ব্লগে বা ফোরামে সাইন্স ফিকশন পাচ্ছিলাম বেশ অনেকগুলো। তার অনেকগুলো আবার স্বঘোষিত ব্যর্থ প্রচেষ্টা। ভাবছিলাম আমিও কিছু লিখব নাকি? কিন্তু ভাবলাম আর যাই লিখি সাইন্স ফিকশন লেখাটা রিস্কি। কারন যারা অল্প-স্বল্প পড়েন তারা বলবেন মুহাম্মদ জাফর ইকবাল, আর যারা বেশি পড়েন তারা বলবেন হয় আজিমভ বা বাপের জন্মেও নামও শুনিনি এমন কোন লেখকের প্রভাব আছে আমার লেখায়।
তাই ভাবলাম বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী বাদ দিয়ে বরং একটা রাজনৈতিক কল্পকাহিনী লিখি। তবে আগেই জানিয়ে রাখি, এই গল্পে যদিও সত্যিকারের দেশ, জাতি, দল এবং ব্যক্তির উল্লেখ রয়েছে কিন্তু তা নিতান্তই একটু বাস্তবতার সাথে মিল রেখে কল্পনায় হারিয়ে যাওয়ার স্বার্থে। এখানে কোন বিশেষ ব্যক্তি বা দলের প্রতি ঘৃণা-ভালোবাসা-আবেগ-অনুভূতি প্রকাশ করা হয়নি।
একটি রাজনৈতিক কল্পকাহিনী
একটু আগে আমার সেক্রেটারি এসে জানিয়ে গেল আমার যাবার সময় হয়েছে। আজ আমার বিদায়ী ভাষণ। আজ আমার শেষদিন বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট হিসেবে। এখন আমি অফিস থেকে বের হব শেষবারের মত প্রেসিডেন্ট হিসেবে। কাল সকাল থেকে এই ডেস্কে বসবেন নতুন প্রেসিডেন্ট, বাংলাদেশের নতুন আশা, নতুন স্বপ্ন।
আজকের প্রায় সকল নিউজপেজে প্রধান শিরোনাম ছিল প্রায় একই রকম, “বাংলাদেশের সবচেয়ে সফল প্রেসিডেন্টের আজ শেষদিন”। আমাকে শ্রদ্ধানিবেদন করে সেই পুরোনো রীতিতে তেল দেয়া যে আমার বিশেষ খারাপ লেগেছে তা বলব না। যাই হোক দরজার হাতল ধরে শেষবারের মত আমার এতদিনের পরিচিত ডেস্কটার দিকে তাকালাম। আমার সমস্ত জিনিসপত্র, ফাইল সরে গেছে। পুরো ফাকা হয়ে আছে ডেস্কটা। আমি বেরিয়ে যাবার পর পরই লোকজন ব্যস্ত হয়ে উঠবে কাল নতুন প্রেসিডেন্টের পছন্দমত ডেস্কটা সাজাতে। ধীরপায়ে আমি যখন সিঁড়ির দিকে হাঁটছিলাম সবাই দাঁড়িয়ে নির্বাক নয়নে চেয়ে ছিল আমার দিকে। একসময় আমি আমার গাড়ির কাছে পৌঁছে গেলাম। “আমার গাড়ি?”, চিন্তা করতেই হাসি পেল। এটা সরকারের গাড়ি। কাল থেকে আমার সত্যিকারের নিজের গাড়িতে চড়তে হবে আমাকে। সংসদভবন চত্বরে আমার বিদায়ী ভাষণ শেষে আমাকে নতুন বাসায় পৌঁছে দিয়ে আমাকে শেষ রাইড দেবে আমার প্রিয় এই গাড়িটা।
আমার কখনই কোন পূর্বনির্ধারিত ভাষণ দেবার অভ্যাস নেই। সবসময়ই আমি যাবার পথে গাড়িতে বসে চিন্তার লাগাম খুলে দেই। সেখান থেকেই বেরিয়ে আসে আমার তুমুল জনপ্রিয়, সাংবাদিকদের ভাষায় “ঐতিহাসিক” ভাষণগুলো। ভাবছিলাম কিভাবে শুরু করব। কখনই জনতার সামনে গিয়ে দাঁড়াতে এমন সংকোচবোধ হয়নি আমার। আজ শেষদিনে এসে কেন যেন বারবার মনে পড়ে যাচ্ছে এতকিছুর শুরুটা।
ভালভাবেই ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করেছিলাম একটা বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে, সেই ২০১২ সালে। চাকরিও পেয়ে গিয়েছিলাম সেখানেই। তখনই উত্তাল হয়ে উঠল দেশ। আর তার নাটের গুরু কিনা আমার নিজের বাবা, কর্নেল মনিরুজ্জামান খন্দকার। আওয়ামী দুঃশাসনে তখন জনগনের নাভিশ্বাস উঠে গেছে। জানা নেই আদৌ পরবর্তি নির্বাচন সময়মত হবে কিনা। বিএনপি মাঠে নেমেছে আওয়ামী লীগকে গদি ছাড়া করতে, রাস্তাঘাটে গুলোগুলি দুইদলের ক্যাডারদের। মানুষ রাস্তায় বেরতে ভয় পায়। বন্ধ হয়ে যাচ্ছে একের পর এক স্কুল-কলেজ। নির্বিচারে খুন হয়ে যাচ্ছিল বড় দুইদল সহ সকল দলের নেতা-কর্মীরা। এই সময় তার কমান্ডিং অফিসারের নির্দেশে নতুন মিশনে নামলেন আমার বাবা। তাই একদিন নিরাপত্তার খাতিরে বুলেটপ্রুফ কাঁচের দেয়ালে বন্দি হয়ে ভাষণ দেয়ার সময় মুখের কাছের মাইক্রোফোনটা থেকে বেরিয়ে এল একটি বুলেট, ফলাফল প্রধানমন্ত্রিহীন বাংলাদেশ। আর তার মাত্র আড়াই ঘন্টা পর কোথা থেকে একটি বুলেট এসে বাংলাদেশকে বুঝি পুরোপুরি এতিম করে ছাড়ল। এবার প্রধানমন্ত্রি এবং বিরোধীদলীয় নেত্রীবিহীন বাংলাদেশ।
কয়েকমুহুর্তের মধ্যে রাস্তায় টহল দিয়ে বেড়াতে লাগল অস্ত্রধারী সৈন্য। কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই বাংলাদেশে নতুন মিলিটারি শাসন শুরু হয়ে গেল। কিন্তু মাঝখানে হারিয়ে গেলেন আমার বাবা। মিলিটারিতে পদন্নতি পাওয়ার কয়েকদিনের মাঝেই কে জানে কি ভাবে তার লাশ নিয়ে মিছিল বেরল উত্তাল জনতার। আমি তার লাশ আর কখনও পাইনি। জীবনে কখন পারিনি আমার বাবার কবর জিয়ারত করতে। বাবার একমাত্র ছেলে হিসেবে আমাকেও হয়ত খুন করতে চেয়েছিল তারা। তাই বাবার এক সহকর্মী বুঝিবা জেনারেলের নির্দেশেই জাল পরিচয়ে আমাকে পাঠিয়ে দিল আমেরিকা। আমেরিকায় অবশ্য আমাকে জাল পরিচয়ে ঢুকতে হয়নি। এয়ারপোর্টেই আমার জন্য অপেক্ষা করছিল পরিচয় না জানা কিছু বাংলাদেশি এবং আমেরিকান। বাবার লাশ নিয়ে সেই মিছিল ভুলে থাকতে শুরু করলাম নতুন করে পড়াশোনা, ফ্লোরিডা ইন্সটিটিউট অফ টেকনোলজিতে। বাংলাদেশের নাম মুছে গেল পৃথিবীর মানচিত্র থেকে। বহিঃবিশ্বের যেসকল সাংবাদিক গেলেন বাংলাদেশে কেউ ফিরে এলেন না। কি হয়েছিল ওখানে আমি জানি না। কিচ্ছু জানি না। সারাবিশ্বের কোন সাধারন নাগরিক জানে না। হয়ত শক্তিধর দেশগুলো জানত। কিন্তু কিছু বলত না। এই প্রসঙ্গে বিশ্বজুড়ে সকল রাষ্ট্রপ্রধানদের মাত্র একটা জিনিসই বলবার ছিল, “আমরা এ ব্যাপারে চিন্তিত”।
অবশেষে একদিন খবর পেলাম ২০১৪ সালে গিয়ে। নতুন করে নির্বাচন হয়েছে বাংলাদেশে, গঠিত হয়েছে গণতান্ত্রিক সরকার। তবে একটু পরিবর্তন। দেশের সার্বময় ক্ষমতা এখন থেকে প্রেসিডেন্টের হাতে। নতুন নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মুহাম্মদ মাহমুদ ইউসুফ। অপরিচিত এক ব্যক্তি। অবশেষে নতুন মুখ বাংলাদেশের রাজনীতিতে। সত্যি বলতে ভুলে গিয়েছিলাম দেশের কথা। এতটুকু আন্দোলিত করেনি আমাকে এই খুশির খবর। ২০১৪ সালের ১৭ই জানুয়ারি প্রেসিডেন্ট পদে কার্যক্রম শুরু করলেন নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট।
এদিকে আমি ফ্লোরিডা ইন্সটিটিউট অফ টেকনোলজিতেই শিক্ষকতা করছি। ২০১৯ সালে হঠাৎ ডাক পড়ল আমার দেশ থেকে। প্রেসিডেন্ট মাহমুদ ইউসুফ দেখা করতে চান আমার সাথে। তিনি দ্বিতীয়বারের মত প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন। জানিনা কেন, ফিরে এলাম। যদিও আমেরিকা ছাড়তে নানা বাধা-বিপত্তি পেরতে হয়েছে আমাকে। সেগুলো আজ নাইবা বললাম। প্রেসিডেন্ট আমাকে চান বিদ্যুৎ মন্ত্রি হিসেবে। কি হাস্যকর কথা। আমি জীবনে রাজনীতি করেছি নাকি? কিন্তু না, দেশে এসে দেখলাম এ এক নতুন দেশ। জানি না কি হয়েছিল এই কয় বছরে, তবে দেশের চেহারা পালটে গেছে। খুব ভাল অর্থে না। দেশে ঢুকে এটুকু বুঝতে অসুবিধা হল না কয়েক বছর আগে এই দেশে গৃহযুদ্ধ হয়ে গেছে। তবে নতুন করে গড়ে তোলার উদ্যমের অভাব নেই মানুষের মাঝে। দেশের মানুষ যে অনেক কমে গেছে তাও বুঝতে পারলাম। কথায় কথায় জানতে পারলাম দেশের জীবিত সবচেয়ে বয়স্ক ব্যক্তিরও নাকি বয়স ৬০ পেরোয়নি। বলতে গেলে এক নতুন প্রজন্ম। পুরানো রাজনৈতিক দলগুলোর অস্তিত্ব নেই। গঠিত হয়েছে নতুন রাজনৈতিক দল। সবাই অনেক কম বয়সী। প্রেসিডেন্ট চাইলেই যে কোন যোগ্য ব্যক্তিকে যে কোন পদে বসাতে পারেন। প্রথমবার মুখোমুখি দেখা এই মাহমুদ ভাইয়ের সাথে। অবাক হয়েছিলাম। আমার চেয়ে কতই বা বড় হবেন তিনি, খুব বেশি হলে ১০ বছর। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই শিক্ষকই বদলে দিয়েছেন এই দেশের রাজনীতি। কিভাবে, আমি জানি না। উনি আমাকে কখনই বলেননি। যতবার এই প্রসঙ্গ উঠেছে উনার চোখ দেখলেই বুঝতাম তার মনের ব্যাথাটা। অনেক ত্যাগ যে স্বীকার করতে হয়েছে তা বলে দিতে হয় না। অনেক খেটেছেন গত পাঁচ বছর দেশের উন্নয়নে। কিন্তু বিদ্যুৎ ক্ষেত্রে এখনও বেহাল অবস্থা। মাহমুদ ভাই টেকনোলজি বা ইঞ্জিনিয়ারিং অত ভাল বোঝেন না। আর যা বোঝেন না তা নিয়ে মাথাও ঘামাতে যান না। তাই আমার ডাক পড়েছে। এফআইটিতে অধ্যয়ন কালে সৌরবিদ্যুত প্রকল্পে বেশ কিছু কাজ করেছিলাম। নতুন সোলার সেল যা কিনা এতদিনকার সোলার সেলের চেয়ে কয়েকশ’ গুন উন্নত তা তো আমারই আবিষ্কার। আর কাকে চাইতে পারেন উনি বিদ্যুৎমন্ত্রি হিসেবে।
অবশেষে এই আমি হয়ে গেলাম বিদ্যুৎমন্ত্রি। বিদ্যুৎমন্ত্রির দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি চলছিল গবেষণা। খেটেছিলাম পাঁচ বছর। তবে তা মাহমুদ ভাইয়ের তুলনায় কিছুই না। ২০২৪ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে মাহমুদ ভাই আমাকে উৎসাহী করে তুললেন প্রেসিদেন্ট পদের জন্য নির্বাচনে দাঁড়াতে। বাংলাদেশের মানুষের একটা জিনিস এখনও পরিবর্তন হয়নি। পারিবারিক ধারায় বিশ্বাস। কারন ততদিনে দুই নেত্রীর হত্যাকারী আমার বাবা জাতীয় বীর দেশের মানুষের কাছে। বলার অপেক্ষা রাখে না আমি রেজওয়ানুজ্জামান খন্দকার হয়ে গেলাম নতুন প্রেসিডেন্ট। পরপর দুবার প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচিত হই। আমার দশ বছরের প্রেসিডেন্সি আজ শেষ হতে যাচ্ছে। এই দশ বছরে আমি যা যা করেছি তাতে সবাই বলে আমি নাকি এই দেশটির সবচেয়ে সফল নেতা। কিন্তু আমি জানি, আমার নেপথ্যে মাহমুদ ভাই কি করেছেন। আমি যা যা করেছি তার অনেক কিছুরই স্বপ্নদ্রষ্টা মাহমুদ ভাই।
তবে কয়েকটা ব্যাপার আজও আমার অজানা রয়ে গেছে। আমি যখন দেশে ফিয়ে আসি, কোন ভাবেই জানতে পারিনি কি ঘটেছিল ঐ দুই বছর। এমনকি প্রেসিডেন্ট হওয়ার পরও ঐ সময়ের ডকুমেন্টস, ফাইলপত্রে আমাকে অ্যাক্সেস দেওয়া হয়নি। হয়ত এমন কিছু ছিল যা জানা আমার জন্য নিরাপদ ছিল না। তাই আমিও খুব বেশি মাথা ঘামাই নি। আর তাছাড়া ভাঙাচোরা দেশটাকে নতুন করে গড়তে অনেক ব্যস্ত ছিলাম। নজর ছিল ভবিষ্যতের দিকে। অতীত নিয়ে মাথা ঘামানোর সময় কই? কাজ করে যাচ্ছিলাম দেশের সম্ভবনাময় খাতগুলোকে ঢেলে সাজাতে।
মাঝে মাঝে আমার নিজেরই অবাক লাগে ধোলাইখাল নিয়ে আমার প্রজেক্টটা কোথা থেকে কি হয়ে গেল। ধোলাইখাল এলাকা নতুন করে সাজিয়ে ধোলাইখাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল এরিয়া তৈরি করা হয়েছিল। যেখানে এখন তৈরি হয় বিশ্বের সবচেয়ে উন্নত মানের মটর পার্টস। এখন আর মেড ইন জাপান নয়, গর্ব সহকারে প্রোডাক্ট অফ ধোলাইখাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল এরিয়া, বাংলাদেশ লেখা থাকে। বিশ্বজুড়ে ব্যাপক চাহিদা। আর সেই ইন্ডাস্ট্রিয়াল এরিয়ার কাছেই হয়ে গেল দেশের সেরা ইউনিভার্সিটি ধোলাইখাল ইন্সটিটিউট অফ টেকনোলজি। যেখানে পড়তে আসে দেশ-বিদেশের হাজার হাজার শিক্ষার্থী। দেশের সকল পাবলিক ইউনিভার্সিটিতে এখন বছরে দুটি সেশনে ছাত্রভর্তি হয়। তাই অতটা চাপ নেই প্রাইভেট ইউনিভার্সিটিগুলোর উপরও। সুযোগ পেয়েছে তারা মান উন্নয়নের। অবশ্য এটা ঠিক দেশের অনেক পুরানো মানহীন পাবলিক ও প্রাইভেট ইউনিভার্সিটিই বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল।
কে বলবে মাত্র ২২ বছর আগে এই দেশ ছিল দুর্নীতির আড্ডাখানা। আসলে একটা দেশের জন্য ৬২ বছর তো কিছুই না। এখনও শিশুরাষ্ট্র এই বাংলাদেশ। কিন্তু জনগনের নিরলস পরিশ্রম একটা দেশকে যে কতটা পালটে দিতে পারে তার উদাহরন এই বাংলাদেশ। সারাবিশ্বের সবচেয়ে টুরিস্ট-জনপ্রিয় দেশ। যে দেশে আছে বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘ সমুদ্র সৈকত, আর দূষণমুক্ত নীল জলের সাগর। বুকচিরে বয়ে চলা দুরন্ত নদী। আর অনেক অনেক হাসিখুশি মানুষ।
বিশাল ভাষণটা শেষ করে যখন ফিরে আসছিলাম, আরেকবার ফিরে তাকিয়ে ছিলাম জনতার দিকে। এখনও নির্বাক শ্রদ্ধা ভরা চোখে চেয়ে আছে আমার পানে। কারও কারও চোখে কি পানিও দেখছি আমি?
তবে দশ বছরে ক্যারিয়ার শেষ করে আমি মোটেও দুঃখ পাচ্ছি না। বলেছিলাম, দেশের মানুষের একটা স্বভাব এখনও বদলায়নি, পরিবারের উপর আস্থা। আর তাই তো কাল প্রেসিদেন্ট পদে দায়িত্ব গ্রহন করছে মাহমুদ ভাইয়ের ছেলে মুহাম্মদ ইবাদ ইউসুফ।
পূর্বপ্রকাশঃ প্রজন্ম ফোরাম

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




