somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

চিঠি, ঠিকানা: আকাশ !

১৫ ই এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৩৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



কখনো কি ভেবে দেখেছো? তোমায় হঠাৎ দেখে কেউ থমকে দাঁড়িয়েছে? হয়তো কিছুক্ষণের জন্য তোমার ঐ মায়াবী চোখের দিকে তাকিয়ে আবার নিজে নিজে আনমনে এক দীর্ঘ নিঃশ্বাস ফেলে চোখের পাতা বন্ধ করে দেওয়া। আবার চুপিসারে সবার চোখকে ফাঁকি দিয়ে তোমার ঐ চোখ বা মুখায়বটা দেখতে পাওয়ার কতটা আনন্দের আবার কতটা সুখের?

সাহস করে আবার কিছুক্ষণ তোমার পাশে বসা, শুনতে কি পাও বুকের বাম দিকের হৃদ স্পন্দন? এই আবার কেমন ভালো লাগা? সূর্যের সাথে প্রতিযোগীতা করে তার আগে ঘুম থেকে উঠে খোলা নীল আকাশের নিচে কোন এক ভোর বেলা হাঁটতে বেড়িয়ে যাওয়া অথবা কোন সাজ বেলায় তোমায় ভেবে নিজে নিজে হাসা হাসা। একি ভালোবাসা নাকি নিজের মধ্যে নতুন কোন অ-সুখের জন্ম দেওয়া। কেউ নিজেকে পাগল বল্লে সহ্য হয় না, আর তুমি যদি বলো পাগল। তবে পাগল হওয়া সার্থক জনম আমার।

সেই একই পরিচিত রাস্তাঘাট, একই বৃক্ষরাজী, একই রাস্তার মোড়, মোড়ে পড়ে থাকা হা-পা বিহীন মানুষ আশরাফুল মাখলুকাত নাকি অন্যকিছু? একই চায়ের দোকান, কয়দিন আগেই সবকিছুতে বিরক্তি কিন্তু এখন কিছুতেইতো বিরক্তি নেই। সব কিছুর মায়ার বাঁধনে বোধ হয় আটকিয়ে গেলাম। নির্দয়, নিষ্ঠুর প্রকৃতিটাকেও ভালো লেগে যায়।এই সবে কি তোমারই জন্য, নাকি, নাকি স্রষ্টা প্রমাণ করতে যাচ্ছেন তিনি আছেন সবার মাঝে। নিয়তিকে মেনে নেই, তাহলে হয়তো জীবনের ভারটা কমবে, আমার বেঁচে থাকার কষ্টগুলো বুঝি তাতে সার্থকতা পাবে।

কই আজো অব্দি কাউকে ভেবেতো একটা লাইনও লিখতে পারি না, কাউকে দেখেতো আমার বুকটা এতটুকু কেঁপেও উঠে না, কই কারো জন্যতো একদিনও বিনিদ্র রজনি কাঁটাইনি, কারো জন্যতো এখনো একফোঁটা অশ্রু ফেলতে পারিনি কারো কথা ভেবে, কখনোতো, মাঝরাতে ঘুম ভাঙ্গেনি,?

আর তুমি..., তুমি ভাবছো তোমার এগুলো অধিকার, আমার শূন্য হৃদয়ে ঠাই পেয়েছো তোমার অপরূপ সৌন্দর্যে, তোমার মুখের হাসি, তোমার চোখের ইশারায় আমার অবুঝ আবেগেক হারিয়েছি। বারবার তোমার ভালোবাসার পরীক্ষায় জয়ী হয়েও তুমি হয়েছে আরো অভিমানী আর অহংকারী। আর আমি তোমার চোখে চোখ রেখে হয়েছি অপরাধী, হাত বাড়িয়ে দিলাম বল্লে বাড়াবাড়ি, হুম বুঝলাম সবই পাগলের পাগলামী, সবই বাড়াবাড়ি, তাহলে, তুমিই বলো ভালোবাসাটা কি?

তুমি হয়ত ভালোবাসার কারণ খুজবে, ভাবছো, তুমি কি সত্যি আমার ভালোবাসা পাবার যোগ্য? সবাইকে বলো তুমি নাকি আমাকে কষ্ট দিতে চাওয়া না, তাইতো বৃষ্টিতে ভিজতে চাওনি। পাশে থাকলে কেউ কষ্ট পায় এই বুঝি জীবনে প্রথম ভালোবাসার ধারাপাত শিখলাম।
আসলে ভালোবাসা পেলে তার চাওয়া যেমনি বেড়ে যায় তেমনি বেশি ভালোবাসলে সবকিছূ যেন গোলমেলে হয়ে যায়। তাই না? তুমি হয়তো জানো না, ভালোবাসার সত্যিই কোন কারণ থাকে না। কারণ খুঁজতে যেয়ে এখনো কেউ তা খুঁজে পেয়েছে কি না, জানি না? আশা করি তুমি, আমি আর সে, কেউ তা কখনো পাবো না। কারোর ভালোবাসা কারো জন্য আশির্বাদ, আবার কারোর জন্য অমংগল। কেউ সূর্যের আলোয়ে আলোকিত হয় আবার কেউ তার প্রখর তাপে পুড়ে যায়। কিছু সময়তেই এই অনুভূতি আসবে আবার আরেক সময়তে সবাইকে ফাকি দিয়ে চলে যাবে, রেখে যাবে কিছু সুখ- দুঃখের মিলন-অমিলনের বিরহের স্মৃতি।
আমাদের দুঃখটা কষ্টটা কি শুধু ব্যক্তি বিশেষ নাকি শুধু নিজের আবেগ, অনুভূতির যথার্থ মূল্যায়ন না পাওয়া। আমি জানি, আমি বুঝি সব কিছু মিথ্যে হতে পারে। কিন্তু এই আবেগ, এই অনুভূতি তো মিথ্যে হবার কথা না। এই অনুভূতি সেই চন্দ্র সূর্য আবর্তনের মতই সত্যি। তাহলে এই সত্যের সমাপ্তি কোথায়? তাহলে, এই সত্যের কি কোন ন্যায়বিচার নেই। এর বিনিময়টাই বা কি? নাকি এই সত্য নিজের সৃষ্টি। নিজের এক অ-সুখের নাম। আর প্রকৃতির কি বা দায় পড়েছে এর ভার বহন করার। মায়া বাড়িয়ে লাভ কি? আমরা আসলে সবাই প্রকৃতির জালে আটকিয়ে আছি। শত চেষ্টায় কোন মুক্তি মেলবে না।
গানের সেই কথার মতো,
দুঃখের মূল্যতে যেয়ে কঠিন সত্যকে নেয় কিনে।
মুক্তি মেলে না সহজেই জড়ালে হৃদয় কোন ঋণে।
যে বর্ষার মেঘ পেরিয়ে আসে না আলোরা আশ্বিনে ।।

// সুমন
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৩৯
৪টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

তৌহিদি জনতার নামে মব সন্ত্রাস

লিখেছেন কিরকুট, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৫৪




ছবিঃ অনলাইন থেকে সংগৃহীত।


দেশের বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রতিক সময়ে ধর্মের নাম ব্যবহার করে সংঘটিত দলবদ্ধ সহিংসতার ঘটনা নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে তৌহিদি জনতা পরিচয়ে সংঘবদ্ধ হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুখ গুজে রাখা সুশীল সমাজের তরে ,,,,,,,,

লিখেছেন ডঃ এম এ আলী, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:০৫


দুর্যোগ যখন নামে আকাশে বাতাশে আগুনের ধোঁয়া জমে
রাস্তা জুড়ে কখনো নীরবতা কখনো উত্তাল প্রতিবাদের ঢেউ
এই শহরের শিক্ষিত হৃদয়গুলো কি তখনও নিশ্চুপ থাকে
নাকি জ্বলে ওঠে তাদের চোখের ভেতর নাগরিক বজ্র
কেউ কেও... ...বাকিটুকু পড়ুন

নজরুল পরিবারের প্রশ্ন: উগ্রবাদী হাদির কবর নজরুলের পাশে কেন?

লিখেছেন মাথা পাগলা, ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৩:০১



প্রায় অর্ধশতাব্দী আগে কাজী নজরুল ইসলামের দেহ সমাধিস্থ করা হয়েছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মসজিদের পাশে। শনিবার বাংলাদেশের স্থানীয় সময় বিকেল ৪টে নাগাদ সেখানেই দাফন করা হল ভারতবিদ্বেষী বলে পরিচিত ইনকিলাব মঞ্চের... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদির আসল হত্যাকারি জামাত শিবির কেন আলোচনার বাহিরে?

লিখেছেন এ আর ১৫, ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:৫৪


গত মাসের শেষের দিকে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পারওয়ারের ছেলে সালমান, উসমান হাদির সঙ্গে খু*নি ফয়সালের পরিচয় করিয়ে দেন। সেই সময় হাদিকে আশ্বস্ত করা হয়—নির্বাচন পরিচালনা ও ক্যাম্পেইনে তারা... ...বাকিটুকু পড়ুন

দিপুকে হত্যা ও পোড়ানো বনাম তৌহিদী জনতা!

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:০৫


পাইওনিয়ার নিটওয়্যারস বিডি লিমিটেড (Pioneer Knitwears (BD) Ltd.) হলো বাদশা গ্রুপের (Badsha Group) একটি অঙ্গ প্রতিষ্ঠান। বাদশা গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান কর্ণধার হলেন জনাব বাদশা মিয়া, যিনি একইসাথে এই... ...বাকিটুকু পড়ুন

×