিশ্বব্রহ্মান্ডের মত অফুরন্ত !
[চলবে]
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০০৮ রাত ৮:৩৪

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




