আমরা সচেতন দেশবাসী চাচ্ছিলাম একটি অবাধ, সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন। সেই অনুসারে আওয়ামীলীগ সহ 14 দল দেশের জনগণকে সাথে নিয়ে যুগপৎ আন্দোলন করে আসছিল। এবং তাদের সফলতায় দেশের "জনগণও" আনন্দিত ও পুলকিত হচ্ছিল। কারণ অফিসে যাওয়া লাগত না, ছাত্রদের ক্লাস করা লাগত না শুধু ছুটি আর ছুটি। আজ আমাদের ছুটি ও ভাই আজ আমাদের ছুটি এই টাইপের আরকি ..........................
কিন্তু এই ছুটিতে বাদ সাধলেন ব্যাটা মেরুদন্ডহীন ইয়াজুদ্দিন। তিনি দেশে সেনাবাহিনী নামিয়ে দিলেন। এতে আমরা সাধারণ জনগণ থুকু্য আমরা না জনগণ (জনগণ বলতে প্রশিকার ভাড়া করা এবং সাভারের গার্মেন্টস কর্মচারী যারা প্রতিদিন 100 টাকা ভাড়া খাটতেন) হলাম আশাহত, মর্মাহত। কারণ জনগণ প্রতিদিন 100 টাকা থেকে বঞ্চিত হল। সেনাবাহিনী নামায় এতটাই আমরা আশাহত হলাম যে না 50 টাক খরচ করে আর অফিস যাওয়া লাগবেনা। (অর্থাৎ রিকশা ওয়ালাদের পিটে লাথী কি অমানবিক কাজ। এর জন্যও একটা যুপত আন্দোলন হওয়া দরকার যেন রিকশাওয়ালাদের একটা ভাল গতি হয়) সেই আগের মত ধরা বাধা নিয়মে গাড়িতে দাড়িয়ে বা ঝুলতে ঝুলতে অফিস যাওয়া, বসের ঝাড়ি খাওয়া, সন্ধায় বাসায় ফেরা ইত্যাদি সব আগের মত।
মনে করেছিলাম অবরোধ আরো কিছুদিন থাকবে। জিনিশ পত্রের দাম আকাশ ছোয়া হবে তাতে কার কি আসে যায়। রাজনীতিবীদরা সব কিছুইতো করে জনগণের জন্য। তো জনগণকে ত্যাগস্বিকার করতেই হবে। কিন্তু সেনাবাহীনি নামায় এসব অনেক কিছুই কমে যাবে, দর্বমূল্যের আবার সাভাবিক হবে, জনমনে নিরাপত্তা ফিরে আসবে ইত্যাদি ইত্যাদি
তাই বলছিলাম সেনাবাহীনি নামায় আমরা শোকাহত, মর্মাহত।
হা.. হা.. হা.. হো.. হো.. হো.. হি.. হি.. হি..
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে ডিসেম্বর, ১৯৬৯ সন্ধ্যা ৭:০০

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



