somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সবুজ সততা দেখানো শুরু হয়ে গেছে , আসল সত্য কি ?

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ রাত ১:৩০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

একটা খুন যখন হয় তখন হত্যাকারীকে খুঁজে বের করার জন্য কিছু পটুভূমি লাগে ( কে করতে পারে, কেন করতে পারে , কার লাভ সবচেয়ে বেশি) , কিছু সাক্ষী সাবুদ লাগে ( প্রত্যক্ষদর্শী , শেষ কার সাথে কি কথা হয়েছে ইত্যাদি ) আর লাগে কিছু প্রমান । অকাট্য প্রমান যা পটভূমি ও সাক্ষ্য - দুই এর সাথে সঙ্গতিপূর্ণ। সত্য উন্মোচনের পাশাপাশি কে মিথ্যা বলতে পারে , মিথ্যা বলার পিছনে কার কি লাভ হতে পারে সেইটা নিয়েও চিন্তা করা জরুরী । ইংরেজিতে মোটিভ বলে একটা শব্দ আছে , এইটা খুব জরুরী জিনিস । কোন গুজবে কান দেবেন না । কারো কথা বিশ্বাস করবেন না । প্রতিটা কথাকেই মোটিভ দিয়ে যাচাই করে নেওয়া ভীষন জরুরী । নইলে বিভ্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা ১০০%।

[ মনে হচ্ছে একটা ভুলই করেছি । ধর্ষন নিয়ে পোস্ট শুরু করার ফলে সবার চোখ মূল বিদ্রোহ ও হত্যা থেকে ধর্ষন হয়েছে কি হয়নিতে ফোকাস হয়ে গেছে । আমি দুঃখিত , হয়েছে কি হয়নি সেইটা এখন কেউই বলতে পারবে না । ধর্ষনের মত স্পর্শ কাতর একটা বিষয় সম্পর্কে সত্যটা বের করা সব সময়ই কঠিন । আমি কিছু অসঙ্গতি তুলে ধরেছি কারন কালকে থেকে একটা মহলের " ধর্ষন হয়েছেই" বলে চিৎকার চেঁচামেচিতে একটু সন্দেহ হচ্ছে এইটা "সুযোগ পেয়ে জল ঘোলা করার চেষ্টা কিনা" । দ্বিতীয় সম্ভাবনা হলো , যদি ঘটেই থাকে , তাহলে কাদের দ্বারা হলো ? সাধারন আন্দোলনকারী ? নাকি পাগল হয়ে যাওয়া ম্যানিয়াক বি ডি আর ? নাকি পূর্ব পরিকল্পনাকারী কতিপয় ইনফিল্ট্রেটর বা জঙ্গী কর্মী যারা এতদিন সাধারন বি ডি আর এ নখ, দাঁত লুকিয়ে অপেক্ষা করছিলো সুযোগ ও নির্দেশের ? এবার বাকিটা পড়ুন]



এই ব্লগে হাবিব মহাজ্ঞানীজন বলে একজনের একটি অতি জ্ঞানী পোস্ট , পুরানোরা জানেন , বিরাট ইতিহাস হয়ে আছে । আর এখন প্রথম পাতায় ঝুলছে মোসাদের এজেন্ট শোয়েবের লিঙ্কসহ আরেক পোস্ট , সাধারন ক্ষমা ঘোষনার " পরেই" নাকি আমাদের সামান্য কয়টা বেতন ভাতা নিয়ে আন্দোলন করা বি ডী আর এর ভাইয়েরা অফিসারদের বউ ও বাচ্চাদের উপর ঝাপিয়ে পড়ে । একটু খেয়াল করে পড়ে দেখেন , খুব চালবাজি করে লেখা আছে " আমেরিকান ক্রনিকলে " যে আর্মিকে ট্যাঙ্ক ও অস্ত্র নিয়ে " ক্র্যাক ডাউন" করতে দিলে এই সব অনাকাঙ্খিত ঘটনা নাকি ঘটতো না ।

বুঝতে পারছেন ? কোন একটি মহল ক্র্যাক ডাউন না হওয়াতে বড়ই অখুশি হয়েছে ? সেই ক্র্যাক ডাউন , যেইটা অবধারিত ভাবে আরো কয়েক শত লাশ এবং অবশ্যম্ভাবী ভাবেই একটা গৃহযুদ্ধের শুরু গতকালকেই হতে দিত । আমরা সবাই মিলে এবং হাসিনা সরকারের সরাসরি হস্তক্ষেপে এখনো ঠেকিয়ে রেখেছি । যদিও বুঝতে পারছি না , শেষ পর্যন্ত হাসিনা পারবেন কিনা ।

যুদ্ধ ও হত্যা ঠেকানোর জন্য বি ডি আরকে ডিস আর্ম করে রাখা হয়েছে । আমার তো মনে হয় , আর্মীকে ডীস আর্ম করে রাখতে পারলেও ভালো হত । শোকে পাগল লোক জনের হাতে অস্ত্র না থাকাটাই নিরাপদ । তবে , এইটা আসলে একটা দিবাস্বপ্ন । আমি নিজেও জানি । এই রকম করা যায় না । দেশের প্রতিরক্ষার দায়িত্ব দেওয়ার মত আমাদের কোন " বিকল্প বাহিনী" নেই যে দুই পক্ষকে ডিস আর্ম করে একটু নিশ্চিন্ত হওয়া যাবে ।

এর ভিতর , ক্যান্টনমেন্টে যাওয়া মাত্রই সবুজ রঙের সততা আমরা দেখতে পাচ্ছি । গল্প বদলে গেছে অনেকের । পিলখানা থেকে বেরিয়া আসা মাত্রই সকল নারী ও শিশুকে মিডিয়ার সাথে কথা বলতে দেওয়া উচিত ছিলো । এখনো যারা বাইরে দাঁড়িয়ে স্বজনদের খোঁজ করছেন , যারা এখনো গল্প বানানোর সুযোগ পাননি , তারাও এই তথ্য কনফার্ম করতে পারলে ভালো হত যে কোন " ধর্ষন ঘটে নাই" । অথচ কালকে থেকেই খেয়াল করছিলাম কোন কোন নিক এই অসমর্থিত অপরাধটি গলার জোরে ঘটিয়ে ফেলার চেষ্টা করছে । কেন এই অপচেষ্টা ?

গেট থেকে বেরিয়েই সকলে এক বাক্যে স্বীকার করেছেন, কোন নারী বা শিশুকে শারীরীক ভাবে অত্যাচার করা হয়নি । যুক্তি এবং অভিজ্ঞতা বলে, এই রকম হওয়ার কথাও না । বি ডি আর দের ক্ষোভ ছিলো অফিসারদের প্রতি এবং এরা কেউই পাকিস্তান বাহিনীর মত বাঙ্গালীদের ঘৃণা করা মানুষ কখনোই ছিল না । আবার এটাও সত্যি পাকিস্তান সেনাবাহিনীর মত বি ডি আর কোন নেতার পরিকল্পনা ও নির্দেশ অনুযায়ী বাঙালী নিধন ও দমন কর্মসূচী পালন করছিলো না । এই দ্রোহ চলেছে মাত্র দুই দিন , নয় মাস ধরে নয়। যেখানে প্রতি মুহূর্তে বি ডি আর এর জওয়ানরা নিজেদের জীবন নিয়ে মহা আতঙ্কে ছিলেন , এমন কি সেই আতঙ্ক এতটাই বেশি ছিলো যে মাত্র কয়েক মিনিটের ফোন বিরতির কারনে ভয়ে সবাই গোলাগুলি শুরু করে দেন , এর ভিতরে কারো রেপ করার টাইম হইলো কোথায় ?
[বাক্যটি মুছে ফেলা হলো] বেতন ভাতার দাবীতে আন্দোলনের মানুষের সাথে সাইকোপ্যাথিক কিলার, ধর্ষক থাকে কি করে? ব্লগের কোন এক পোস্টে দেখলাম কোন একজন বি ডি আর ফোন করে কান্না কাটি করেছেন , " ভিতরে অনেক কমান্ডো আছে । আমাদেরকে গুলি করে মেরে ফেলছে। আপনারা যা শুনছেন , তা সত্যি না।" বিষয়টা ভাবায় না ? তাহলে কি ভিতরে ইনফিল্ট্রেটর ছিলো ? আগে থেকেই ?

জিম্মি করা অফিসার যারা অন্য অফিসারদের মরতে দেখেছেন তারাও গেট থেকে বেরিয়ে বলেছেন , তাদের সাথে খুব খারাপ কিছু করা হয়নি । বরং টুকরো টুকরো ভাবে যেই খবর গুলো পাওয়া যাচ্ছে ব্লগে (হমপগ্র এর মামা) বা মিডিয়াতে তাতে দেখা যাচ্ছে বহু অফিসারকে বি ডি আর এর জোয়ানরাই নিরাপদে লুকিয়ে ফেলেছেন , বা সরিয়ে নিয়েছেন। ধাপে ধাপে নারী ও শিশুদের গেটের বাইরে বের করে দেওয়া , শাকিলের বাচ্চা দুইজনকে নিরাপদে পার করে দেওয়া ইত্যাদি প্রমান করে , বিডি আর শুধুমাত্র " সাধারন ক্ষমাটাই নিশ্চিত" করতে চেয়েছে । নইলে , ঘটনা অন্যদিকে গড়াতো । প্রথম দিন থেকেই প্রধানমন্ত্রীর কাছে বার বার অনুরোধ করা , বিভিন্ন পর্যায়ে নানক, সাহারা খাতুনকে ভেতরে ঢুকে কথা বলতে দেওয়া , প্রচুর জিম্মিদের ছেড়ে দেওয়া --- এইটা কি ধর্ষকদের মন মানসিকতার সাথে মেলে ? একেবারেই না । উল্লেখিত পরিস্থিতিতে তো নয়ই । [ বোঝা যাচ্ছে , আন্দোলনকারীদের ভিতরেও বিভাজন ছিলো। সবাই তো পাশবিক হয়ে উঠতে পারে না । তবে কেউ কেউ হয়েছে । এখন প্রশ্ন হলো , এরা কারা ? কেন তাদের আগে চেনা যায়নি?]


একটা ব্যাপারে খটকা কিছুতেই কাটছে না । শুরুটা কি ভাবে হয়েছিলো ?

অফিসার কামরুজ্জামান বলেছেন , বাইরে থেকে গুলি শুরু হয়েছে আগে । একাধিক সূত্র বলেছে , শাকিল প্রথমে গুলি করেন একজন বি ডি আরকে এবং গালাগালি করে সবাইকে কোয়াটারে নেবার কথা বলতে থাকলে কিছু বি ডি আর " আগের দিন সন্ধ্যায় " জমা না দেওয়া অস্ত্র দিয়ে গুলি শুরু করে । অনেকেই বলেছেন , দরবারে অস্ত্র নিয়ে ঢোকা যায় না । এইটা সম্পূর্ণ সত্য । তবে অফিসার বা তার গার্ড দের কাছে স্মল আর্মস থাকতে পারে । তাই যদি হয় তাহলে শাকিলের " গার্ডের " অস্ত্র নিয়ে গুলি করা অসম্ভব কিছু না । এইটাতে মোটিভ আছে , দুর্নীতি করলে সেইটা চাপা দেওয়ার জন্য খুন করতেই পারে । কিন্তু , গুলি করলে যে পালটা গুলি হতে পারে এবং অবধারিত ভাবেই তারা সংখ্যা লঘিষ্ঠ , এইটা তিনি বুঝবেন না , এতটা বোকা তো হওয়ার কথা না । আবার যদি অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসী হয়ে থাকেন কিংবা মুজিবের মত ভেবে থাকেন , আর যাই হোক বাংলার মাটিতে তাকে কেউ খুন করার সাহস করবে না , তাহলে ভিন্ন কথা ।

কামরুজ্জামানের কথা সত্যি হলে ( বাইরে থেকে গুলি শুরু, প্রথমে ব্ল্যঙ্ক ও গ্লাস ভাঙা, তারপরে গুলি বিতরন , আরো পরে হত্যা শুরু। প্রথমে খুব অল্প কয়জন পরে অনেক বেশি সংখ্যক বি ডি আর দরবারে আসা) তা হমপগ্র এর মামা যা বলেছেন তার সাথে মিলে যায় । কোন কিছুই পূর্ব পরিকল্পিত না । এর মানে বলতে চাইছি , বি ডি আর জওয়ানদের আর যাই হোক , ধরে ধরে অফিসার খুন করার পরিকল্পনা ছিলো না । আন্দোলনের প্রস্তুতি হয়ত ছিলো । তারমানে গুলি কেউ করার পরেই এই " সিচুয়েশন" তৈরী হয় । এলো পাথারি গুলির কথা অনেকেই বলেছেন দরবার হলে । নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য থাকলে কেউ এলোপাথারি গুলি করে গ্লাস ভাঙ্গে না । [ এই খুনোখুনি পর্যন্ত ব্যাপার গড়ালো কেন ? এই পাশবিকতা কিভাবে হলো ? ]

আরেক জন অফিসার দেখলাম বলেছেন , শাকিলসহ কয়েকজন অফিসারকে বাইরে এনে সারি বেধে দাঁড় করিয়ে গুলি করা হয় ।

কেন সন্দেহ হয় আমরা সত্য জানছি না ?

১। একই ঘটনা নিয়ে এত বেশি সংখ্যক পরস্পরবিরোধী বক্তব্য হবে কেন ? দুই একটা ডিটেইলস এদিক ওদিক হতে পারে । গুলাগুলি, দৌড়াদৌড়ির সময়ে এক এক মানুষ এক এক এক অংশ দেখে , সেই গুলো পরে জোড়া দিয়ে পুরো ঘটনা বোঝা যায় । তাই বলে এই রকম সম্পূর্ণ আকাশ পাতাল তফাৎ হয় না । আবার ইন এ স্টেট অফ শক এ থাকলে মেমোরির উপরে এত ভরসাও করা যায় না । সুতরাং , কেউ না কেউ মিথ্যা বলছে । অথবা মাথা ঘুলিয়ে গেছে বলে সঠিক তথ্য দিতে পারছে না ।

২। পুরো ঘটনাটার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত একবার ও বি ডি আর কে বিন্দুমাত্র সঙ্ঘটিত মনে হয়নি । তার উপর বি ডি আর দের কারা মারা গেছে , বিশাল সংখ্যক সদস্যের কেন খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না তার ও কোন উত্তর নেই ।

৩। অফিসার খুন করার মত অসৎ পরিকল্পনা আগে থেকেই থাকলে মিডিয়ার সামনে কেউ চেহারা দেখিয়ে বক্তব্য দেয় না । বার বার দেখলাম , কারো কারো মুখে লাল কাপড় কিন্তু অনেকেই সামনাসামনি তাদের আকুতি জানাচ্ছেন ।

৪। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত বি ডি আর এর জওয়ানদের এলো পাথারি বক্তব্য আর গুলি, তাদের চেহারা , সাধারন ক্ষমার জন্য আর্তনাদ প্রমান করে তারা কি পরিমান ভীত, আতঙ্কিত ছিলো । কিছুতেই আর্মির কাছে যাব না কিন্তু প্রধান্মন্ত্রী আশ্বাস দিলেই আত্মসমর্পন । এখান থেকে এইটাই মনে হয়, ঘটনা হঠাৎ করে ঘটার সম্ভাবনাই বেশি । একবার মানুষ খেপ্লে আর গোলাগুলি শুরু হয়ে গেলে পরিস্থিতি সামলানো যায় না । কেউই সামলাতে পারে না । একবার যদি মানুষ মনে করে , অপর পক্ষকে না মারলে তাকেই মরতে হবে , তখন এই ধরনের আতঙ্কিত মানুষকে সামলানো যায় না । দুনিয়ার কেউই পারবে না । সুতরাং, পুরো ব্যাপারটা অপরিকল্পিত বিস্ফোরন হতেই পারে যার ফলাফল হয়েছে মর্মান্তিক ।

৫। কোন মহলের ইন্ধন আছে কিনা । এই ব্যাপারটা সরকার খুব বলছে। সাধারন ভাবে বাংলাদেশে ইন্ধনদাতা মহল প্রচুর আছেও । কিন্তু সেইটা ঘটনার আগে থেকেই ছিলো নাকি ঘটে যাওয়ার পরে এসেছে বোঝা যাচ্ছে না । উল্লেখ্য , বি ডি আর একেবারেই গ্রাম থেকে উঠে আসা অতি সাধারন পরিবার এর মানুষ দিয়ে গঠিত । এদের অনেকেই হয়ত বেশ গরীব। জামাত এর টার্গেট পপুলেশন যারা , সেই একই টার্গেট পপুলেশন থেকেই এদের বেশির ভাগ উঠে আসা । সুতরাং , কিছু কর্মী বি ডি আর এ, সেনাবাহিনীতে চাকরী দিয়ে ইনফিল্ট্রেট করা কোন ব্যাপারই না । মনে আছে কিউবার কথা ? আন্দোলনের বহুবছর আগেই ভাই, বন্ধু ইত্যাদিকে সরকারের গুরুত্বপূর্ণ অফিসে ঢুকিয়ে ধাপে ধাপে আগানোর উদাহরন হয়ে আছে কিউবা। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় দখলের আগে আশে পাশের গ্রামে বিয়ে করে নিজেদের ঘাঁটি তৈরী করার ইতিহাস এই জামাত এ ইস্লামেরই আছে । আর্মির ভিতরেই গোলাম আযমের ছেলে উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা । গত নির্বাচনে জামাতের ভরাডুবির পরে তাদের তো বসে থাকার কথা নয় । একটা পালটা আঘাত আমরা আশা করছিলামই । তার উপর , যুদ্ধাপরাধের বিচার বিষয়টা এবং তার সাথে ধর্ম ভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবী ক্রমেই প্রবল হয়ে উঠছে । এইটাতে ক্ষতি সবচেয়ে বেশি কার ? অবশ্যই জামাত এ ইসলামীর । তার উপর জামাতের কামরুজ্জামান বহু আগেই মিডিয়াতে হুমকি দিয়ে রেখেছে , " ধর্ম ভিত্তিক রাজনীতি যদি নিষিদ্ধ করা হয় তাহলে জামাত শিবির তার সশস্ত্র সমুচিত জবাব অবশ্যই দেবে"। জামাতের অস্ত্র ট্রেনিং এর শিবির চট্টগ্রামে বহুবারই পাওয়া গেছে । জনগণের নির্বাচিত সরকার দুই তৃতীয়াংশ ভোট নিয়ে চাইলেই যুদ্ধাপরাধের বিচার ও ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ করতেই পারে । আবারো বলছি , এই সরকার টাল মাটাল না করলে সবচেয়ে বড় ক্ষতি কার? জামাতের । টাল মাটাল করার মত সবচ্বেয়ে বেশি সুযোগ কার ? জামাতের । ভাই এর সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করে পাকিস্তানীদের হাতে তুলে দেওয়া, ভাই এর বউ, কন্যাকে পাক সেনাদের গণীমতের মাল বানানোর ইতিহাস কার ? জামাতের । সেনাবাহিনীর ভিতরেই নিজেদের লোক বসে আছে । আর কোন কিছু লাগে?

বাংলাদেশের ঘর পুড়লে পোড়া আলু খাওয়ার এজেন্টের অভাব নেই । কিন্তু , সাধারন ক্ষমা ঘোষনা নিয়ে " ৭১ এবং ৭১ পরবর্তী " পরিস্থিতি তৈরী করার খুব জোর চেষ্টা চলতে দেখে কেন যেন খুব সন্দেহ হচ্ছে ।


সবার কাছে অনুরোধ করি , গুজবে কান দেবেন না । যে কোন বিতর্কিত বিষয় বিশ্লেষন করতে হলে কিছু জিনিস সবসময় সিওর করতে হয় সত্যের কাছে পৌছানোর জন্য ।

১। কার সবচেয়ে বেশি মোটিফ ছিলো , আছে

২। কার সবচেয়ে বেশি সুযোগ ছিলো

৩। কার সবচেয়ে বেশি লাভ হয়েছে , অথবা লাভ হওয়ার সম্ভাবনা ছিলো

৪। সম্পূর্ণ সত্য প্রকাশিত হলে কার সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হতে পারতো , বা এখনো হতে পারে ।

দয়া করে কারো কাছে কোন সুনির্দিষ্ট তথ্য থাকলে এই পোস্টে যোগ করুন। ক্যান্টনমেন্টে ঢোকার পরেই অফিসারদের বক্তব্য পালটে যাচ্ছে । এত গুলো মর্মান্তিক হতাহতের ঘটনায় আমরা সবাই শোকগ্রস্ত । আমাদের সবার কষ্ট হচ্ছে । এত বেশি পরিচিত মুখ , তাদের কান্না আমাকেও দুমড়ে মুচড়ে দিচ্ছে । কিন্তু , সেনা অফিসারদের পরিবারের চোখের জলে যেন ন্যায় ও সত্য ভেসে না যায় । মিডিয়াতে বিডি আর সদস্যদের পরিবারের কারো বক্তব্য কেন দেখছি না ? কেন দেখছি না , জওয়ানদের যারা মারা গেছে তাদের বউ বাচ্চাদের কান্না ? এদের পরিবারের সদস্যদের তো ঢাকা এসে গেটের কাছে বসে কান্না করার টাকাও নেই । জওয়ানদের পরিবার , গরীব বাপ মা, বাচ্চারা কি খুব সুখে আছে ?

ক্যান্টনমেন্টের নিরাপত্তায় ঢোকার পরপরই অফিসারদের রঙ বদল আর মিডিয়ার এক পেশে আহাজারি পরিবেশনা ভালো লাগছে না । এমনিতেই বাংলাদেশে ক্ষমতা , টাকা যেদিকে , বিচার সেইদিকেই দৌড়ায় । সত্য চাপা পড়ে । এখন এক দলের চোখের পানিতে অন্য দলের কান্না ঝাপসা হতে দেখে আশংকা হচ্ছে , সত্য বোধ হয় সত্যিই ধুয়ে যাবে ।

আমার আরমির এক বন্ধু তার ফেসবুকে স্ট্যাটাস ঝুলিয়ে রেখেছে , " টিট ফর ট্যাট " , আরেক জন ঝুলিয়েছে "চোখের বদলে চোখ" ।

শোক তপ্ত পরিবার গুলোর কাছেই হাত জোড় করি , দোহাই লাগে , বিচারই চান , প্রতিশোধ নয় ।
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ সকাল ৮:০৯
৬৯টি মন্তব্য ৫১টি উত্তর পূর্বের ৫০টি মন্তব্য দেখুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বরিষ ধরা-মাঝে শান্তির বারি

লিখেছেন বিষাদ সময়, ০৬ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১২:১৬





মাসের আধিক কাল ধরে দাবদাহে মানব প্রাণ ওষ্ঠাগত। সেই যে অগ্নি স্নানে ধরা শুচি হওয়া শুরু হলো, তো হলোই। ধরা ম্লান হয়ে, শুষ্ক হয়, মুমূর্ষ হয়ে গেল... ...বাকিটুকু পড়ুন

=নীল আকাশের প্রান্ত ছুঁয়ে-৭ (আকাশ ভালোবেসে)=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৬ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:১৯

০১।



=আকাশের মন খারাপ আজ, অথচ ফুলেরা হাসে=
আকাশের মন খারাপ, মেঘ কাজল চোখ তার,
কেঁদে দিলেই লেপ্টে যাবে চোখের কাজল,
আকাশের বুকে বিষাদের ছাউনি,
ধ্বস নামলেই ডুবে যাবে মাটি!
================================================
অনেক দিন পর আকাশের ছবি নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

পানি জলে ধর্ম দ্বন্দ

লিখেছেন প্রামানিক, ০৬ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৫২


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

জল পানিতে দ্বন্দ লেগে
ভাগ হলোরে বঙ্গ দেশ
এপার ওপার দুই পারেতে
বাঙালিদের জীবন শেষ।

পানি বললে জাত থাকে না
ঈমান থাকে না জলে
এইটা নিয়েই দুই বাংলাতে
রেষারেষি চলে।

জল বললে কয় নাউযুবিল্লাহ
পানি বললে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সমস্যা মিয়ার সমস্যা

লিখেছেন রিয়াদ( শেষ রাতের আঁধার ), ০৬ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:৩৭

সমস্যা মিয়ার সিঙ্গারা সমুচার দোকানে প্রতিদিন আমরা এসে জমায়েত হই, যখন বিকালের বিষণ্ন রোদ গড়িয়ে গড়িয়ে সন্ধ্যা নামে, সন্ধ্যা পেরিয়ে আকাশের রঙিন আলোর আভা মিলিয়ে যেতে শুরু করে। সন্ধ্যা সাড়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

এই মুহূর্তে তারেক জিয়ার দরকার নিজেকে আরও উন্মুক্ত করে দেওয়া।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ০৬ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:২৬


তারেক জিয়া ও বিএনপির নেতৃত্ব নিয়ে আমি ব্লগে অনেকবারই পোস্ট দিয়েছি এবং বিএনপি'র নেতৃত্ব সংকটের কথা খুব স্পষ্টভাবে দেখিয়েছি ও বলেছি। এটার জন্য বিএনপিকে সমর্থন করে কিংবা বিএনপি'র প্রতি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×